পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧ર ঘারা কোমব হইতে হাটু অবধি । তাহার ডান দিক খোলা থাকে। , নাচিবার সময় যখন ঘারার ডানদিক হাওয়াতে মাঝে মাঝে উড়িয়া যায় তখন ডান উরু জঙ্ঘা ও জাকুর নানা রকম উল্কি চোখে পড়ে। মধ্য গায়েনার বিবাহ এবং বিবাহের পূৰ্ব্বের আচার ব্যবহার এইরূপ—কোনো যুবক কোনো যুবতীর প্রেমে পড়িলে সে-দিন শেষের অন্ধকারে তাহার পিতার বাড়ী যায়। সত্যিকারের কোনোরূপ লুকোচুরি মাই বটে, তবুও একটা লোকদেখানে লুকোচুরির ভাব থাকে। কারণ বাড়ীর অন্যান্য সকলে ঘুমাইবার ভান না করা পৰ্য্যন্ত প্রেমিকবর প্রেমিকার গৃহে প্রবেশ করে না। তার পর তাহারা দুইজনে রাত্রি একসঙ্গে যাপন করে - বর মহাশয় বিবাহের পূৰ্ব্বে নানাপ্রকার কুকুরের দাতের হার, শামুকের খোলার ও মুক্ত-খোলার নান রকমের গহন সংগ্রহ করে । এই সমস্ত দ্রব্যাদি ইহাদের কাছে খুবই মূল্যবান এবং কন্যার বদলে এই-সমস্ত তাহাকে দিতে হয়। বিবাহের পূৰ্ব্বে এই-সমস্ত দামী দামী যৌতুক বর তাহার শ্বশুরমহাশয়কে দেয়, তিনি নিজের জন্য বিশেষ কিছুই রাখেন না, জ্ঞাতি-কুটুম্বের মধ্যেই প্রায় সব বিলাইয়া দেন । এই প্রথার দ্বারা বুঝায় যে কোনো কন্যা একমাত্র তাহার পিতার সম্পত্তি নয়, সে তাহার জাতির কতকটা সাধারণ ধনের মত। বিবাহের কয়েকদিন পরে কন্যার অঙ্গ হইতে সমস্ত গহনা খুলিয়া লওয়া হয়। বাপের বাড়ীর কোনো জিনিষই সে সঙ্গে লইতে পারে না । গহনাদি লওয়ার এক সপ্তাহ পর পৰ্য্যন্ত কন্যা তাহার উৎসবের “রামি” বা ঘাঘূরা পরিয়া থাকে, তাহার পর ইহাও তাহাকে তাহার পিতার বাড়ীতে ফেরৎ দিতে হয় ! এইবার তাহার মাথ৷ মুড়াইবার পালা। ভাঙ্গা কাচ দিয়া এই কাজ চলে। তখন হইতে সাধারণ ঘাঘূরা পরিতে হয় এবং বিবাহিত কন্য আর কোনোদিনই নাচে যোগ দিতে পারে না বিবাহিত নারী নাচে যোগ দিলে বড় লজ্জার কথা হইয়া পড়ে। স্বামীর মৃত্যুর পর মৃত আত্মাকে খুলী রাখিবার জন্য নারীকে অনেক কিছুই করিতে হয়। আচার-বিচারের কোনো প্রকার অন্যথা হইলে মৃত আত্মা এত ক্ষেপিয়৷ প্রবাসী—ভান্দ্র, లిశిన [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড AMAMA AM MAAAA SAS A SAS A SAS A SAS SSAS SAMAMAAAS SSAAAASA SAAAAAeMMS উঠেন যে বলা যায় না। মৃত্যুর পর ,প্রথমেই একটা ভোজ হয়। ভোজের পূর্বে বিধবা নারীকে মাথ৷ মুড়াইয়া সৰ্ব্বাঙ্গে কালী লেপিতে হয়। পা পর্যান্ত ঢাকা পড়ে, এমন একটা ঘার পরে, আর-একটাতে কঁাধ হইতে কোমর অবধি আবৃত করে । তাহার উপর একটা জালের বোন ওয়েষ্ট-কোট সদৃশ আঙ্গিয়া পরে। কাধ হইতে কোমর পর্য্যন্ত জাম না পরিয়া এই রকম একটা ওয়েষ্টকোট পরিলেও হয়। মাথায় জালের বোন একটা শোকস্থচক টুপী পর চাই । তাহাকে নানা রকমের শামুকের গহনাও পরানো হয় এবং স্বামীর গলার কোনো একটা অলঙ্কার কালো স্থত দিয়া বাধিয়া বিধবা গলায় ঝুলায়। এই রকমের আরো খুচরা অনেক কিছু অঙ্গে ঝুলাইতে হয়। তাহার পর শেষ শোক-গেজ সমাধা হইলে পর মৃত স্বামীর কোনো আত্মীয়া ( ভগিনী হইলেই ভাল ) বিধবার ঘাঘূরা কাটিয়া ছোট করিয়া দেয়। তাহার পর বিধবা দেহ হইতে কালী ধুইয়া ফেলিতে পারে এবং ইচ্ছা হইলে আবার বিবাহ করিতে পারে। ঘর-সংসারের কাজের জন্য এই দেশের মেয়েদের বড় বেশী থাটিতে হয় । সকালেই জলের কলসী বঁাশের তৈরী ) ভরে, তারপর মেয়েরা খাবারের জোগাড় করে । এই-সমস্ত কাজ শেষ হইলে পর ছেলেপিলেদের সেবা আছে । ছেলেকে কোলে বা র্কাধে করিয়া মেয়ের বাগান হইতে খাদ্য সংগ্ৰহ করিতে যায়। শস্য-বীজ বপনের সময় মাটিকাট এবং বেড়া দেওয়া ছাড়া আর সব কাজই নারীদের করিতে হয়। সংসারের জালানী কাঠও তাঁহাদের জোগাড় করিতে হয়। নারীরা সকালের দিকে বাগানে যায়, ফিরিতে তাহাদের দুপুর পার হইয়া যায়, আবার একটু পরেই চাষের কাজে গিয়া বিকালে নারীর বাড়ী প্রত্যাগমন করে। বাড়ীতে আসিয়াই তাহাদের আবার রাত্রের ভোজ্য দ্রব্যের আয়োজনে ব্যস্ত থাকিতে হয় । মেয়েদের জন্যই গ্রামের একদল লোকের সঙ্গে আর-এক দলের প্রায়ই তুমুল মারামারি হয়। সমুদ্রতীরের হাটে কোনো নারী হয়ত মাছ কিনিতে বা বিক্রয় করিতে গিয়াছে, সেখানে যদি কেহ কোনো বৰমে তাহার অপমান করে—তবে সেই নারী গুহে আসিয়া