পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] সেইরূপ মূল প্রকৃতি হইতে এই দৃপ্তমান সমস্ত জড় জগতের উৎপত্তি হইয়াছে। \ - এইরূপে জগৎ-উৎপত্তির সমাধান হুইয়া গেলে ঈশ্বরের স্থান ইহাদের নিকট হইতে আপনা-আপনিই সরিয়া পড়িল ; তাই ছঃখ দূর করিবার জন্য র্তাহার আশ্রয় গ্রহণ করিবার কোনো আবশ্যকতা থাকিল না। পুরুষ অসঙ্গ, একথা পূৰ্ব্বজ্ঞানীরা বলিয়াছিলেন। ইহার তাহামানিয়া লইলেন। একদিকে পুরুষ অসজ, অপরদিকে সে প্রকৃতি হইতে সম্পূর্ণ পৃথক। এঅবস্থায় কিরূপে তাহার ভোগ বা দুঃখ হয় ? অবিদ্যা বা অজ্ঞানে। এমন একটা তাহার অজ্ঞান আছে, যাহাতে সে সম্পূর্ণ ভিন্ন হইলেও প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে এক বলিয়া মনে করে । তাহাতেই তাহার ভোগ, তাহাতেই তাহার দুঃখ। যদি সে যথার্থরূপে জানিতে পারে যে, ইহা অামি নহি, ইহা অামার নহি, আমি ইহার নই,—যদি তাহার এইরূপ কে বল অর্থাৎ অবিমিশ্র জ্ঞানের উদয় হয়, তবে তাহার সমস্ত দুঃখের অবসান হয়। যাগ-যজ্ঞাদি বাহ উপায়ে পরম সিদ্ধির সম্ভাবনা না দেখিয়া যখন ইহাদের পূর্ববর্তী জ্ঞানীদের স্থায় ইহারাও এইরূপ আভ্যন্তরিক উপায়ের কথা চিন্তা করিলেন, তখন আর-একদল এই আভ্যন্তরিক উপায়টি কি তাহা বিশেষরূপে ভাবিতে আরম্ভ করিলেন । ইহা হইতে যোগ ও যোগদর্শনের উদ্ভব হুইল। যে-কোনোরূপে হউক, পরবর্তী সমস্ত চিন্তার মধ্যে ইহার প্রভাৰ অব্যাহত হইয়া থাকিল। ঈশ্বর ইহাতে অপ্রধানভাবে স্থান পাইলেন, কারণ র্তাহাকে ছাড়িয়া দিলেও সিদ্ধির কোনো ব্যাঘাত হয় না ৯ একদিকে বৈদিক কর্ণমার্গ ও বেদের প্রামাণ্যের লোপ, এবং অপরদিকে প্রাচীন কাঁদের স্থায়ঐ জ্ঞানীদের ঈশ্বরঅস্বীকারেও দুঃখধ্বংসের সমাধান অপর দুই শ্রেণীর ( বৌদ্ধ ও জৈন ) ভাবুকদের চিন্তার পথ সুগম করিয়া দিল। ইহাদের কথা পরে বলিতেছি। अनिद्रक बर्थन छेवब्रभूणक शटtउ नदखांब ना इ७बांब যেরূপ একদিকে প্রকৃতিমূলক স্বটির চিত্ত হইল, সেইরূপ অপরদিকে কেৰু-কেহ জাবার ঐ ঈশ্বরমূলক স্বটিকেই সমর্থন করিত্বে চেষ্টা করিলেন। ঈশ্বরমূলক স্বাক্টর কথায় 为霹 · ভারতীয় দশনের মূল ধারা-প্রবাহ 280: পূৰ্ব্বজ্ঞানীরা বলিতেন, এক ঈশ্বরই স্বাক্টর উপাদানকারণ ও নিমিত্তকারণ উভয়ই । ইহাদের কাছে ইহা ঠিক মনে হইল না। যাহা দিয়া কোনো জিনিস করা যায়, এবং ৰে তাহা করে, এই দুইটি এক হইতে পারে না। ইহার বলিলেন, ঈশ্বর স্বাক্টর নিমিত্তকারণ কিন্তু তাহার উপাদানকারণ হইতেছে পর মা । ইহাদের এক দল (বৈশেষিক) ইছারই প্রসঙ্গে প্রধানত স্থূল জগতের জবা, গুণ, কৰ্ম্ম প্রভৃতি পদাৰ্থ-তত্ত্ব, আর অপর দল (নৈয়ায়িক ) প্রধানত প্রমাণমূলক তর্কবিদ্যার চিন্তা করিতে লাগিলেন—যদিও ইহাদেরও মুখ্য উন্ধেগু ছিল নিঃ শ্ৰে স্ন স বা দুঃখের একেবারে নিবৃত্তি। তর্কবিদ্যা বৌদ্ধ ও জৈন-গণেরও প্রতিভার নানাপ্রকারে পুষ্টিলাভ করিল। 競 একটু আগেই ইহঁাদের কথা উঠিয়াছিল, বলিয়াছিলাম ইহাদের কথা পরে বলিতেছি । তাহাই বলি। ইহাদের মধ্যে একদল (জৈন ) আত্মার কথা ভাবিতে গিয়৷ দেখিলেন যে, পূর্বে র্যাহারা আত্মার কথা বলিতেন তাহারা সকলেই মনে করিতেন যে, তাহা নিত্য । কিন্তু বভতই কি তাহাই ? সত্যই কি তাহা একেবারে নিত্য ? নিত্য তো তাহাকেই বলা যায় যাহার স্ব-রূপ কখনো নষ্ট হয় না ; অপর কথায়, যাহা বরাবর একইরূপে থাকে, একটুও তাহার ব্যত্যয় হয় না। তাহাই যদি হয়, তবে তো আত্মার স্থখদুঃখ বন্ধ-মোক্ষ কিছুই হইতে পারে না। কারণ আত্মা যখন মুখ ভোগ করিয়া দুঃখ ভোগ করে, বা দুঃখ ভোগ করিয়া স্থখ ভোগ করে, তখন তো তাহার একইরূপে থাকা হয় না। মুখভোগের সময় সে একরূপ, আর দুঃখ ভোগের সময় আর-একরূপ। তাই এইপ্রকারে তাহার चक्रध्रं श्वथन श्रृंब्रिवर्डन छ्हेण ऊर्थन डांश किङ्ग८° निऊा হইতে পারে ? আবার ইহাকে একবারে জনিত্যও বলা চলে না। কেননা, স্থঃখ ও দুর্থ উভয়ই ভোগ করে এক সে-ই । সে স্থখভোগেও আছে, দুঃখভোগেও আছে, সুখের বা দুঃখের নাশের সঙ্গে তাহার নাশ হয় নাই। gঅনিবন্ধের সময় আত্মা একরূপ, মোক্ষের সময় জার একরূপ। তাই যদি তাহাকে একবারেই একই-রূপ বলিয়া স্বীকার করা হয়, তবে হয় তাহার কেবল বন্ধই থাকিৰে, অথবা কেবল মোক্ষই থাকিবে, দুই-ই তাহার হইতে পাৰে