পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88% ০৮:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~~...০৮:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) ০৮:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) পররাজ্যে ও স্বাধিকৃত একটি কল্পিত দৃষ্টান্ত দ্বারা তাহা বুঝাইবার চেষ্টা করি। -জামেনী চীনে জিনিষ বিক্ৰী করিতেছিল কিন্তু সেখানে অন্যান্য বিদেশী জাতি তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল । চীনার নিজেও নিজেদের দরকারী জিনিষ অনেক প্রস্তুত করে, ভবিষ্যতে হয় ত আরও বেশী পরিমাণে করবে। জামেনী যদি চীন জয় করিতে পারিত, তাহ হইলে নানা উপায়ে চীনের দেশী শিল্প ও দেশী জাহাজ নষ্ট করিয়া নিজের জিনিষের কার্টুতি আরও বাড়াইতে পারিত। ভবিষ্যতে যাহাতে চীনের শিল্প মাথা তুলিতে না পারে, তাহারও নানা প্রচ্ছন্ন বা প্রকাশু উপায় অবলম্বন করিতে পারিত। যেমন, জামেন-মালের রেলভাড়া কম ও চীনা-মালের রেলভাড়া বেশী ধাৰ্য্য করিয়া এবং কৌশলপূৰ্ব্বক অন্য বিদেশী বণিকৃদিগকে অপেক্ষাকৃত অধিক অসুবিধায় ফেলিয়৷ শিল্পবাণিজ্যে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীরহিত আধিপত্য স্থাপন করিতে পারিত। - জাপানী জিনিষও নানাদেশে, যেমন ভারতবর্ষে, খুব কাটে। এখন যুদ্ধের জন্য ইউরোপের জিনিষের আমদানী, বিশেষতঃ জামেনী, অষ্ট্রিয় ও বেলজিয়মের সস্তা জিনিষের আমদানী, বন্ধ হওয়ায় জাপানী জিনিষের কার্টুতি ভারতবর্ষে হু হু শব্দে বাড়িয়া চলিতেছে। কিন্তু জাপান কি ইহাতে সন্তুষ্ট হইবে ? অর্থলালসা “হৰিষ কৃষ্ণবক্সেব" বাড়িয়াই চলে। বিদেশে খুব একটা বড় সাম্রাজ্য না হইলে বাণিজ্যের বিস্তাব মনের মত করিয়া হয় না। তাহা জামেনীর চীনজয়ের কল্পিত দৃষ্টান্ত স্বারা বুঝাইয়াছি। জাপানের এই জন্য একটা বড় সাম্রাজ্যের প্রয়োজন হইয়াছে। জাপান তাহার স্বত্রপাতও করিয়াছে। ইউরোপের প্রবলতম জাতিরা এখন নিজেদের অস্তিত্ব লইয়াই চিন্তাকুল। এই অবসরে জাপান চীনদেশে নিজের কাজ বেশ গুছাইয়া লইতেছে। বৰ্ত্তমান যুদ্ধে হার জিত যেপক্ষেরই হউক, যুদ্ধের অবসানে, তৎক্ষণাং আবার একট। বড় যুদ্ধ করিবার মত লোকবল ধনবল কাহারও থাকিবে না। কেবল জাপানের শক্তি অক্ষুণ্ণ থাকিবে । তখন জাপান যে এশিয়ায় নিজের কাজ গুছাইতে চেষ্টা করিবে, এরূপ মনেকরিবার কারণ অাছে। একথা, কতক লোক, প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২২ দেশে বাণিজ্য করার প্রভেদের [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড মুখে শুনিয়া, কতক জাপানী ও আমেরিকান কাগজ श्रेङ्क्तःि, বলিতেছি। একটি প্রমাণ দিতেছি। জাপান ম্যাগাজিন নামক মাসিক পত্রে “নিউ জাপান"এর সম্পাদক “শাস্তি ও To" (Peace and War) শীর্ষক প্রবন্ধে বলিতেছেন – “One of the most important questi -- - - - Juestions arising out of this war is the attitude that England, 蠶 and Russia will assume toward Asia. This was a great question before the war; it will be a much greater 醬 in East Asia, and she 鷺 policy.” change both her ambitions and her ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, যুদ্ধের পর ইংলণ্ড, ফ্রান্স, ও রুশিয়া এশিয়াকে এখন যে চোখে দেখেন, সেইরূপই দেখি, বেন, না তাহাদের মনের ভাব ও নীতি বদলাইবে, ইহা একটি গুরুতর প্রশ্ন । তাহার। যদি এশিয়ার বর্তমান অবস্থ (অর্থাং বৰ্ত্তমানে উহার অনেক অংশে তাহদের প্রভূত্ব বিদ্যমান, এবং অবশিষ্ট অংশে ভবিষ্যতে তাহাদের কর্তৃত্ব স্থাপিত হইবে, এই অবস্থা) বজায় রাথিতে চান, डाश হইলে পূৰ্ব্ব-এশিয়ায় জাপানের স্বার্থহানি হইবে । সুতরাং জাপানকে তাহার আকাঙ্ক্ষা, লক্ষ্য ও নীতি পরিবর্ধন করিতে হইবে। জাপান নরম ভাষায় যাহা বলিয়াছে তাহার সোজা মানে এই যে, সমস্ত এশিয়া না হউক, পুৰ্ব্ব-এশিয়া জাপানকে ছাড়িয়া না দিলে, তথায় জাপানকে নিজের স্ববিধ অনুযায়ী কাজ করিতে ন দিলে, জাপান যাগ-ভাৰ্ল বুঝে তাহাই করিবে। ইহাতে বলপূৰ্ব্বক কর্তৃত্ব-বিস্তার বা দখল করিবার ইঙ্গি তই করা হইতেছে। সুতরাং দেখা যাইতেছে, বৰ্ত্তমান যুদ্ধের পর এশিয়াতেও একটা কুরুক্ষেত্র হইতে পারে। অন্যান্য কারণ এবং লক্ষণও বিদ্যমান। অষ্ট্রেলিয়ার লোকেরা মনে করে জাপানের অষ্ট্রেলিয়ার উপর নজর আছে। তজ্জন্য অষ্ট্রেলিয়ানর আত্মরক্ষার্থ যথেষ্টসংখ্যক যুদ্ধ-জাহাজ নিৰ্ম্মাণ করিতে উংস্থক। ঐ মহাদেশে বহুবিস্তৃত ভূমি পড়িয়া আছে। তথায় এশিয়াবাণী ভিন্ন আর কেত্ব বসবাস করিতে পারে না। কিন্তু অষ্ট্রেলিয়ানরা শ্বেতকায় ভিন্ন আর কাহাকেও সেখানে উপনিবেশ করিতে দিবে না। ইহ লইয়। ভবিষ্যতে জাপানের সঙ্গে অষ্ট্রেলিয়ার স্বতরাং বৃটিশ সাম্রাজ্যের বিবাদ হইতে পারে। ভবিষ্যতে ঘটতে . ৪র্থ সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ-ভবিষ্যৎ মহাসংঘর্ষ 88% - )ുഹSumitaBot (আলাপ) ০৮:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)്SumitaBot (আলাপ) ০৮:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) श्रीरत्र ७झ* ७क,ि भश् विवt८भ* *** "ইউনাটেড, এপার" নামক বিলাতী মাসিকে মিঃ জি, এইচ, çãołtz (G. H. Lepper) একটি প্রবন্ধে সাধারণভাবে নিলিখিতরূপে বর্ণনা করিয়াছেন – l, one of the certainties of the ". . although the present war, may prove to be the final jnflict in Europe, the extent to which the earth has ... been appropriated by European peoples will some day cause än even, more terrible struggle , between the in the manger" policy is definitely, replaced by some more conciliatory fittitude on the part of the rate which is virtue of its discoveries in regard to the contrôl óf natural forces, and its administratiye capacity, has acquired the dominant position on the earth. তাৎপৰ্য্য—দিও ইউরোপে ইহাই শেষ যুদ্ধ श्रड পারে, কিন্তু ইহা নিশ্চয় যে ভবিষ্যতে এশিয়াবাসী এবং শ্বেতকায়দের মধ্যে ইহা অপেক্ষাও ভয়ঙ্কর সংগ্রাম হইবে যদি শ্বেতকায়ের পৃথিবীর আধিপত্য-বিষয়ে স্ববিবেচন। না করেন । - পৃথিবীর শক্তিপালী জাতির ন্যায়পরায়ণ ও সহৃদয় ব্যব: शत्र कब्रिएल यूक श्ध्न नौ । ॐश*) সেইরূপ ব্যবহার নিশ্চয়ই করিতে পারেন । লেখক মনে করেন যে এরূপ যুদ্ধ হইলে জাপান এশিয়াবাসীদের অগ্রণী হইবে এবং তাহার দৃষ্টাস্তের প্রভাব অন্যদের উপর পড়িবে – Japan has shown that there is nothing inherent in thc 蠶 mind to prevent it, from working on similarines, and the example of Japan cannot sail to powerfusiniuence on other Asiatic peoples. ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কল্যাণের জন্য ভারতবাসীদিগকে ইউরোপের বিরুদ্ধে এশিয়ার এই সংগ্রাম হইতে বিচ্ছিন্ন রাখা যে দরকার এবং তাহা যে ইংরেজদের সাধ্যায়ুত্ত, লেখক তাহাও বলিয়াছেন :– If we sail to deal with the Indian question in good time, it will tend to merge in the still goo". of European against Asiatic. By the exercise of the necessary for sight and statesmanship, the Indian and the Mongoibroblems can be kept detached. . . . স্বতরাং ভবিষ্যতে জাপানের সঙ্গে বৃটিশ সাম্রাজ্যের বিরোধ-সম্ভাবনা আমাদের একটা কল্পনা মাত্র নহে। ভারতবর্ষের বর্তমান অবস্থায় বহিঃশত্রুর আক্রমণ T হইতে দেশ রক্ষা করিবার মত নেতা, জাতীয়ত, अनदक्षज, नाभद्रिक निश, 4द९ अन श्न আকাশে যুদ্ধ করিবার অস্ত্রশস্ত্র সরঞ্জাম আমাদের নাই ; খুব শীঘ্র হইবারও সম্ভাবন দেখিতেছি না। কয়েক বৎসর ইংলণ্ডের আমুকুল্য ও শিক্ষার দ্বারা ভারতবাসীর দেশরক্ষায় সামর্থ্য জন্মিতে পারে। অন্য দিকে ইহাও সত্য যে ইংলণ্ডও ভারতবর্ষের সাহায্য ব্যতিরেকে স্বাধীন ও প্রবল থাকিতে পারেন না। ইংল্যও এখনও ইহা ভাল করিয়া বুঝিয়াছেন কি না, জানি না। কিন্তু ইহা খাটি সত্য। ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার যুদ্ধে যে ভারতীয় সিপাহীরা ইংলণ্ডের তরফে লড়িতেছে, ইহা ইংলণ্ডের রাজনৈতিকদিগের খেয়াল সৌজন্য বা অযুগ্রহ নহে। সিপাহীদিগকে যুদ্ধে পাঠান আবখক হইয়াছিল বলিয়া এরূপ ঘটয়াছে । ভবিষ্যতে এশিয়ার প্রভুত্ব লই যুদ্ধ ঘটিলে ইংলণ্ডকে ভারতবর্ষের সাহায্য আরও অনেক অধিক পরিমাণে লইতে হইবে। অন্যদিকে আমাদিগকেও ইংলণ্ডের উপর নির্ভর করিতে হইবে। ভারতবর্ষ মাহুষ দিবেন, ইংলণ্ড শিক্ষা দিবেন। কেন, তাহ৷ বলিতেছি। - জাপান যদি এশিয়ার পক্ষ হইতে ইউরোপের সহিত পড়ে, তাহ হইলে সে এশিয়াকে স্বাধীন করিয়া দিবার জন্য লড়িবে না, এশিয়াকে পদানত করিবার জন্য, নিজের সাম্রাজ্যভূক্ত করিবার জন্য লড়িবে। डांद्रङवर्ष ज्ञझेब्र बब्रि জাপানের সহিত ইংলণ্ডের যুদ্ধ হয়, তাহ হইলে আমরা ইংলণ্ডেরই পক্ষ অবলম্বন করিব। কারণ, জাপান আমাদিগকে স্বাধীন করিয়া দিবে না, তাহাদের অধীন করিতে চাহিবে। বিদেশীর অধীন হইবার সময় প্রথম প্রথম অনেক অত্যাচার উৎপীড়ন সহ ঝরিতে হয়। श्रांभद्रt নূতন করিয়া আবার কেন অত্যাচার উৎপীড়ন সহিতে যাইব ? বিশেষত, জাপানীরা ইংরেজদের চেয়ে সভ্য, চরিত্রবান বা ধাৰ্ম্মিক নহে, যে, বৃটিশসাম্রাজ্যভূক্ত থাকার চেয়ে জাপানসাম্রাজ্যভূক্ত হওয়া আমাদের পক্ষে অধিকতর বাঞ্ছনীয় হইবে। ইংলণ্ডের ভাষা ও ভারতবর্ষের আর্যভাষা-সকলের পরস্পর সাদৃশ্ব আছে। বিদ্যা ও সভ্যতার আদানপ্রদান দ্বারা এবং অন্যান্য উপায়ে ইংলণ্ডের সহিত আমাদের কতকটা বুঝাপড়া হইয়াছে। জাপানের ভাষা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। পুরাকালে আমর কিযুৎপরিমাণে जाश्रानरक ५६ ७ नडाउ निग्रश्लिोभ बप्प्ले কিন্তু এখন সে ভারতকে জিনিষ বিক্রীর জায়গামাত্ৰ মনে করে।