পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مو9رl\ প্রবাসী—ভান্দ্র, ১৩২৯ [ २२* छां★, »न १७ vヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘバ ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ SSASAS SS S SMSSSS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS স্তলিপি বহারিস্তানে বর্ণিত হইয়াছে। এই গ্রন্থ হইতে প্রতাপাদিত্য ও উস্মানের পতনের কাহিনী অগ্ৰে প্রবাসী’তে প্রকাশ করিয়াছি । আজ পাবনার জমিদারগণ ও বিক্রমপুরের মুলাখার যুদ্ধ ও পরাভৰ বৰ্ণনা করিব । ৩ । প্রতাপাদিত্য প্রথমে একটি কথা বলিয়া শেষ করি । ইতিহাস পড়িয়া আমার মনে হয় যে প্রতাপাদিত্যের বীর-কীৰ্ত্তিগুলি আকবরের রাজত্বে মানসিংহের সময়ে ঘটে । তখন তাহার যৌবন-কাল, শরীর ও মনের শক্তি অটুট, নৌবল অদম্য। কিন্তু প্রায় ২০ বৎসর পরে যখন ইসলাম খাঁ তাহাকে আক্রমণ করিলেন তখন প্রতাপ বৃদ্ধ, জীর্ণদেহ, হয়ত পারিবারিক শোকে ম্ৰিয়মাণ। তাহার আর পূৰ্ব্বতেজ নাই, পুত্ৰগণের দ্বারা যুদ্ধ চালাইলেন, আর যখন তাহার পরাজিত হইল, তখন গ্রতাপ নিজে হতাশায় অবসন্ন মনে আসিয়া আত্মসমর্পণ করিলেন। ( ১৮৯১ খৃষ্টাকে মুদ্রিত ) রামরাম বশ্নর রচিত 'প্রজাপাদিত্য-চরিতে লেখা আছে যে এই আত্মসমর্পণের সময় ইসলাম খা জিজ্ঞাসা করিলেন, "এখন কি তোমার কৰ্ত্তব্য, লড়াই কি কয়েদ }” রাজা বহিলেন, “না, আমরা আর লড়াই করিব না। আমার আসন্নকাল এই । অতএব আমি কয়েদ হইব ।” আমার বিশ্বাস যে এই নিরাশ উক্তি ও অবসাদ ঐতিহাসিক সত্য। ৪। ইসলাম খাঁর বঙ্গশাসন ২৬ এপ্রিল ১৬০৮ জাহাঙ্গীর ইসলাম খাকে বিহার হইতে বাঙ্গলার স্থবাদার পদে নিযুক্ত করিলেন। ৫ জুন” বঙ্গের নূতন দেওয়ান আবুল হসন আগ্রা হইতে রাজমহল পৌছিলেন। এখানে ইস্লাম খ অগ্ৰেই আসিয়াছিলেন । ১৩ জুন , ইহতমাম খাঁ তোপ ও নওয়ার লইয়া আগ্র হইতে বঙ্গের দিকে রওনা হইলেন । ৭ ডিসেম্বর , ইসলাম খাঁ সসৈন্যে নৌকাযোগে গঙ্গা বহিয়া রাজমহল হইতে নিমবঙ্গের দিকে রওনা হইলেন । ২ জাহুয়ারি ১৬৯৯, ইসলাম খ মুর্শিদাবাদের গোয়াশ থরগণার ধারে গঙ্গা পার হইলেন, এবং নৌরঙ্গাবাদ সৰ্বকারে আলাইপুর গ্রামে শিবির স্থাপন করিয়া প্রায় দুই মাস বাস করিলেন। ২ মার্চ , ইসলাম আলাইপুর হইতে নাজিরপুরের দিকে উত্তরে ] কুচ আরম্ভ করিলেন । ৫ বা ৬ মার্চ , ইসলাম প। ফতেপুরে থামিলেন। ৩০ মার্চ , ইসলাম খাঁ। ফতেপুর হইতে কুচ করিয়া রাণা টাগুাপুরে পৌছিলেন। ২৬ এপ্রিল , বস্ত্রপুরে প্রতাপাদিত্য ইসলাম খার সহিত দেখা করিলেন । ৩০ এপ্রিল , ইসলাম খা আত্ৰেয়ী নদীর ধারে শাহপুরে পৌঁছিলেন, এবং এখানে শিবির রাখিয়া নাজিরপুরে নয় দিনের জন্য গিয়া খেদা করিয়া ৩২টি হাতী ধরিলেন । ২ জুন , ইসলাম খাঁ শাহপুর হইতে নদীতে পুল বাধিয়া ঘোড়াঘাট পৌছিলেন। ১৫ অক্টোবর , ইসলাম থা ঘোড়াঘাট হইতে করতোয় বহিয়া পূৰ্ব্ববঙ্গের দিকে রওনা হইলেন। জমিদারদের সঙ্গে যুদ্ধ । ১৮ ডিসেম্বর , ইসলাম খ। পাবনা জেলার শাহজাদপুরে । পরে মুসাখার সহিত যুদ্ধ। জুন ১৬১০, ইসলাম খা বারভূইয়াকে পরাজয় করিয়া ঢাকায় প্রবেশ করিলেন । মার্চ ১৬১১, মুসার্থীর সহিত দ্বিতীয় বার যুদ্ধ। নবেম্বর , উস্মান বোকাইনগর হইতে শ্ৰীহটে তাড়িত হইলেন। ? জানুয়ারি ১৬১২, প্রতাপাদিত্যের পতন । ২ মার্চ ১৬১২, উসমানের যুদ্ধে মৃত্যু। ১১ আগষ্ট ১৬১৩ ভাওয়ালের জঙ্গলে ইসলাম খাঁর মৃত্যু। ৫ । পাবনা জেলার জমিদারদের দমন ইসলাম ধী রাজমহল পৌঁছিবার পূৰ্ব্বে উস্মান ময়মনসিংহ হইতে ব্ৰহ্মপুত্র পার হইয়া পশ্চিম দিকে আসিয়া মুঘলদের জালপসিংহ থান দখল করিয়া, থানা