SAASAASAASSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS o: ー --- १९९ সময় সম্বন্ধে জ্যোতিষিক যে নির্দিশ আছে, তদনুসারে গণনা করিলে এইরূপ সময়েই উপস্থিত হইতে হয়। তবে প্রশ্ন হইতে পারে যে, বিষ্ণুপুরাণোক্ত পরীক্ষিতের জন্মসময় সম্বন্ধে জ্যোতির্ষিক নির্দেশ-অনুসারে বেণ্টি সাহেবের গণনা পরিত্যাগপূর্বক এই গণনা গ্রহণ করিবার কারণ কি ? এই প্রশ্নের উত্তর জ্যোতিষশাস্ত্রপারদর্শী পণ্ডিতবর্গই দিতে পারেন। আমরা কেবল মহাজনদের অনুসরণ করিলাম। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পরবর্তীকালে অর্থাৎ খৃষ্টের জন্মের পূৰ্ব্ববর্তী চতুর্দশ শতাব্দী হইতে সমগ্র ভারতবর্ষে যেসকল অভিনব রাজবংশের অভু্যদয় হইয়াছিল, তৎসমুদয়ের বিবরণ প্রদান করাই আমাদের উদেশ্ব। কুরুক্ষেত্রের পূর্ববর্তী রাজবিবরণ রামায়ণে, সমকালবৰ্ত্তী রাজবিবরণ মহাভারতে এবং পরবর্তী আংশিক রাজ বিবরণ পুরাণে লিপিবদ্ধ রহিয়াছে। এই-সকল গ্রন্থের ঐতিহাসিকতা সম্বন্ধে অনেকে সন্দেহ করিয়া থাকেন। তাহার কারণ এই যে, তৎসমৃদয়ে অনেক অনৈসর্গিক অলৌকিক এবং স্পষ্টতঃ অলীক বৃত্তান্ত স্থান প্রাপ্ত হইয়াছে। কিন্তু এই সকল অনৈসর্গিক অলৌকিক এবং স্পষ্টত; অলীক ব্যাপার বাদ দিয়া যেসকল তথ্য পাওয়া যায়, সেসমস্ত সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে কোন আপত্তি নাই। বিশেষত: এই সকলের অনেক তথ্যের উল্লেখ অন্যান্য গ্রন্থেও দেখিতে পাওয়া যায়। রামায়ণ এবং মহাভারতের বিষয়ীভূত রাজবিবরণ আমাদের উদিষ্ট নহে। পুরাণশাস্ত্রের বিষয়ীভূত রাজবিবরণই আমাদের আলোচ্য। আমরা প্রথমে পুরাণশাস্ত্রের বিবরণ প্রদান করিব। তারপর এইসকল বিবরণের পরিপোষক যেসমস্ত প্রমাণ বৌদ্ধশাস্ত্র, গ্ৰীক ইতিহাস, সংস্কৃত গ্রন্থ এবং প্রস্তরলিপি ইত্যাদিতে প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে, তাহ প্রদর্শন করিব। "মহাভারতের আদিপৰ্ব্ব ৩০৭ শ্লোকে পুরাণশাস্ত্রের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। কেবল মহাভারত নহে, আরো অনেক প্রাচীনগ্রন্থেই পুরাণশাস্ত্রের উল্লেখ আছে। এই উল্লেখ বিচিত্র নহে। কারণ, ", "পুরাণ, অর্থে আদৌ পুরাতন পশ্চাৎ পুরাতন ঘটনার বিবৃতি। সকল সময়েই পুরাতন ঘটনা ছিল, এজন্ত সকল সময়েই পুরাণ DD S SS S BB BBB BBSBBB BBB BBB BBS প্রবাসী-আশ্বিন, ১৩২২ MMMMJJMMMMM MMMMMMMMJMMJJJMJJJJJJJJJJJJJMMMS ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড, অতি প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে লিপিবিদ্য অর্থাৎ লেখাপড় প্রচলিত থাকিলেও * x মুখে মুখে সুচিত, অধীত এবং প্রচারিত হইত। প্রাচীন পৌরাণিক কৰ্ধ-সকল ঐন্ধপ মুখে মুখে প্রচারিত হইয়। অনেক সময়েই কেবল কিংবদন্তী মাত্রে পরিণত হইয়া গিয়াছিল। পরে সময়१ि८-rय थे-नकल कि:पक्यो धवः &ाठौन द्रऽन। ७कण मरशृशैठ श्छ| এক একখানি পুরাণ সঙ্কলিত হইয়াছিল।" & পুরাণশাস্ত্রের সংখ্যা অষ্টাদশ । আমাদের দেশের বিশ্বাস যে, সমস্ত পুরাণং কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস কর্তৃক : , সঙ্কলিত হইয়াছিল। এই মত সঙ্গত নহে। পুরাণ-সকলে পরম্পরবিরোধী অনেক মত পরিব্যক্ত হইয়াছে। এইসকল মতবিরোধ সামান্য নহে, গুরুতর। অনেক পুরাণে এক বিষয়ই পুনঃপুনঃ বর্ণিত হইয়াছে। এক ব্যক্তি কর্তৃক সমস্ত পুরাণ সঙ্কলিত হইয়া থাকিলে ঐক্লপ গুরুতর মতবিরোধ এবং পুনরুক্তি অসম্ভব হইত। এজন্য আমরা বিবেচনা করি যে, পুরাণ-সকল একাধিক ব্যক্তি কর্তৃক সঙ্কলিত হইয়াছে। দুই কারণে অষ্টাদশ পুরাণের সঙ্গে । ব্যাসের নাম সংযোজিত হইয় থাকা সম্ভব। প্রথম, পুরাণসঙ্কলন-কর্তাদেরও ব্যাস উপাধি ছিল। দ্বিতীয় কারণ নিয়ে লিপিবদ্ধ হইতেছে। এই দ্বিতীয় কারণই সমীচীন বলিয় বোধ হয়। আমরা বিষ্ণুপুরাণ হইতে কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি। পুরাণার্থবিং বেদব্যাস আখ্যান, উপাখ্যান, গাথা ও কল্পশুদ্ধি দ্বারা পুরাণসংহিতা করিয়া-" লোমহর্ষণ নামে স্থত বিখ্যাত ব্যাসশিষ্য ছিলেন । ছিলেন। ব্যাসমহামুনি তাহাকে পুরাণসংহিতা দানু করিলেন। স্বমতি, অগ্নিবর্চ, মিত্রয় , শাংলপায়ন, আচুতব্রণ, সাবর্ণি, তাহার এই পঞ্চ শিষ্য ছিল। কাশ্যপ, সাবর্ণি ও শাংসপায়ন সেই লোমহৰ্ষণিক মূল সংহিত হইতে তিনখানি সংহিতা প্রস্তুত করেন । , "এই সকল বচনে জানিতে পার। যাইতেছে যে, এগণকার প্রচলিত অষ্টদশ পুরাণ বেদবাস-প্রণীত নহে। তাছার শিষ্য প্রশিষ্যগণ পুরাণ সংহিত প্রণয়ন করিয়াছিলেন , তাহাও এক্ষণে প্রচলিত নাই, যাছ প্রচলিত আছে, তাহ কাহার প্রণীত, কবে প্রণীত হইয়াছিল, তাহার কিছুই স্থিরত নাই ।” । তারপর বর্তমান সময়ে আমরা যে অষ্টাদশ পুরাণ দেখিতে পাই, তৎসমুদয় সঙ্কলিত হইবার পরও তাহাতে পরিবর্তন, পরিবর্দ্ধন এবং পরিবর্জন ঘটিয়াছে বলিয়৷
- কৃষ্ণচরিত। । কৃষ্ণচরিত।
(তাহার মধ্যে) । ইউরোপীয় পণ্ডিতবর্গ নির্দেশ করিয়াছেন। খ্যাতনাম উইলসন সাহেবের মতে নানাবিধ ধৰ্ম্মমতের প্রতিষ্ঠা ও প্রচারকল্পে পুনঃ পুনঃ অষ্টাদশ পুরাণের রূপান্তর’ সাধিত হইয়াছিল। পুরাণের সংখ্যা অষ্টাদশ । ইহার সমস্ত পুরাণে কুরুক্ষেত্রের পরবর্তী কালে অভূদিত রাজবংশসকলের বিবরণ প্রদত্ত হয় নাই। মৎস্ত, বায়ু, ব্রহ্ম\ও, বিষ্ণু, ভাগবত, গরুড় এবং ভবিষ্য, কেবল এই সাতখানি পুরাণে আমাদের উদিষ্ট রাজবংশসমূহের বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ দেখিতে পাওয়া যায়। এতন্মধ্যে ভবিষ্য পুরাণই সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রাচীন, ইহাতে যে রাজবিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে, তাহাই.অন্যান্য পুরাণে গৃহীত হইয়াছে। এই ঋণের বিষয় মংস্য এবং বায়ু পুরাণে স্পষ্টত: স্বীকৃত হইয়াছে। কিন্তু সমস্ত পুরাণোক্ত বিবরণের मूल এক হইলেও তাহদের মধ্যে স্থানে স্থানে অনৈক্য দেখিতে পাওয়া যায়। পুরাণসকল পৌরব অধিপতি অথবা নৈমিষারণ্যবাসী ঋষিবৃন্দের নিকট পরিব্যক্ত হইয়াছিল বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে; কিন্তু প্রধানতঃ মগধের অধিপতিদের বৃত্তান্তই লিপিবদ্ধ হইছে। পৌরব এবং ইক্ষাকুবংশের বিবরণ সংক্ষেপে প্রদত্ত হইয়াছে। প্রত্যেক দুইজন রাজার জন্য অৰ্দ্ধ শ্লোক মাত্র রচিত হইয়াছে ; কোন রাজত্বের সময় নির্দিষ্ট হয় নাই। পক্ষান্তরে মগধের বার্হস্থবংশের প্রত্যেক রাজার জন্য অৰ্দ্ধশ্লোক রচিত হইয়াছে এবং রাজত্বের সময়ও নির্দিষ্ট হইয়াছে। মগধ এবং অন্যান্য ছু স্থানের কুরুক্ষেত্রের সমবৰ্ত্তী প্রাচীন রাজবংশসমূহ ধ্বংস প্রাপ্ত হইলে যেসমস্ত অভিনব বংশের অভু্যদয় হয়, তন্মধ্যে কেবল মগধে যাহাদের রাজসিংহাসন সংস্থাপিত অথবা প্রভূত্ব প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, কেবল তাহদেরই সাধারণ বিবরণ ঐসকল পুরাণে প্রদত্ত হইয়াছে। অন্যান্য স্থানের রাজবংশসমূহের বৃত্তান্ত কেবল মূলত: লিপিবদ্ধ আছে ; একমাত্র বিদিশাবংশের সাধারণ বৃত্তান্ত প্রদত্ত হইয়াছে। মৎস্য, বায়ু, ব্রহ্মাও, বিষ্ণু, ভাগবত, গরুড় এবং ভবিষ্য পুরাণে কুরুক্ষেত্রের পরবর্তী কালে অভূদিত রাজবংশসকলের বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে। এতন্মধ্যে মংস্যপুরাণে অন্ধ বংশের বিলোপ পৰ্য্যন্ত বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ হইয়াছে। অন্ধ,বংশ ২৩৬ খৃষ্টাব্দে অথবা কিঞ্চিং অগ্রপশ্চাতে ধ্বংস পৌরাণিকী
- ヘヘヘヘヘヘヘヘヘーベ・ペ、ペーヘヘヘシ -
میبرنج 2 من بين يعين عينين منظمة، প্রাপ্ত হইয়াছিল। বায়ু, ব্রহ্মাণ্ড, গরুড়, বিষ্ণু এবং ভাগবত পুরাণে গুপ্তবংশের অভু্যদয় পৰ্য্যন্ত বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ । | হইয়াছে। গুপ্তবংশের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম চন্দ্রগুপ্ত ৩২ - খৃষ্টাব্দে রাজসিংহাসনে আরোহণ করেন। এজন্ত আমরা | নির্দেশ করি যে, মংস্যপুরাণ খৃষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দীর মধ্যভাগে | এবং বায়ু, ব্রহ্মাও, গরুড়, বিষ্ণু এবং ভাগবতপুরাণ খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যভাগে সঙ্কলিত হইয়াছিল। এই ছয়খানি পুরাণই রাজবংশের বিবরণের জন্য ভবিষ্য পুরাণের নিকট ঋণী বলিয়া কথিত হইয়াছে। মংস্যপুরাণে ২১৬ খৃষ্টাব্দের পরবর্তী বিবরণ লিপিবদ্ধ না থাকায় এবং অন্য পাঁচখানি পুরাণে পরবর্তী বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকায় আমরা বিবেচনা করি যে, ভবিষ্যপুরাণ ২৩৬ খৃষ্টাব্দের সম-সময়ে সঙ্কলিত । এবং তাহার অল্পকাল পরেই তদবলম্বনে মংগুপুরাণোক্ত । রাজবিবরণ লিপিত হইয়াছিল। তারপর ৩২১ খৃষ্টাব্দের | সম-সময়ে ভবিষ্যপুরাণ পরিবদ্ধিত হয়, তাহার অল্পকাল । পরেই পরিবৰ্দ্ধিত ভবিষ্য পুরাণ অবলম্বনে অন্য চারিখানি পুরাণোক্ত রাজবিবরণ লিখিত হইয়াছিল। | এইসকল পুরাণ খুষ্টের পরবর্তী তৃতীয় এবং চতুর্থ -- শতাব্দীতে সঙ্কলিত হইয়া থাকিলেও বহু পূৰ্ব্বকালের রচনা রূপে পরিব্যক্ত হইয়াছে। এজন্য কুরুক্ষেত্রের পরবর্তী কালে অভূদিত রাজবিবরণ ভবিষ্যদ্বাণীরূপে কীৰ্ত্তিত । হইয়াছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকালে মগধে বার্হস্থবংশ | বিদ্যমান ছিল। তারপর প্রদ্যোত বংশের অভু্যদয় হয়। আমরা অতীত ঘটনারূপে প্রদ্যোত বংশ হইতে বর্ণনা করিতে আরম্ভ করিলাম । প্রদ্যোত-বংশ । মগধের বাইপ্রথ বংশীয় শেষ রাজ রিপুঞ্জয়ের স্থনিক নামে এক অমাত্য ছিল। এই অমাত্য স্বামী রিপুঞ্জয়কে হত্যা করিয়া প্রদ্যোত-নামা স্বকীয় পুত্রকে রাজ্যে অভিষিক্ত করেন। তিনি পাশ্ববৰ্ত্তী রাজন্তবৃন্দকে অধীন করিতে । সমর্থ হন। তাহার রাজনীতি উংকৃষ্ট ছিল না। তিনি ! সচ্চরিত্র ছিলেন। তাহার রাজত্ব ২৩ বৎসর স্থায়ী হইয়া- | ছিল। প্রদোতের পালকনাম পুত্র ২৪ বৎসর, তংপুত্র - বিশাখযুপ ৫ বৎসর, তংপুত্র অজক (মতান্তরে জনক অথবা রজক ) ২১ বৎসর এবং তংপুত্র নদীবর্দ্ধন ২৯ | -
