পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্য}} :স্বক্ষিত্রা && মিজার সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের দিনটা এখনও বেশ মনে ড়ে। অনেককাল জীগেকার কথা । সে সময়কার ীৈবনটা বেশীর ভাগই ঝাপসা হয়ে এসেছে ; বিশ্বতির স্বালা তার অনেকখানি ঢেকে ফেলেছে ; দু-একটা দিন, ছাটোখাটো গোটাকতক ঘটনা, এই কেবল এখনও নোলোকে স্বম্পষ্ট আকার নিয়ে টিকে আছে । পূজোর ছুটিতে বাড়ীম্বন্ধ মামার বাড়ী এসেছিলাম। বে বেশী দূর আসতে হয়নি। কলকাতার একটা পাড়া ছড়ে আর-একটা পাড়ায় গিয়ে ওঠা, এই মাত্র । কিন্তু জোর সময়" বাপের বাড়ী যাওয়ার নিয়মটা মা ভাঙতে জি ছিলেন না। এতকাল আমাদের বিদেশে কেটেছে, দথান থেকে আসাটার মধ্যে বেশ একটা গৌরব ছিল। iাঝে কত-শ' মাইলের ব্যবধান, বাজী ছেড়ে ঘোড়ার Iাষ্ট্রীতে ওঠ, তার থেকে ট্রেন, ট্রেন থেকে নেমে আবার ঘোড়ার গাড়ী, তারপর মামার বাড়ী। তার gলনায় এই দুটো বড় রাস্ত আর সঙ্কীর্ণ তিনটে-গলির রন্থ অভ্যন্তই নগণ্য লাগছিল ; কিন্তু গিয়ে পৌছবার র আনন্দটা সেজন্তে কিছু কম হল না । তখন সেকেওক্লাশ ছেড়ে এন্টাল ক্লাশে উঠার উপক্রম করছি। এষ্ট্রান্স ক্লাশ ষে ম্যাট্রীকুলেশন ক্লাশ নয়, এ কথা মনে রেখে আশা করি কেউ আমার মামার বাড়ী যাওয়ার আনন্দটাকে অসন্থ দ্যাকামি মনে করবেন না ;–তখন আমার বয়স মাত্র তেরো বংসর । বিকেলের দিকে বেড়াতে যাবার ইচ্ছায় দোতলা ছেড়ে একতলায় নামূছিলাম। রান্নাঘরের সালের বারাণ্ডায় তখন একটা sরীতিমত সভা বন্ধু •গিয়েছে । দিদিমা প্লারি কুটুতে বলেছেন, চারপাশে তার মাতি-নাতনীর কড়াইস্কটি ছাড়াবার ছুতোয় কেউ খেতে ব্যস্ত কেউ তার অনাচারটা কর্তৃপক্ষের গোচরে এনে -পূর্বনের বৃথা চেষ্টা করছে, কেউ বা ছোট ভাইরনকে, চিমটি কেটে বা চুল ধরে টেমে নিজের চিত্ত प्नांनन कवृहइ । এ দৃশুটা কিছু নতুন নয়, এবং মাস্থ্যগুলিও কেউই অপরিচিত নয় ; ঝুঁজেই এখানে দাড়াবার কারণ এখানে না খুঁজে, অন্ত কোনো দিকে খুঁজতে হয়। " 喙 আমি নামতেই আমার বড়মামী চেচিয়ে বললেন, “বীর, দে-না ওদের স্কুটোকে ছাড়িয়ে গেল যে !” বারাণ্ডারই একেবারে শেষ প্রান্তে যে একটা মল্লযুদ্ধ চলছে তা এতক্ষণ লক্ষ্য করিনি। মামীর কথায় যোদ্ধা ছুটির মাঝখানে পড়ে তাদের ছাড়াতে গেলাম। আমার এই শাস্তিস্থাপনের সাধু চেষ্টার প্রথম ফল হল এই যে দুজনের কিল চড় আঁচড় কামড় সব-কটা আমার গায়ে এসে পড়ল। মিনিট পাঁচ-ছয় যেন আমার উপর দিয়ে একটা ঘুর্ণ বায়ু বয়ে গেল। তিন জোড়া হাত-পু এমনু লক্ষ্যহীন নিরপেক্ষ ভাবে চালিত হতে লাগল, যে তার. শেষ পরিণাম খুবই শোচনীয় হতে পারতু, যদি না বাইরের থেকে আরো সাহায্যকারী দেখা দিতেন । তিনজনে যখন তিন জায়গায় দাড়ালাম তখন আমার মাথা এবং মুখ জালা করছে, কোটের দুটাে বোতাম ছিড়ে গিয়েছে এবং বাকি পোষাক-পরিচ্ছদের সৌষ্ঠবও আমান নেই। - . আর দুটি মানুষের মধ্যে যেটি আমার ভাই, তিনি আমার সাম্নেই দুই-চোখ-ভরা জল আর মুখ-ভরা তীক্ষ আক্রমণের চিহ্ন নিয়ে দাড়িয়ে আছেন। একটু পাশের দিকে একটি সাত-আট বছরের মেয়ে দেয়ালে ঠেশ দিয়ে স্থাপাচ্ছে। তার কাপড়খানা ধূলোয় প্রায় গৈরিক হয়ে উঠেছে, মাথার চুলের কাল রঙও অনেকখানি চাপা পড়ে গিয়েছে। চোপ দুটো ক্রুদ্ধ পশুশাবকের মত জলজল করছে। আমাদের দুজনের চেয়ে চড়-চাপড় সে বেশীবই কম থায়নি, কিন্তু চোখে এক-ফেঁটা জল নেই ; এমন ভাবে দাড়িয়ে আছে যেন স্থবিধা পেলেই জারএক পালা হরু করতে তার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। দিদিমার সভাট এই আকস্মিক উৎপাতে একেবারে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছিল। তিনি উঠে পড়ে সেই রণরঙ্গিণী