পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՉՀ8 করিয়া বুদ্ধ वगङ अम्लिाप्रुन। विडौध भङ, सूक्षा भउ উপনিষদ হইতে পরোক্ষভাবে এবং সাংখ্যমত হইতে সাক্ষাং সম্বন্ধে উৎপন্ন। প্রথমোক্ত মতের উদাহরণস্বরূপ প্রথমতঃ ডয়সেনের মত উদ্ধত করিব । ডয়ুসেন লিথিয়াছেন— "চারিপ্রকার আধ্যপত্যে নিবন্ধ বৌদ্ধধৰ্ম্মের মূলকথা এই—আমরা তৃষ্ণার নিরোধ করিয়৷ দুঃখের নিরোধ করতে পারি। বৃহদারণ্যক উপনিষদে যাজ্ঞবল্ক্য যাহা শিক্ষা দিয়াছেন এই-সকল এবং আরও অনেক বৌদ্ধমতের মধ্যে আমরা তাহ নূতন আকারে দেখিতে পাই। যদিও বৌদ্ধধৰ্ম্ম ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মের বিপরীত ভাব অবলম্বন করিয়া আত্মার অস্তিত্ব অস্বীকার করে, তথাপি এই অস্বীকার বহিরঙ্গমাত্র, কারণ বৌদ্ধধৰ্ম্ম পূৰ্ব্বজন্মের কৰ্ম্মফলজনিত জন্মান্তর স্বীকার করে । ( জন্মান্তরের জন্য ) কৰ্ম্মের অবশ্য একজন বাহক চাই। উপনিষদ এই বাহককে আত্মা বলে এবং বৌদ্ধের তাহার অস্তিত্ব অকারণ অস্বীকার করে ” দুই বৎসর পূৰ্ব্বে কলিকাতা এসিয়াটিক সোসাইটির এক অধিবেশনে অধ্যাপক ওল্ডেনবার্গ ঠিক এই কথাই বলিয়৷ গিয়াছেন। যথা— "আমার মনে হয়, যে পূৰ্ব্বতন চিন্তার স্তর হইতে বৌদ্ধধৰ্ম্ম উৎপন্ন হইয়াছে তাহার পরিচয় প্রধানতঃ উপনিষদে পাওয়া যায়।...নশ্বর জগতে জীবনধারণ করা যে অবশ্ব দুঃখময় এই ভাবের অঙ্কুর উপনিষদে দেখিতে পাওয়া যায় এবং বৌদ্ধধৰ্ম্মে তাহ প্রাধান্য লাভ করে । গৃহত্যাগ করিয়া ভিক্ষুকের ন্যায় বিচরণ করিলে মানুষ যে এই দুঃখের হাত হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারে এই বিশ্বাসের অঙ্কুরও উপনিষদে প্রথম দেখিতে পাওয়া যায় এবং বৌদ্ধধর্মে তাহ পূর্ণতা লাভ করে।...বৃহদারণ্যকে আমরা যে যাজ্ঞবন্ধ্যের পরিচয় পাই বুদ্ধ এবং বৌদ্ধধৰ্ম্ম তাহারই পরিণতি"|" + দুঃপ্রবাদ এবং মুক্তির জন্য ভিক্ষাচর্য্য। এই দুই বস্তুই যে

  • Indian Antiquary, Vol. XXIX, p. 398. + J. A. S. B., 1913, p. 127.

প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২২ ০৮:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । উপনিষদমূলক, "বৃহদারণ্যকোপনিষদের" একটি মাত্র অংশ (৩৫১) উধৃত করিলেই তাহ দেখা যাইবে। যথা—- "হে যাজ্ঞবল্ক্য, যাহা সকল জীবের মধ্যে আছে, সেই ( আত্ম ) কে ? যাহ। ক্ষুধা, তৃষ্ণ, শোক, মোহ, জরা, মৃত্যুকে জয় করে (তাহ আত্মা) । এইরূপ আত্মাকে জানিয়া ব্রাহ্মণগণ পুত্রকামন, বিত্তকামন, স্বৰ্গাদি লোক কামন পরিত্যাগ করিয়া ভিক্ষাচর্য্য। গ্রহণ করে।" ক্ষুধা, তৃষ্ণ, শোক, মোহ, জরা, মৃত্যু, পুত্রকামনা বিত্ত কামন, স্বৰ্গাদি কামনা যে দুঃখকর এখানে এই কথা সুচিত হইয়াছে, এবং দুঃখ হইতে মুক্তিলাভের জন্য ভিক্ষাচ্য বিহিত হইয়াছে। আত্মা ছাড়িয়া দিলে স্বাঞ্জ বন্ধ্যের এই উক্তিকে গৌতমৰুদ্ধের উক্তিমধ্যে গণনা কর যাইতে পারে। অধ্যাপক ডয়সেন বুদ্ধের ধৰ্ম্মের মধ্যে সাংখ্যের প্রভাব ও স্বীকার করেন, এবং জেকবি ও গাধ, প্রমুখ একদল পণ্ডিত বলেন উপনিষদের পরে এবং বুদ্ধের পূৰ্ব্বে সাংখ্যমতের অভু্যদয় ; স্বতরাং বুদ্ধের ধৰ্ম্ম সাক্ষাং সম্বন্ধে সাংখ্যমূলক। কিন্তু এই সকল পণ্ডিতের মন্ত বিচারের পূৰ্ব্বে উপনিষদের প্রাচীনতা এবং প্রয়োজনীয়ত সম্বন্ধে যে একটি অভিনব মত প্রকাশিত হইয়াছে তাহার বিচার করা আবশ্বক। মতটি এই, “উপনিষদ, বিশে তাহার অদ্বৈতবাদ, বুদ্ধদেবের সময় হইয়াছিল কি ? প্রাচীন উপনিষদগুলি, যথা ছাদ্যোগ্য, বৃহদারণ্যক, ব্রাহ্মণের অংশ, যজ্ঞেই উহার ব্যবহার হইত।” “কালিদাস ও হর্ষ রাজার সময়েই উপনিষদ একটা দার্শনিক মতের মধ্যে গণা হইয়াছিল, কিন্তু সে ত বুদ্ধের বহুকাল পরে।” • প্রাচীন উপনিষদগুলি বেদের ব্রাহ্মণ-ভাগের উপসংহার আরণ্যকের অন্তর্গত। আরণ্যকভাগ যে গৃহস্থ যাঞ্জিকের ব্যবহারের জন্ম নহে, আরণ্যত্রতধারীর বা বানপ্রস্থ আশ্রমীর ব্যবহারের জন্য বা অরণ্যে পাঠের জন্য রচিত, “আরণ্যক” সংজ্ঞাই তাহার প্রমাণ। আরণ্যকের বেদান্তসংজ্ঞাও অতিপ্রাচীন। ধৰ্ম্মস্থত্রনিচয়ের মধ্যে গৌতমের ধৰ্ম্মস্বত্র সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন বলিয়া গণ্য। গৌতমের ধৰ্ম্মস্থত্রে ( ১৭১২ ) প্রায়শ্চিভের নিমিত্ত "উপনিষদো বেদান্তঃ” জপের বিধান আছে। টীকাকার হরদত্ত লিথিয়াছেন, "উপনিষদে রহস্য ব্রাহ্মণাঙ্ক:

  • নারায়ণ, ১ম খণ্ড, ৩৯৩.৩৯৪ পৃঃ।

-৪র্থ সংখ্য। ] {্যাত্মিকানি তাতিরিক্ত আরণ্যকভাগ বেদান্তাঃ।” যদি ছন্দোগ্যউপনিষদ বুদ্ধের পূর্ববর্তী হয় তবে "তত্বমসি" বাক্যে নিবন্ধ অদ্বৈতবাদও বুদ্ধের পূর্ববর্তী। উপনিষদ বুদ্ধদেবের সময় হইয়াছিল কি ? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়৷ কঠিন। কেননা বুদ্ধদেবের সময় নিশ্চিতই হইয়াছিল এমন কিছু আমরা এখনও পাই নাই যাহার সহিত ছাদ্যোগ্যাদি উপনিষদের তুলনা করিয়া কোনটি আগে কোনটি পরে তাহা নিরূপণ করা যাইতে পারে। পাণিনির ব্যাকরণ অপেক্ষা বৃহদারণ্যকাদি উপনিষদ যে প্রাচীন এই সকল উপনিষদের ভাষাই তাহার প্রমাণ • উপনিষদের দার্শনিক মতও যে পাণনির পূর্বেই স্ত্রাকারে নিবন্ধ হইয়াছিল পাণিনির একটি সূত্র তাহা সপ্রমাণ ( ৪৩৷১১ • ) করে। এই স্থত্রে পারাশৰ্য্য বা পরাশরতনয়-প্রণীত ভিক্ষস্থত্রের উল্লেখ আছে। ধৰ্ম্মস্থত্রকার গৌতম চারিটি আশ্রমের নাম লিথিয়াছেন–“ব্ৰহ্মচারী গৃহস্থো ভিক্ষু বৈখানস (১।৩২) " বৈখানস অর্থ বানপ্রস্থ। টীকাকার হরদত্ত লিথিয়াছেন, "বৈখানস-কথিত মার্গ যে অহুসরণ করে সে বৈখানস। বৈখানস নামক ঋষি প্রধানত: এই আশ্রমের বিধান করিয়াছেন।” হরদত্ত আপস্তম্বের ধৰ্ম্মস্থত্রের টীকায় (২৯২১।২১) বৈখানসস্থত্রের উল্লেখ করিয়াছেন। বৈথানসক্ষত্রে যেমন বৈখানস বা বানপ্রস্থ আশ্রমের ব্যবস্থা ছিল, "ভিক্ষুক্ষত্রে” তেমনি ভিক্ষু আশ্রমের বিধান ছিল। ভিক্ষুর লক্ষ্য সম্বন্ধে আপস্তম্ব লিথিয়াছেন, আত্মজ্ঞানই ভিক্ষর লক্ষ্য। আত্মজ্ঞান উপনিষদেরও লক্ষ্য । সুতরাং পাণিনিকথিত পারাশৰ্য্য "ভিক্ষুস্থ্যু" উপনিষদমূলক দার্শনিক গ্রন্থ ছিল একথা স্বীকার না করিয়া উপায় নাই। বৰ্ত্তমান ব্ৰহ্মপুত্র বোধ হয় সেই প্রাচীন পারাশৰ্য্য "ভিক্ষুহুত্রের"ই সংস্করণবিশেষ। আপস্তম্বের ধৰ্ম্মস্থত্রের অধ্যাত্মপটলে (১৯ ) যোগের দ্বারা দোষ নষ্ট করিয়া আত্মজ্ঞানের বলে মোক্ষলাভের কথা আছে। আপস্তম্বীয় ধৰ্ম্মস্থত্রের প্রথম পটলের ২২-২৩ থও সম্বন্ধে বুহুলার লিথিয়া গিয়াছেন— "llut Khandas 22, 23 of the first Patala of the Dharma Sutra ummistakably contain the chief tenets of the Vedantists, and recom - o, Keith's 'Aitareya Aranyaka, p. 47. গৌতম যুদ্ধের ধৰ্ম্ম SJSJSJJJSAASAASAASAASAASAASAAAS

mend the acquisition of the knowledge of the Atman as the best means of purisying the souls of the sinners. Though these two Khandas are chiefly filled with quotations, which, as the commentator states, are taken from an Upanishad, still the manner of . their selection, as well as Apastamba's own words in the introductory and concluding Sutras, indicates that he knew not merely the unsystematic speculations contained in the Upanishads and Aranyakas, but a welldefined system of Vedantic philosophy identical with that of Badarayana's BrahmaSutras ( /ntro. p. xxix).” stofgw sgx stattori ব। বেদস্তদর্শনের ন্যায় পূর্ব বা কৰ্ম্মমীমাংসার সহিতও স্বপরিচিত ছিলেন। পূর্ধর্মীমাংসার প্রাচীন নাম ছিল ন্যায়। আপস্তম্ব ন্যায়বিদ বা মীমাংসকের স্পষ্টোল্লেখ করিয়াছেন (২।৪।৮১৩ ) এবং স্থানে স্থানে মীমাংসাদর্শনের বিচারপ্রণালীর অনুসরণ করিয়াছেন (১১১৪ —১৯৮; ১।৩৩–s )। বুলোর সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, “But it is evident, that if Apastamba did not know the Mimamsä-Sutras of Jaimini, he must have possessed some other very similar work ( p. xxix. ).” Howitz wiosestwa ধৰ্ম্মস্থত্রের ভাষা এবং অন্যান্য কথা বিচার করিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, আপস্তম্বকে খৃষ্টপূৰ্ব্ব তৃতীয় শতাম্বের পরে স্থাপন করা যাইতে পারে না এবং আপস্তৰীয় ধৰ্ম্মস্থত্র খুৰ সম্ভব উহার ১ . হইতে ২ বৎসর পূৰ্ব্বে রচিত হইয়াছিল। পাশ্চাত্যপণ্ডিতগণ বুইলারের এই সিদ্ধান্ত একবাক্ষ্যে স্বীকার করিয়াছেন । দার্শনিক মতের ক্রমপরিণতির হিসাবে দেখিতে গেলেও উপনিষদের কৰ্ম্মবাদ পূৰ্ব্ববর্তী এবং বুদ্ধের কৰ্ম্মবাদ পরবর্তী মনে করিতে হয়। উপনিষদের কৰ্ম্মবাদে জন্মজন্মান্তরের কৰ্ম্মফলের বোঝার একজন বাহক আছে—তাহার মাম আত্ম। বুদ্ধের কৰ্ম্মবাদে জন্মজন্মান্তরে কৰ্ম্মফলের বোঝা বাহিত হইতেছে—কিন্তু কোন একজন বাহকের দ্বারা নহে, বোঝ। আপনি চলিতেছে। শুধু তাই নয় ; বৌদ্ধ মতানুসারে পূৰ্ব্বজন্মের কথা শ্বরণও করা যায়, অথচ স্মরণকৰ্ত্ত আত্মার