পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরলোকগত মতিলাল ঘোষ মূলে সম্ভবতঃ এইরূপু প্রতিজ্ঞ ছিল ; কেনন, তিনি মৃত্যুর কিছু পূৰ্ব্বে দেশের বর্তমান সঙ্কট অবস্থায় কাৰ্য্যক্ষেত্র হইতে অবস্থত হইতে হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করিয়াছিলেন ; বুলিয়াছিলেন যে, আরো কিছুদিন বাচিয়া থাকিলে হয়ত দেশের কিঞ্চিং সেবা করিতে পুরিতেন। o মতিলাল ঘোষ ও র্তাহার ভ্রাতার যশোর জেলার একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । র্তাহাদের মাত৷ অমৃতময়ীর নাম অনুসারে উহার অমৃতবাজার নামকরণ হয়। প্রসিদ্ধ অমৃতবাজার পত্রিকা ঐ গ্রাম হইতেই বাংলা সাপ্তাহিক রূপে কিছুকাল প্রকাশিত হইয়াছিল। ঘোষ ভ্রাতাদিগের মাতৃদেবীর উল্লেখ পূণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিতে দৃষ্ট হয়। তাহাদেরও উল্লেখ এই পুস্তকে আছে। তাঙ্গর দুই-একটি স্থান হইতে কিছু উদ্ধত করিয়া দিতেছি । o o , "একবার রাজি দুইটুর সময় উপেন সপরিবারে পলাই। কলিকাত হইতে অমৃতবাজারের শিশিরকুমার ঘোষের বাড়ীতে যান। তপন শিশিরবাবুর অগ্রসর সংস্কারক, ও ব্রাহ্ম ছিলেন।” “তখন উন্নতিশীল ব্রাহ্মদের মধ্যে ‘আনন্দবাদী দল’ মামে একটি দল হইয়াছিল, অমৃতবাজারের শিশিরকুমার ঘোষ ও উহার ভ্রাতৃগণ এই দলের নেতL ৰলিয়া গণ্য ছিলেন ;ি ইহার একটু ইতিবৃত্ত আছে।... న48 ' o প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২৯ ‘ o | ૨રન ૩ાન, ડેમ બ્રહ S S S S S S S S S AAAA S S S S ه ہے ۔ ۔ ۔ ۔م কেপ্লববাবুর দলের লোকদিগের যীশু-গ্রীষ্ট্রের প্রতি অতিরিক্ত ক , হইয় পড়ে।...ইহার ফলস্বরূপ খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মভাব যে অমুতাপ ও প্রার্থন, তাহা উন্নতিশীলদলকে প্রবলক্সপে অধিকার করে ; পাপবোধ নব্য ব্ৰাহ্মদের সকলের অস্তরে প্রবল হইয় উঠে ; অমুতাপবাঞ্জক সংগীতাদি রচিত হইতে থাকে ..... & R “যগণ একদিকে অমৃতাপ, ব্যাকুলতা ও প্রার্থনীর তরঙ্গ প্রবাহি৩ হইতেছে, তপন অপরদিকে ব্রাহ্মদের মধ্যে একদল লোক বলিতে লাগিলেন, ‘এত • অনুতাপ ও ক্ৰন্দন কেন ? প্রেমময়ের গৃহে এত ক্ৰন্ধনের রোল কেন ? আনলুমরের প্রেমমূখ দেখিয়া আনশিত হও । এই দলকে ব্রান্ধের তপন ‘আনন্দবাদী দল’ বলিতেন । শিশিরবাৰু ইহঁদের অগ্রণী ছিলেন। নরপুঞ্জার হাঙ্গামা দেখিয়৷ ইহঁর আমাদের , ভিতর হইতে সরিয়া পড়িলেন। ৮৬৯ সালের মাঘোৎসবে একজন • মুঙ্গের হইতে সম্বাগত ব্রাহ্ম, উপাসনাস্তে –র চরণে ধরিয়া কি প্রার্থন আরম্ভ করিলেন। তাঁহাতে শিশিরবাবুর দাদা হেমন্তবাবু রাগ কবিয়া চলিয়া গেলেন।... - “ইহার পরে অমৃতবাজারের দলকে আর জামাদের উপাসনা৩ে বড় আসিতে দেখিতাম না । কলিকাতা পটলডাঙ্গ, পটুয়াটোল লেনে যশোরের লোকদের এক বাসা ছিল। শিশিরবাবু সেখানে মধ্যে মধ্যে আসিতেন। তিনি আসিলেই আনন্দবাদী দলের সমাগম হইত । তাহার: আমাকে ডাকিতেন, সে সময়ে প্রধানতঃ সংগীত ও সংকীৰ্ত্তন হইত। শিশিরবাবু চমৎকার কীৰ্ত্তন করিতে পারিতেন, উহার কীৰ্ত্তনে আমাদিগকে পাগল করিয়া তুলিত । “একদিকে যেমন অনুতাপ ও ক্ৰন্দন শুনিতাম, অপরদিকে ইঙ্গদের কাছে গির আনন্দ ও নৃত্য দেখিতাম, তখন ইহা ৰেশ লাগিত। শিশিরবাবুদের ভাইয়ে ভাইয়ে ভাব দেপির মন মুগ্ধ হইরা বাইত। ইহার পরেই তাহার, কলিকাতা হিদেরাম বড়য্যের গলিতে আসিয়া বাসা করিয়া থাকেন। সে সময়ে তাহাদিগকে, সৰ্ব্বদা দেখিতাম । শিশিরবাবুর অমায়িকতা দেখিয়া আমার মন মুগ্ধ হইয়৷ যাইত। এক দিনের কথা স্মরণ আছে, তিনি সেদিন আমাকে আহার করিতে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন । আহারের সময় উপস্থিত হইলে বলিলেন, "কি পরের মত বাহিরে বসে থাবে! চল, রান্নাঘরে গিয়ে মাকে বলি, ' হাড়ি হতে গরম গরম ভাত তরকারি মীর হাতে না খেলে স্বথ হয় না । এই বলিয়৷ ছুজনে গিয়া রান্নাঘরে আহারে বসিলাম। যতদূর স্মরণ হয়, র্তার জননী গরম গরম ভাত তরকারি দিতে লাগিলেন, ও আমরা আহার করিতে লাগিলাম। ইহার পর হইতে শিশিরবাবুর অঙ্গে অল্পে ব্রাহ্মসমাজ হইতে সরিয়া পড়িলেন।” শাস্ত্রী মহাশয় লিখিয়াছেন, “শিশিরবাবুদের ভাইয়ে ভাইয়ে ভাব দেখিয়া মন মুগ্ধ হইয়া যাইত” । বস্তুতঃ মতিলাল ঘোষ মহাশয় যেরূপ ভ্রাতৃগতপ্রাণ ছিলেন, তেমন প্রায় দেখা যায় না। আপনাকে পশ্চাতে রাখিয়া অগ্রজ শিশিরকুমারের গুণকীৰ্ত্তন করিতে তিনি বড়ই ভালবাসিতেন, । • * অমৃতবাজার পত্রিকার ইতিহাস এবং মতিলাল ! ঘোষের জীবনচরিত অচ্ছেদ্যভাবে পরম্পর সম্বন্ধ, উভয়কে । গ্ৰায় এক বলিলেও চলে। অমৃতবাজার পত্রিক প্রথমে