পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰৈশণখ এক বাটি ডালের স্বপ থেতেন । সকালে খানিকট ষ্টেটে বেড়াতেন, যখন ফিরতেন তখন স্থপের বাটি ফটিক ওঁর সামনে দিয়ে যেত। তিনি থেয়ে কাজ আরম্ভ করতেন। সারাদিন আর কিছু থেতেন না । তার খাওয়া ছিল সন্ধ্যার সময় । তাতেওঁ কোন রাজসিকতা বা বাহুল্য থাকত না । শরীর তখন তার খুব ভাল ছিল। শক্তি ছিল অসাধারণ, শরীরে তখন সবই সহ হ’ত। খুব ভাল সাতার জানতেন। শুনেছি সাতরে পদ্মাও পার হতেন । পদ্মার এই নির্জনবাসের সময়টি ছিল সাধনার যুগ । ওঁকে খুব পাটতে হ’ত তখন । সমস্ত দিন লিখতে হ’ত । গল্পের পর গল্প, প্রবন্ধ, কবিত, কত লিখতেন । সম্পাদকীয় মন্তব্য লিখতে হ’ত । লেখা বেছে নিতে হ’ত এত কাজ, কিন্তু ক্লাস্তি ছিল না কিছুতে । সময়ে অসাধারণ বল, নিজের শক্তির উপর এতটুকু মনে ছিল সে অবিশ্বাস ছিল না। সব করতে পারেন ; মাহুষের যোগ্য কোন বাজ ন-করবার মত আছে, এমন মনেষ্ট হ’ত c । “সব কিছু পারি" এমন একই ভাব ঠিল । ‘নিক রের স্বপ্ন ভঙ্গ’ দিও এই সমদের অনেক পূৰ্ব্বে লেখ তবু তার কয়েকটি লাইন এখানে মনে হয় । s3筒 ifジ.ー

  • এত ক খ ম "তু 했

পরের কয়েকটি লাইন---

  • খ ত প্রাণ অাছে ঢালিতে পারি, যত কাল আছে ধঠিতে পাব,

যত দেশ আছে ডু": পারি।" এত গ:- তু, "ছে, এত প্রাণ অ’ড়ে মোর তাই বলছিলেন, এত যে লিখতেন, তাতে একটুও বেগ অতি অনায়াসে লিথে যেতেন । পত্রিকায় গল্প চাই, তাগিদ আসত। তখনই লিখতে বসতেন । লখা হু, হু করে এগোতে থাকৃত । গল্প লেখা তখন কোন ঠিন ব্যাপার বলে মনে হ’ত না, বরং লিখতে আনন্দ fধ করতেন । “সাধনা"র সম্পাদক ছিলেন তখন, কিন্তু শুধু সম্পাদকের কাজ করেই তখন রেহাই পেতেন না। প্লরো কাগজই তখন এক রকম তাকে চালাতে হত। “সাধনা”র লেখা পড়তে আমাদের এত ভাল লাগে বুঝি । “সাধনা"র বিষয়গুলি আর তার সহজ সরল শর ধরণ, সব মিলে পড়তে ভাল লাগে। ঐ সময়ের 1 .. يتم ؟ পেতে হ’ত নী, রবীন্দ্র-প্রসঙ্গ (షా ওঁর নিজের লেখা আর ওরহ বাছাই করা লেখকদের লেখায় পত্রিক ভরা ; তাই এত সুন্দর হয়েছে। দিনের পর দিন, কত কাল এই রকম নির্জনে কাটিয়েছেন, কিন্তু এ-জন্ত কোন অভাব বোধ করেন নি । ক্রমাগত লিখেছেন, রচনা করেছেন, পড়েছেন আর অবসর-সময়ে চুপ ক'রে বসে উপলব্ধির গভীর আনন্দে ডুবে গিয়েছেন। কাজের ফঁাকে ফাকে দেখার বিরাম ছিল না ; মুগ্ধচোখে চেয়ে দেখেছেন প্রকৃতির সৌন্দৰ্য্য, আর অস্তর দিয়ে অনুভব করেছেন পাশের সব গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখদুঃখ : ' গ্রামের জীবনযাত্র, নিস্তব্ধ দুপুরে গ্রামের শাস্ত কাজের ধারা, সকাল-সন্ধ্যার রূপ, ঘাটের কত বিচিত্র রূপ, এ সবই তার হৃদয়কে স্পর্শ করেছে। নদীর চর, ধানের ক্ষেত, নদীর স্বনাব পারের ঘন বনশ্রেণীর অস্থ রালে গ্রামের অস্পষ্ট ছবি, চারি দিকের এই অসংখ্য রুপ ওঁর চোখ এড়ায় নি । এষ্ট সব দেসার আনন্দ অয় ভবের অভিজ্ঞতা ও র লেথায় কত দেখতে কত সুন্দর ক'রে নদীর কথ! কত গল্পে, কত প্রবন্ধে, •oss. ঋমন্ত্র পদ্মার রুপের কত পতি । কত কবিতায় লিখেছেন । বর্ণনা তার লেপায় দেখি । সেই ছবি চোখের সামনে দেখছি । “নিশীথে" গল্পটিতে হেমস্থের সন্ধ্যাব আর রাত্রির জ্যোংক্ষাপ্লাবিত চরের কি সুন্দর বর্ণনা ! ওঁর “ছিল্পপত্র" বইখানি পড়লে নদীর আর তার দুই তীরের অশেষ সৌন্দর্ঘ্যের রস পেতে আর কিছু বাকি থাকে না । “গল্পগুচ্ছুের” সে-সব যখন পড়ি, মনে হয় যেন গরে গ্রামের অতি সাধারণ ঘরের আশ্চয্য হয়ে যাই । কি ক’রে তিনি এদের কথা এমন ভাবে জানলেন । বাইরের থেকে দেখতে গেলে তার পক্ষে এটা কঠিন ব’লেই মনে হয় । কিন্তু তার হৃদয় কতখানি এই সব প্রাকৃতজনের মধ্যে প্রবেশ করেছিল, তাই ভাবি । তিনি কতদিন এরূপ নির্জনে বোটে ছিলেন আর বছরের কোন কোন ঋতু পদ্মায় কাটিয়েছেন, জানতে ইচ্ছা হয়। অবগু, ওঁর লেখাতেই সেট অনেকখানি অনুমান হয়। ওঁর “পদ্ম|” কবিতাটিতে দুটি লাইনে আছে, কথা যখন পড়ি,

  • নিভৃতে শরতে গ্রীষ্মে শীতে বরষায়

কতবার দেখা শুনা তোমায় আমায়ু ।”