পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-b-b - - - - - P - প্রস্তুত থাকেন তাহা হইলে আঙ্গের সরকার যুদ্ধ স্থগিত রাধিবার প্রস্তাব ভাবিয়া দেখিতে পারেন । • যুদ্ধজয়ের সংবাদ পাইরা কামাল উহার সৈন্তবর্গের নিকট এক ইস্তাহার কুরি করিয়া বলিলেন—“শক্রপক্ষের শক্তির ক্ষেত্রে আঘাত করিয়া তাহাকে ধ্বংস করিতে সমর্থ হওয়াতে তোমরা দেশের কৃতজ্ঞতাভাজম হইয়াছ । তোমাদের শক্তির পরিচয় পাইয়া ভবিষ্যতের প্রতি তুরস্ক জাতির ভরসা জন্সিয়াছে।” অ্যানাটোলিয়াতে যুদ্ধ এখনও শেষ হয় নাই। সৈন্তগণ ! তোমাদের প্রথম কৰ্ত্তব্য সমুদ্রতীরে স্মার্ণ দখল কর । অগ্রসর হও । জয়লাভ কর!” কামালের ইস্তাহারে উৎসাহিত ইইরা তুরস্ক সৈন্ত স্মার্ণ অভিমুখে রওনা হইল। ১১ই সেপ্টেম্বর খবর আসিয়াছে তুরস্ক সৈন্ত স্মাণ।.দখল করিয়াছে। উত্তরে দার্দেনেলিস্ প্রণালীর তীরে ক্রস সম্বরও তুরস্ক সৈন্ত দখল করিয়াছে। গ্ৰীয়ের এই আকস্মিক ভাগ্য-বিপৰ্য্যরে ইউরোপীয় রাষ্ট্রনৈতিকু সংস্থান পরিবর্তিত হইবার সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে। সে পরিবর্তন তেকার জাতির পক্ষে খুব সুবিধাজনক হইৰে ন বলিয়া ইউরোপার রাষ্ট্র-ধুরন্ধরেরা • চিত্তাকুলিত হইয়া উঠিয়াছেন। তুরস্ক তাহার অঙ্গানু শক্তির পরিচয় লাভ করিয়া আবার উৎসাহিত হইয়া উঠিয়াছে। খেস ও আড্রিয়ানোপোল পুনর্দখল করির ইউরোপে আবার জাপনার শক্তির প্রতিষ্ঠা করিবার ভরসা তাহার হইয়াছে। তাই ওজদৃপ্তকণ্ঠে তুরঙ্গ-প্রতিনিধি ফড়ে এব বলিতেছেন, "আমরা ইউরোপে আবার তুরস্ক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করিয়া, থুেস ও" আড়িয়ানোপোল দখল করিয়া তবে ক্ষান্ত হইব । ইহাতে যে কোন শক্তি . আমাদিগকে বাধা দিৰে তাহদের সহিত যুদ্ধ করিতে আমরা পরামুখ হইব না " তুরস্কের এই জাগরণে ইংরেজ বড় প্রীত লছেন । ফ্রান্স বলিতেছেন যে তুরস্ককে তাহার হৃত সাম্রাজ্য ফেরত দেওয়া হউক ; আর গণ্ডগোলে প্রয়োজন ব্লাই। ইংরেজ বলিতেছেন, "এসিয়া মাইনরে তুর্থ আপনাকে.প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে, সেখানে তাহাকে স্বীকার করা যাইতে পারে। কিন্তু ইউরোপে তাহার প্রতিষ্ঠা হওয়া সম্ভবপর হইবে কি না সন্দেহ । ৰধান রাজ্যসমূহ, জেকো-সোভাকিয়, যুগে-সুভিয় প্রমুখ পশ্চিমের প্রাচ্যপ্রাপ্তিক রাজ্যসমূহ যে ইহার বিরোধী। আমরা খুই"তন রাজ্যগুলির স্বার্থের দিকে দৃষ্ট রাখিতে যে প্রতিশ্ৰুত আছি। কাজেকাজেই আমরা তুরস্কের দাৰী এত, সহজে স্বীকার করিলে প্রতিপ্রতি ভঙ্গ হইবে। আর তুরস্কের পৃষ্ঠান প্রজাপুরকে রক্ষা করিবার গুর দায়িত্ব যে জামাদের । সেজগুও আমাদের অবস্থা অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ। আমরা সহজে কোনও মীমাংসা করিয়া ফেলিতে পারি না।” তুরস্ক বলিতেছেন, “কেহ আমাদের স্বীকার কর আর নাইক, আমরা আমাদিগের হৃত সাম্রাজ্য নিজ বাহুবলে উদ্ধার করিব । আমরা কাহারে সাহায্যের প্রত্যাশী নহি। যদি কেহ আমাদিগকে বাধা দিতে জালে, সে বাধা আমরা মানিব না । তুরস্কের পুনঃপ্রতিষ্ঠাই আমাদের সাধনা। আমরা সে সাধনাতে সিদ্ধিলাভ করিব।” . ফরাসী কাগজপত্রের স্বরে আবার ইংরেজ-বিদ্বেষ ফুটিয়া বাহির হইছে। পেতি,পারিঙ্গি নামক স্ববিখ্যাত ফরাসী পত্রিকা বলেন যে মন্মোর সাগরের তীরে ফরাসী সৈন্ত এখনই প্রেরণ করা উচিত । কেননা সেখানে ইংরেজ সৈন্ত গ্ৰীক সৈন্তের স্থানে আসিয়া উক্ত স্থান রক্ষা করিয়া গ্রীসের সাহায্য করিতেছে বলিয়া উক্ত পত্রিকার বিশ্বাস । এবং কামালের সৈম্ভের সঙ্গে বৃটিশ বাহিনীর সংঘর্ষ এক ফরাসী সৈন্তই ৰামাইতে পরিৰে। মার্ত্য পত্রিকা বলেন যে, আমরা ইংরেজদিগকে এই উপদেশই দিতেছি যে অজেয় শত্রুর সহিত সন্ধি করাই সমীচীন। ইংলণ্ডও লরেড জর্জের শাসনের বিরুদ্ধে মহা অসন্তোষ দেখা প্রবাসী-আশ্বিন, >થરને ・ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ・い・か・・・・ to . . . . JSJSJAAAA SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAJYJSS S SSS [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড করিতেছে এবং ইংরেজ সরকারের তুরঙ্গ-নীতি অত্যন্ত অবিবেচনার পরিচায়ক হইয়াছে বলিয়। লয়েড জর্জকে দোষ দিতেছে । লয়েড জর্জ পদত্যাগু, কবিনে এনি কথাও শুন যাইতেছে। কাজেৰাজেই বলিতে হয় যে প্রাচ্য সমস্যা আরও জটিল হইয়। উঠিল । , সমস্ত মুসলমান জগৎ এখন মুগ্ধনেত্রে এই . ਬਲ਼’ মুসলমান বীর গাজী মুস্তফা কামাল পাশার প্রতি চাহিয়া আছে। ইষ্টার অলৌকিক শোয্যে তরস হয়, পুঝি বা মুসলমান শক্তির ভাগ্য আবার প্রসন্ন হইল । গ্রিফিথসের মহাপ্রস্থান— o मङ्ख्नो १|क्कि (गमन मआांशूः অীন্দোলনের প্রবর্তন করির ভারতের রাজনৈতিক আন্দোলনের ধার.ক এক অভিনব পথে পরিচালিত করিয় রাষ্ট্রনৈতিক আদশকে উন্নততর নৈতিক ভূমিতে লইয়া গিয়াছেন, আয়ার্ল্যাণ্ডের রাষ্ট্রনেতিক ধারাকে তেমনই নুতন পথে পরিচালিত করিয়া আর্থার গ্রিফিথস্ আয়ার্ল্যাণ্ডের সাহিত্য, রীতিনীতি, স্বকুমার কলা, দর্শন ও রাষ্ট্রনৈতিক জীবনের সর্বাঙ্গীন উন্নতি সাধন করিতে সমর্থ হইয়ুছিলেন। আত্মশক্তিতে বিশ্বাসপরায়ণ হইয়া নিজের চেষ্টায় স্বদেশের"মঙ্গলসাধন করাই গ্রিফিথসূ-প্রবর্হিত সিনফিস্ আন্দোলনের উদ্দেষ্ঠ । ভাষায়, আর্টে, আদর্শে ও এমন কি থুেলা-ধুলার সম্পূর্ণভাবে স্বদেশী ছাচে আইরিশ জাতিকে গড়ির তুলিতে এই আন্দোলন প্রয়াস পাইয়াছে। ১৮০১ খৃষ্টাব্দে রাষ্ট্ৰীয় বিধানে ইংলণ্ড ও আয়ার্ল্যাণ্ডের শাসনতন্ত্র এক বলিয়৷ শোধিত হয় ; সেইদিন হইতে আয়ারল্যাণ্ডের রাষ্ট্রর স্বাধীনতার লোপ হয় । ১৮•৩ খৃষ্টাব্দে আইরিশ বীর রবার্ট এমেট, বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হইয়। জীবন বিসর্জন করেন। ওগর পর ১৮৪ খৃষ্টান্ধে আয়ারল্যাণ্ডের তরুণ সম্প্রদার টমাস ডেভিস, গ্যাভান ডাফি ও জন্‌মিচেলের অধিনায়কত্বে আইরিশ জাতীয় আন্দোলনের জন করেন এবং জাহীদের মুখপত্ররূপে "নেশন” পত্রিক প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু সে আন্দোলন অধিক দিন স্থায়ী হয় নাই। মিচেল একাকী ইউনাইটেড, আইরিশমান কাগজ স্থাপন করির জাতীয় আন্দোলন চালাইতে থাকেন। তাহার নির্বাসনের পর আইরিশ আন্দোলন কিছুদিনের জন্ত স্থগিত থাকে। আমেরিকার প্রবাসা আইরিশগণ নানা প্রকার রাজদ্রোইকর সমিতি স্থাপন করির ইংরেজ সৰ্ব্বারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাইতে থাকেন । ১৮৯৩ সালে পিয়াসের নেতৃত্বে গেলিক লিগ, স্থাপিত হয় । • তাহার উদেষ্ঠ ছিল আইরিশ ভাষা সাহিত্য সঙ্গীত ও বাণিজ্যের মুক্তি। ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে গ্রিফিথস্ 'ইউনাইটেড আইরিশ ম্যান’ কাগজ স্থাপিত করিয়া এই আন্দোলনকে খুব প্রসারিত করিয়াছেন । গ্রিফিথসের লেথার এমন একটা তেজ ছিল ধে চারিদিকে মহাচাঞ্চল্যের সঞ্চার হইল। আইরিশ জাতি নৰ উৎসাহে মাতিয়া কন্মক্ষেত্রে নামিয়া গেলেন। ইংরেজ সরকার বিপদ দেগিল্প। গ্রিফিথ সের পত্রিকার প্রচার বন্ধ করির দিলেন। গ্রিফিথস বারবার বাধা পাইয়াও ক্ষান্ত হইলেন না। উল্‌ফটোন, জন মিচেল, লুইক স্বথ, ও জন্ম ডিক্‌ প্রভৃতি স্বদেশহিতকামী ব্যক্তিদিগের-জীবনচরিষ্ঠ ও কন্মপ্রণালীর সহিত আইরিশ জাতির পরিচয়সাধন করাইয়া গ্রিফিথস আইরিশ জাতিকে যেরূপ তাৰে উদ্বুদ্ধ করিয়৷ তুলেন তাহার ফলে আয়ারল্যাণ্ডে, ডিকের নেতৃত্বে হাঙ্গেরীতে ষ্ণুেপ : আন্দোলন হইয়াছিল, তদনুরূপ একটি আন্দোলনের স্বষ্টি হয়। এই আন্দোলনই সিনফিন আন্দোলন নামে ইতিহাসে বিখ্যাত,হইয়াছে। গ্রিফিথসকেই, ইহার স্রষ্ট বল যাইতে পাৰে। গ্রিফিথল এই আন্দোলনের ব্যাখ্যাতরূপে আইরিশ সাহিত্য দর্শন সঙ্গীত চিত্রকলা প্রভৃতি জীবনের সমস্ত দিকেই যে নুতন ভাবের স্বজন করেন