পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8१२ SAAAAAA AAAA AAAA SAMSMSM MS MS MS চেটিয়া হইয়া থাকিবে ইহা হইতে পারে না। অর্থনীতির চর্চা আমাদের অলস লক্ষপতিকে কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত করাইবে এবং ধূলিধূসরিত কৃষক ও দিনমজুরকে অপেক্ষাকৃত সৌভাগ্যশালী করিবে ; তাহাতে ঐশ্বধ্যস্থলভ নিশ্চেষ্টতার পাপ ধনীর গৃহে তিষ্ঠিতে ন পারিয়া বিদায় লইবে, অপর দিকে অসহনীয় দারিদ্রোর কশাঘাত হইতে রক্ষা পাইয়৷ শ্রমজীবী নবজীবন লাভ করবে। ধৰ্ম্ম উভয়ের গৃহেই তখন আনন্দে বাস করিতে পারিবেন। আমরা আগ্রহে বঙ্গে ও সমগ্র ভারতবর্ষে সেই শুভদিনের প্রতীক্ষা করিতেছি। ইন্দুপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাতালের অক্সফোর্ড নিউইয়র্ক প্রদেশ ছাড়াইয়া ম্যাসাচুসেট্স প্রদেশে আসিয়াছি। এই প্রদেশ-রাষ্ট্রের কেন্দ্র বষ্টননগর । কেজি ইহারই উপনগর-স্বরূপ। " কলিকাতার সঙ্গে ভবানীপুর বা কালীঘাটের যেরূপ সম্বন্ধ, বষ্টনের সঙ্গে কেন্থিজের প্রায় তদ্রুপ। অবশু নগরদ্বয়ের শাসন স্বতন্ত্র। বষ্টনের হোটেলে দুই রাত্রি কাটাষ্টয়া সম্প্রতি কেন্থি জে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়ায় বাস করিতেছি। বিলাতী অক্সফোর্ড ও কেন্থি জ ত্যাগ করিবার পর এইরূপ আবহাওয়া অার পাই নাই। এখানে ক্ষুদ্র গৃহে বাড়ীর কৰ্ত্তার মত স্বাধীনভাবে চলাফেরা করিবার স্থযোগ পাইতেছি। হট্টগোল, লোকজনের ভিড় ইত্যাদি নগণ্য। ঘরে বসিয়া খোলা আকাশ ও গাছপালা দেখিতে পাই । নায়াগ্রা হইতে বরফপড়া স্বরু হইয়াছে। এক সপ্তাহ ধরিয়া শ্বেততুষারের আবরণ সৰ্ব্বত্রই দেখিয়াছি। ঘরের জানাল হইতে গাছের শাখা প্রশাখায় কাচের পোষাক দেখা যায়। দিনে স্বৰ্য্যরশ্মি, রাত্রে চন্দ্রকিরণ এই তুষারমণ্ডিত বৃক্ষশিরসমূহের অভিনব শোভা স্বষ্টি করে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি পড়িয়া রাস্তাঘাট এবং বাড়ীম্বর ও গাছপালার বরফ ধুইয়৷ ফেলে। তখন পত্রহীন বৃক্ষগুলি নিতান্তই কেঠে। নীরস জীবনহীন পাহারাওয়ালার ন্যায় দাড়াইয়া থাকে। শীতের প্রারম্ভে লগুনে এই অবস্থা দেখিয়াছি। আর বৃষ্টির জন্য রাস্তায় চল। বিশেষ অসুবিধাজনক। বরফের উপর প্রবাসী— শ্রাবণ, ১৩২২ --০৮:৩১, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:৩১, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~-----------০৮:৩১, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ০৮:৩১, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~ ইটিতে সত্যসত্যই থানিকটা আনন্দ পাওয়া যায়। কিন্তু বৃষ্টির জলে রাস্তার উপর বরফের কাদা জমিতে থাকে। তখন আমাদের বাঙ্গালাদেশের পল্লীগ্রামের কথা মনে পড়ে। বর্ষাকালে পাড়াগায়ের রাস্তায় একই টু কাদা বা পাক জমিয়া যায়। তাহার উপর গরুর গাড়ীর গতায়াতে পথে হাট এক প্রকার অসম্ভব হইয় পড়ে। এখানেও দেখিতেছি বরফের পর বৃষ্টি হইলে পথগুলি সেইরূপই দুর্গম ও দুর্গন্ধময় হয়। প্রদীপের নীচেই অন্ধকার! অবিমিশ্র স্বথ মানুষ কোথায় পাইবে ? বিলাতী ঔপনিবেশিকেরা অনেক বিলাতী নগরের নামে আমেরিকায় নগরের নাম রাথিয়াছে। এইজন্য যুক্তরাষ্ট্রেও কেন্থি জনগর। সেইরূপ ফরাসীরা তাহদের দেশীয় নগরের নামে যুক্তরাষ্ট্রে অনেক নগরের নাম রাথিয়াছে। ইয়োরোপের নানা দেশের নানা নগরের নামে যুক্তরাষ্ট্রের বহু নগর পরিচিত। ইয়াঙ্কি-কেন্থি জের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় । হার্ভাড একজন লোকের নাম—স্থানের নাম নয়। কোন ব্যক্তিবিশেষের নাম অনুসারে ইয়োরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিচিত হয় না। আমেরিকায় কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভাড-বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায় ব্যক্তিবিশেষের নামে পরিচিত—যথা লীল্যাণ্ড ষ্টানফোড বিশ্ববিদ্যালয়, জনস্ হজকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। হার্ভাড নামক এক ইংরেজ এই অঞ্চলে অল্পকাল বাস করিয়া প্রাণত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময়ে তিনি ৩০০ পুস্তক এবং ১•১২ হাজার নগদ টাকা শিক্ষা প্রচারের জন্য দান করেন। সে ১৬৩৮ খৃষ্টাব্দের কথা—তখন ভারতবর্ষে মোগল-মারাঠার যুগ। তখনকার দিনে এই দানই চূড়ান্ত কৃতজ্ঞতার বস্তু ছিল । কাজেই গ্রহীতার দাতার নাম চিরস্মরণীয় রাখিবার জন্য "হার্ভাড বিদ্যালয়” নাম স্থির করিলেন। হার্ভার্ড আজ জীবিত থাকিলে নিশ্চয়ই লজ্জিত হইতেন সন্দেহ নাই। কিন্তু ২৭৫ বংসরে একটা ক্ষুদ্র প্রতি ষ্ঠান কি বিরাট আকার ধারণ করিয়াছে দেখিয়া জগদ্বাসী বিস্মিত হইতেছে। বিলাতী অক্সফোর্ড ও কেজি বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় সহস্ৰ বৎসরের প্রতিষ্ঠান-হার্ভার্ড মাত্র ৩০০ বৎসর পূর্ণ করিতে চলিতেছে । অথচ বর্তমান --സാ~് 8५ ग९५Tी ] হার্ভার্ড অনেকাংশে অক্সফোর্ড ও কেন্থিজের প্রতিদ্বন্দ্বী বলিয়া পরিগণিত হয়। হার্ভাডের অধ্যাপক অক্সফোডো নব্যদর্শন প্রচার করিলেন। তাছার পর হইতে ফরাসী ব্যার্গস ইংরেজ-সমাজে পরিচিত। শিশু হার্ভাড প্রবীণ অক্সফোর্ডকে নূতন পথ দেখাইয়া দিল । আমরা ভারতবর্ষে যে ধরণের বিশ্ববিদ্যালয় দেখি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় সেই ছাচে গড় প্রতিষ্ঠান নয়। ইহার আকৃতি বিলাতী অক্সফোর্ড ও কেম্বি জ বিশ্ববিদ্যালয়দ্বয়ের অনুরূপও নয়। ইয়াঙ্কি দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ই এই হার্ভার্ডের ছাচে ঢালা । কলিকাত বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি হার্ভাডের ছাচে ঢালিতে হয় তাহ হইলে কতকগুলি আমূল পরিবর্তনের জন্য ব্যবস্থা করিতে হইবে । প্রথমতঃ, কলিকাতার বাহিরে বাঙ্গালী বিহার ও উড়িষ্যার ভিতর যতগুলি কলেজ আছে সেগুলিকে স্বাধীন করিয়া দিতে হইবে। তখন রাজসাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বহরমপুর বিশ্ববিদ্যালয়, হুগলি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কটক বিশ্ববিদ্যালয়, পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইত্যাদি জেলায় জেলায় স্বস্বপ্রধান বিশ্ববিদ্যালয় গড়িয়া উঠিবে। এতদ্ব্যতীত কলিঙ্কাতার ভিতর যতগুলি কলেজ আছে সেইগুলির নূতন আকার দিতে হইবে। তাহার ফলে কলিকাতা সহরের ভিতর ৩৪ টা স্বতন্ত্র ও স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় স্বই হইবে। অথবা সকলগুলিকে একত্র করিয়া একটা বিরাট বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুত করা যাইবে । দ্বিতীয়ত: রিপন কলেজ, সিটি কলেজ, প্রেসিডেন্সী কলেজ ইত্যাদি কলেজগুলি স্বস্ব প্রধান ষোলকলায়-পূর্ণ কলেজ থাকিবে না। এই-সকল কলেজ একটা বিরাট পরিচালনা-সমিতি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হইবে। প্রত্যেকের খরচপত্র অায়ব্যয় আসবাব গৃহ ইত্যাদি সেই কেন্দ্র হইতে নিৰ্দ্ধারিত হইবে। তখন প্রেসিডেন্সী কলিকাতাবিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিভাগ বা শাখাস্বরূপ থাকিবে— রিপন আর-একটা শাখা বা বিভাগ-স্বরূপ থাকিবে— .ইত্যাদি। এই শাখাগুলির মধ্যে কোন হিসাবে তারতম্য, অথবা উচ্চনীচ ভেদজ্ঞান থাকিবে না। তখন রিপন কলেজের ছাত্র, কিম্ব প্রেসিডেন্সী কলেজের ছাত্র বলিয়৷ পাতালের অক্সকোড। 8°ል® কেহই পরিচিত হইবে না। সকলকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলা হইবে । তৃতীয়তঃ, কলেজগুলি এক একটা বিভাগের গৃহমাত্ররূপে পরিগণিত হইবে। হয়ত সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-বিভাগ, ইতিহাস-বিষয়ক গ্রন্থশালা, ইতিহাস বিষয়ক বক্তৃতাগৃহ ইত্যাদি রিপন কলেজের ভবনে সন্নিবেশিত হইবে । আর বিজ্ঞানবিষয়ক সকলপ্রকার অনুষ্ঠান প্রেসিডেন্সী কলেজের গৃহে চলিতে থাকিবে। এক্ষণে কলিকাতার মেডিক্যাল কলেজ, আর্টস্থল, এবং শিবপুরের সিবিল এঞ্জিনীয়ারিং কলেজ অনেকট এইরূপেই পরিচালিত হয়। হার্ভার্ড ছাচের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে এই তিনটা বিদ্যালয় অন্যান্য সাধারণ কলেজের সঙ্গে সমস্বত্রে গ্রথিত হইয়া পড়িবে। ইহাদের কোনটিরই স্বাধীন অস্তিত্ব থাকিবে না। প্রেসিডেন্সী-ভবনে যে-সকল ল্যাবরেটরী থাকিবে মেডিক্যাল কলেজের ভবনে সেই-সকল ল্যাবরেটরী থাকিবে ন—এঞ্জিনীয়ারিং কলেজের ভবনেও সেই-সমুদয় থাকিবে না। সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটা বিরাট গ্রন্থশালা, একটা বিরাট মিউজিয়াম, একটা বিরাট হাসপাতাল, একটা বিরাট চিড়িয়াখানা, একটা বিরাট চিত্ৰভবন একটা বিরাট ল্যাবরেটরী, এবং কতকগুলি বক্তৃতাগৃহ স্থাপিত হইবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা-সমিতি হয়ত ৮১০টা শাখা বা বিভাগে বিভক্ত হইবে। এই বিভাগগুলির অধীনে এক-একটা গৃহ বা ভবন বা কলেজ বা মিউজিয়াম ইত্যাদি পরিচালিত হইবে। বিজ্ঞান-বিভাগ প্রেসিডেন্সী-ভবনের ভার লইবেন। ইতিহাস-বিভাগ রিপন-ভবনের ভার লইবেন। এঞ্জিনীয়ারিং-বিভাগ শিবপুরের ভার লইবেন। চিকিৎসা-বিভাগ হাসপাতালের ভার লইবেন, ইত্যাদি। চতুর্থত, কোন ছাত্র হয়ত মনোবিজ্ঞান, ইতিহাস, চিত্রকলার ইতিবৃত্ত, প্রাণ-বিজ্ঞান এবং রসায়ন শিক্ষা করিবে । হার্ভাঙের ছাচে কলিকাতা-বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইলে এই ছাত্রকে তাহার মনোনীত শিক্ষণীয় বিষয়ের জন্ত ভিন্ন ভিন্ন বিভাগীয় নিয়মসমূহ দেখিতে হইবে। এইজন্য একবার তাহাকে রিপন-ভবনে, আর একবার প্রেসিডেনীভবনে, আর একবার আর্টস্কুল-গৃহে ইত্যাদি নানা ভবনে ാ :