পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$6 TM AeAeeMAeeMAeMAeeMAMAM eeAAAS ईमब्र उांश गर्मज श्रेरउं अश्न कब्रिग्रांटाइन ७ गर्विज বিলাইয়াছেন। কিন্তু আজ এ কি দেখি যাহাকে বলি বৈদেশিক শিক্ষা তাহারই শিক্ষাশালা হইতে জমকতক ছাত্র ভাগাইয়া লইয়া পরীক্ষার ব্যবস্থা করিলাম আর নাম হইল জাতীয় বিদ্যাপীঠ । এ যেন নামাবলী দিয়া পেষ্টলান গড়িয় নাম দিলাম জাতীয় পরিচ্ছদশ উলঙ্গ হইয়া উলঙ্গ প্রকৃতির কোলে ঝাপাইয়া পড়িলেই কি ভারতের এতকালকার সাধনার সিদ্ধি ! শেষ কালে কি সব ছাড়িয়া হিন্দী ও চর্কার চর্চাই এ জাতির পিতৃ-পুরুষ পূজ্যপাদ ঋষিগণের ঋণশোধের পক্ষে যথেষ্ট বলিয়া মানিয়া লইতে হইবে ? হায় ! ঋষিগণের যুগযুগন্তের তপশ্চৰ্যার কি এই পরিণাম । ইহারই নাম ‘আমার বুদ্ধি শোন, ঘর দোর ভেঙ্গে ফেলে নটে শাক বোন।' যদি নটে শাক বুন এতই প্রয়োজনীয় হয় তবে ঘর দোর ভাঙ্গিতেই হইবে এমন কি কথা আছে। “যে জাতীয় শিক্ষা বিজ্ঞান যন্ত্রবিদ্যা ও বৈদেশিক সংশ্ৰব পরিত্যাগ করে, তাহ। আর যাহাই হউক ভারতীয় নয় ইহা উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা করিতে হইবে । ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় বৈদেশিক যান্ত্রিক রাসায়নিক ও ধাতুবিদ্যাবিনের জন্য যেমন উন্মুক্ত ছিল, জগতের বাজারে ভারতও অন্যান্য পণ্যের ন্যায় বিদ্যা-বাণিজ্যের আদানপ্রদানের দাবী কখনও পরিত্যাগ করেন নাই। ইহারই ফলে ভারতে নীল পাকা রং ও ইস্পাতের উদ্ভব—যাহারা একদিন ভারতমাতাকে মধ্যএশিয়ার কত্রীপদে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিল। ভারত-মাতা যে একদিন সহস্ৰাধিক বর্ষ ধরিয়া প্রাচ্য-প্রতীচ্যের শিল্প-বাণিজ্যক্ষেত্রের অধিষ্ঠাত্রীরূপে বিরাজ করিয়াছিলেন, জগতের জাতিসকল যে সৰ্ব্বৰাদিসন্মতরূপে র্তাহার প্রাধান্ত নিৰ্ব্বিবাদে মন্তক পাভিয়া গ্রহণ করিয়াছিল, তাহা কেবল র্তfহার জঙ্গলের চন্দনকাষ্ঠ ও স্বগন্ধি মঙ্গল সম্ভার, জাকরের হীরা আর প্রবালী-বৈশাখ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ ঠগ খণ্ড छरजव्र श्रृङाब्र गश्षािंग्न नग्न। उँच्न बांइक्सजिब्ररी किङ्क কিন্মত উহার মধ্যে ছিল। স্বতরাং প্রাচীনের দিকে কেবল মুখ কিয়াইলেই আমাদের সকল দুৰ্গতির অবসান হইবে না। আমাদিগকে ধদি বাস্তব জাতীয়ঞ্জ লাভ করিতে হয় তবে সেই শিক্ষা-পদ্ধতিকেই পুনরুজ্জীবিত করিতে হইবে যাহার জন্ত রাজা রামমোহন রায় আপনার সমগ্র সাধনা নিয়োগ করিয়াছিলেন যাহার মধ্যে পর- ও অপর-বিদ্যা সমঞ্জসীভূত হইয়৷ রহিয়াছে এবং যাহার বলে এই প্রাচ্য ভূখও কোনোরূপ সাম্রাজ্যপিপাসাদ্ধারা পরিচালিত না হইয়াও সেই সিদ্ধি লাভ করিয়াছিল যাহাতে পূৰ্ব্ব উপদ্বীপ হইতে পূৰ্ব্ব আফ্রিকা ও দক্ষিণ যুরোপ পৰ্য্যন্ত এক বিশ্ব-জোড়া বৈদেশিক বাণিজ্য তাহার করায়ত্ত হইয়াছিল । ū f যে শিক্ষা বিজ্ঞান ও ধন্ত্রবিদ্যাকে ক্ষহিংসার সঙ্গে যুক্ত করিয়া দিতে সমর্থ নয়, বিজ্ঞানের একটা বিকৃতির সঙ্গে হিংসার যোগ দেখিয়া বিজ্ঞানকেই পরিত্যাগ করিতে উদ্যত—ষে শিক্ষা পার্থিব লাভালাভের সঙ্গে আধ্যাত্মিক মুক্তির পথও দেখাইবে না, তাহ ভারতের জাতীয় শিক্ষা বলিয়। কখনও সুধীজনকর্তৃক গৃহীত হইবে না । সত্য বটে ভারতই প্রথমে বিজ্ঞানের সাহায্যে ‘Rosa Ny. “Damascus blade”.4% of wors শিখাইয়াছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ হস্ত তুলিয়া তিনি বিশ্বমৈত্রী ও পরাশাস্তির পথও জগৎকে দেখাইয়াছেন । যে শিক্ষায় এই শান্তি, এই মৈত্রী, এই মুক্তির দ্বার খোলে, যদি সেই শিক্ষা পুনরুজ্জীবিত করিতে পার, তবে জাতীয় শিক্ষার কথা বল। নতুবা যা করিভূেছিলে তাই কর, পাপের বোঝা বাড়াইও না । * ঐধীরেন্দ্রনাথ চৌধুরা,

  • মহীশূর-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলার পণ্ডিতবয় ডাক্তার ব্ৰজেন্দ্রনাথ শীল মহাশয়ের কনভোকেশন স্পিচ অবলম্বনে লিখিত।