পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SumitaBot (আলাপ)ഹസ്സ് বাহির হইয়া কোমল কণ্ঠে ডাকিল-ভোলামামা! ও ভোলামামা! আমার খেলনা এনেছ ? বালিকার মুখের দিকে চাহিয়া সস্নেহে হাসিতে গিয়৷ ভোলা মামার চোপ দুটো জলে ভরিয়া উঠিল। সে রুদ্ধ কণ্ঠে কহিল—ভুলে গেছি ; আর একদিন আনবে। ভোল৷ দ্রুত প্রস্থান করিল। ( . ) নগেন দুই তিন দিনের জন্য বাসায় গিয়া উত্তীর্ণ বন্ধুদিগকে অভিনন্দন করিয়া এবং অমৃত্তীর্ণদিগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করিয়া আবার ভবানীপুরে ফিরিয়া আসিল। সেখানে নগেন সদ্য-পাশ-কর জামাতার মত অজস্র খাতির যত্ন উপভোগ করিতে থাকিল। দিদি র্তাহার কৃতী ভ্রাতার সহিত নিৰ্ম্মলের বিবাহ দিবার জন্য উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেন এবং দেশে পিতামাতার অনুমতি চাহিয়া পত্র লিখিলেন । উৎসাহটা একটু কমিলে বেচার ভোলার কথা একবার দিদির মনে পড়িল । তিনি কহিলেন—হারে নগেন, আমাদের উপকারীর খবর কি ? নগেন –কদিন তার একটু একটু জব হচ্ছে। আমি ওষুধ পত্তর জহরলালকে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। জহরলাল ভোলদের বাসার ভৃত্য। নগেনের কথাট। নিৰ্ম্মলের কানে গেল । (ア) সেদিন সন্ধ্যার সময় ভোলাদের বাসার দ্বারে একখান গাড়ী আসিয়া দাড়াইল। রমেশ এবং কল্যাণী নামিয় আসিয়া ভোলার ঘরে গিয়৷ দেখিল, সে একলা জরে বেছস হইয় পড়িয়া আছে। ঘরে প্রদীপ জলে নাই। রমেশ আলো জালিল। জহরলালকে খুজিয়া পাওয়া গেল না। আজ সকাল বেল রমেশ ভোলার হাতে ধে সোনার আংটী দেখিয়া গিয়াছিল তাহ নাই। টেবিলের উপর যে ঘড়িটা ছিল, তাহাও দেখ গেল না। কল্যাণী ভোলার কপালে হাত দিয়া দেখিল, তাহ আগুনের মত উত্তপ্ত ললাটে কোমল শীতল স্পর্শ অনুভব করিয়া ভোলা রক্তবর্ণ চক্ষু মেলিয়৷ ধড়মড় করিয়া উঠিয়৷ বসিল। উন্মাদের মত শূন্ত দৃষ্টিতে পানিকক্ষণ কল্যাণীর প্রবাসী—ভাদ্র, ৩২২ o [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড

  • SumitaBot (আলাপ) ০৮:৪৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)്SumitaBot (আলাপ) ০৮:৪৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)്~~സസ് ഹുസ്സു

দিয়ে চাহিয়া কহিল—ও! দিদি এসেছেন বুঝি ! আপনার | হ'ল ভাল আছে? দেখুন সে আমাকে বড্ড ভালবাসে। কল্যাণী উৎকণ্ঠিত মুখে রমেশের দিকে চাহিল। রমেশ তাড়াতাড়ি নিকটে আসিয়া সাবধানে ভোলাকে বিছানায় শোয়াই দিয়া কহিল—এ যে বিকারের লক্ষণ দেখছি। ! ভোল৷ কহিল-কে মশায় আপনি ? জহরলালকে । একবার ডেকে দিতে পারেন ? জহরলাল ! আরে এ জহরলাল ! পাজি বেটা কানের মাথা থেয়েছ? ওরে, দিদি এসেছেন যে! আসনটাসন একখান দেখে দেন। বাবা ! আর দেখ, আমার বাক্সট থেকে— ভোলা আবার নিঝুম হইয় পড়িল। রমেশ কল্যাণীকে কহিল—তুমি একটু সাবধানে বসে থাক, ও কে উঠতে দিওন । আমি বা করে একজন ডাক্তার ডেকে আনি। সাতদিন ধরিয়া যমের সহিত লড়াই করিয়া দম্পতি পরাজিত হইল । শুনা যায়ু, নিৰ্ম্মল নাকি তাহার মাত এবং দাদা নিকট চিরকুমারী থাকিবার অনুমতি চাহিয়াছে। শ্ৰীক্ষেত্রমোহন সেন। গৌড়ীয় শিম্পরীতি বৈশাখের প্রবাসীতে ধীমান ও বীতপাল নামক শিল্পীদ্বয় সম্বন্ধে কিঞ্চিং আলোচনা করিয়াছিলাম। আমি ভাবিয়াছিলাম যে এই প্রবন্ধ প্রকাশিত হইলে "বরেন্দ্র-অনুসন্ধান সমিতি" সারসত্য অনুসন্ধানের অনুরোধে, নূতন প্রমাণ আবিষ্কার না হওয়া পৰ্য্যস্ত, ধীমান ও বীতপাল সম্বন্ধে আলোচনা করিতে বিরত থাকিবেন। কিন্তু আষাঢ়ের প্রবাসীতে দেখিলাম যে সুপণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্ধ মহাশয় আমার প্রবন্ধের বিরুদ্ধে কিছু লিথিয়াছেন। আমার পূর্ব প্রবন্ধে - আমি এইমাত্র প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছি যে শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয় মহাশয় গৌড়রাজমালার মুখবন্ধে ধীমানও বীতপাল সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন তাহ ঐতিহাসিক সত্য বলিয়-স্বীকার করা যাইতে পারে না। মৈত্রেয় মহাশয় বলিয়াছেন উক্তি সত্য এবং ৫ম সংখ্যা] “এই যুগে ধৰ্ম্মপাল ও দেবপালের শাসনকালে ; ধীমান এবং তৎপুত্র বাতপাল গৌড়ীয় শিল্পে যে অনিদ্যসুন্দর রচনাপ্রতিভা বিকশিত করিয়াছিলেন, তাহার বিবরণ শিল্পকলায় সন্নিবিষ্ট হইয়াছে।” ধীমান ও বীতপাল নামক শিল্পীদ্বয় গৌড়ীয় শিল্পে যে কোনও কালে “অনিন্দ্যমুন্দর ১ রচনাপ্রতিভা বিকশিত করিয়াছিলেন,” তাহার কি কোনও প্রমাণ আছে ? প্রমাণ একমাত্র তারানাথের উক্তি। স্বয়ং মৈত্রেয় মহাশয় ও তং পরিচালিত "বরেন্দ্র-অনুসন্ধান-সমিতি" আদ্যাবধি ধীমান ও বীতপালের অস্তিত্ব সম্বন্ধে যে অপর কোনও প্রমাণ সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছেন বলিয়। বোধ হয় না। পারিলে প্রতিবাদকর্তা রমাপ্রসাদবাবু তাহার প্রবন্ধে নিশ্চয়ই উহার উল্লেখ করিতেন । রমাপ্রসাদবাবু তাহার প্রবন্ধের একস্থানে বলিয়াছেন —“তারানাথের লেখার উপর নির্ভর করিয়া ধীমানকে পালযুগের শিল্পীগোষ্ঠীর ওস্তাদ বলিয়া স্বীকার করা যায় কিন, তাহার বিচার করা যাক।” আমার প্রবন্ধে আমি এই কথারই বিচার করিয়াছি। আমি উক্ত প্রবন্ধে ইহাই দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছি যে তারানাথের “ভারতীয় বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের ইতিহাস" নামক গ্রন্থের সকল কথাই বিশ্বাসযোগ্য নহে | আদ্যাবধি যেসকল অকাট্য ঐতিহাসিক প্রমাণ আবিষ্কৃত হইয়াছে তাহার উজ্জল আলোকে স্পষ্ট দেপিতে পাওয়া যায় যে তিব্বতদেশীয় ঐতিহাসিকের কতকগুলি কতকগুলি কাল্পনিক । তারানাথ বলিয়াছেন – ১। গোপাল প্রজাবৃন্দ কর্তৃক রাজা নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিলেন। পলিমপুরে আবিষ্কৃত তাম্রশাসনেও এই কথা দেখিতে পাওয়া যায়। ২ । গোপাল প্রথমে বাঙ্গালার রাজ। নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিলেন অর্থাৎ বাঙ্গালাদেশ তাহার জন্মভূমি ব৷ নিবাসক্ষেত্র। কমেীলীতে আবিষ্কৃত কামরূপরাজ বৈদ্যদেবের তাম্রশাসনে এবং সন্ধ্যাকরনন্দীবিরচিত রামপালচরিতে গুজ্ঞাপ পালরাজগণের পিতৃভূমি বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে। ৩। ধৰ্ম্মপাল কামরূপ, গৌড়, তীরভূক্তি প্রভৃতি দেশ গড়ায় শিল্পতি MMMAJMMMJMMMMMMMMMAMMMMJJSJMMMMJAMJS (సెసె. SAASAASAASAASAASAAAS স্বীয় রাজ্যভুক্ত করিয়াছিলেন এবং তাহার রাজ্য পূৰ্ব্বদিকে সমূদ্র পর্য্যন্ত, উত্তরে জলন্ধরের সীমা হইতে দক্ষিণে বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের পাদদেশ পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল; এই কথা থালিমপুরের তাম্রশাসন, ভাগলপুরে আবিষ্কৃত নারায়ণ পালের তাম্রশাসন, প্রথম অমোঘবর্ষের একখানি অপ্রকাশিত তাম্রশাসন এবং মহেন্দ্রপালের তাম্রশাসন হইতে সত্য বলিয় প্রমাণ হইয়াছে। কিন্তু তারানাথের ইতিহাসের কতকগুলি উক্তি যে একেবারে কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন ও বিশ্বাসযোগ্য নহে, তাহারও প্রমাণের অভাব নাই। নিম্নে আমি কয়েকটি উদাহরণ দিলাম : — ১ । গোপালের পুত্রের নাম দেবপাল। ধৰ্ম্মপাল দেবপালের পৌত্র এবং তথা গোপালের প্রপৌত্র। প্রকৃতপক্ষে ধৰ্ম্মপাল গোপালের পুত্র এবং দেবপাল ধৰ্ম্মপালের পুত্র। রমাপ্রসাদবাবুকেও এই স্থানে স্বীকার করিতে হইয়াছে যে “এ কথা তাম্রশাসনে প্রদত্ত বংশাবলীর বিরোধী।" ২। যক্ষপাল রামপালের পুত্র এবং তিনি তাহার পিতার সহকারী ছিলেন। রামচরিতে রাজ্যপাল নামক গোপালের এক পুত্রের নাম আছে। যক্ষপাল নামক রামপালের কোনও পুত্র যে রামপালের জীবিতকালে, অথবা তাহার দ্বিতীয় পুত্র মদনপালের রাজ্যাভিযেকের পূৰ্ব্বে গৌড়ের সিংহাসনে আরোহণ করেন নাই, ইহা নিশ্চয় । কারণ যক্ষপাল রামপালের জীবিতকালে সিংহাসনে আরোহণ করিলে রামচরিতকার নিশ্চয়ই তাহার উল্লেখ করিতেন, এবং মদনপালের পূৰ্ব্বে যক্ষপাল সিংহাসন লাভ করিলে মনহলির তাম্রশাসনে নিশ্চয়ই র্তাহার উল্লেখ থাকিত। মদনপালের প্রশস্তিকায় যেসকল পালবংশীয় ব্যক্তিগণ সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন, তাহদের সকলেরই নাম দিয়াছেন। যক্ষপাল নামে একজন রাজা রামপালের রাজত্বকালে অথবা তাহার কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্বে গয়ায় রাজত্ব করিতেন। কারণ- তাহার পিতা বিশ্বরূপ, রামপালের পিতা তৃতীয় বিগ্রহপাল ও পিতামহ নয়পালের সমসাময়িক । এই যক্ষপাল পালবংশীয় নহেন, কারণ তিনি ব্রাহ্মণ। সুতরাং যক্ষপাল সম্বন্ধে তারানাথের উক্তি কাল্পনিক ।