পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] হইতে একটি ফুল লতা পাতা চিত্রিত মাছুর বাহির করিয়া আনিয়া বিছাইল ; একখানি বাংলা উপন্যাস আনিতেও ভূলিল না। তাহার পর আরাম করিয়া পা ছড়াইয়া বসিয়া উপন্যাস পাঠে মন দিল। মাথার কাপড়টা তাহার দেপিতে দেখিতে কখন খসিয়া পড়িয়া গেল । এটি পিসিমার বড় ছেলে ভুবনের বেী । মেজ ছেলে কাননেরও বিবাহ হইয়াছে, কিন্তু বউ এখনও ঘর করিতে আসে নাই। বড় বৌ এর নাম বিজনবালা, মুখখানি মন্দ নয়, চোখ ছটি বেশ বড় বড়, তবে নাকটি কিছু চাপা। রংটাও নিতাস্ত বাঙালীর ঘরে যেমন হইয়া থাকে তাই । বাপের বাড়ীর লোকে বলে উজল স্যামবর্ণ, শ্বশুর বাড়ীর লোকে বলে কালে । উপস্তাস পড়া সবে মাত্র সুরু হইয়াছে, এমন সময় কে একজন পিছন হইতে আসিয়া তাহার চোখ টিপিয়া ধরিল । এ হাতের স্পর্শ ভুল করিবার নয়। বিজন ধড় মড় করিয়া উপন্যাস ফেলিয়া দিয়া, প্রাণপণে তাহার হাত ছাড়াইবার চেষ্টা করিতে করিতে বকিতে লাগিল, "আঃ, কি কর তার ঠিক নেই ; এখনি যদি মা বেরিয়ে আসেন ৷ ” ভুবন তাহার চোখ ছাড়িয়া দিয়া পাশে বসিয়া পড়িল । উপন্যাস ন কুড়াইয়ু লইয়। বলিল, “ওরে বাপরে! ‘মাধবীকঙ্কণ ? তার চেয়ে কাশীরাম দাসের মহাভারত নিয়ে পড়ন । এর চেয়ে আধুনিক কিছু জোটাতে পাবলে না ?” বেী હા' શિશા বলিল, “আধুনিক বইয়েত তোমাদের বাড়ী ছেয়ে রয়েছে কিনা । আজ সকালে ঠাকুরপোর ঘরে এই খান দেখলুম, তাই নিয়ে এলুম। তা না হ’লে এখানে ত ছাপার অক্ষরের নামও দেখবার জো নেই।” ভুবন কৃত্রিম কোপ দেখাইয়। বলিল, “ষ্ঠ্যা, উদয়ের ঘরে গিয়েছিগে কেন ? এরই মধ্যে খুব ভাব জমিয়ে নিয়েছ দেখছি। তাই সে আমার, মুখের ওপর ব’লে গেল যে, রান্ত্রি দিন তোমার নাম জপ করে ।" বিজনবাল মুখ ঘুরাইয়া বলিল, “থাক্, থাৰু, আর ম্যাক সাজ তে হবে না। উদয়ের ঘরে বাইনি গে, গিয়েছিলুম তোমার সহোদয় ভ্রান্ত কাননের ঘরে। আর পরুভূতিকা § ঘর বর সব ভালরকম দেখে । ১৭৩ উদয় ঠাকুরপো যা আমার নাম জপ করে তা আমার জানাই আছে । অমন অঙ্গরীর মত বৌঠান ঘরের কাছে থাকতে আমার মত কাল পেচার নাম জপ করতে যাবে কেন ?” ভূবন তাহার চিবুক ধরিয়া নাড়িয়া দিয়া বলিল,“আহ। তোমার বড় আফশোধ হচ্ছে, না ? বেচার বৌঠান, সবাই মিলে কেবল তাকে হিংসাই কবৃছে।” বিজনবাল মুখ ছাড়াইয়া লইয়। বলিল," হিংসে আমি কিসের দুঃখে করতে যাব শুনি ? তার রূপ আছে, তারই আছে । তুমি যদি অবিশু তোমার গুণধর মামাতে৷ ভাহটির মত তার রূপের ধান করতে বসতে ত আলাদা কথা ছিল । সত্যি, ঠাকুরপোর রকম সকম বুঝি না কিছু। এদিকে ত হিংসেয় বাচেন না বেচারীর ছেলে হচ্ছে ব’লে, পারেন ত নখে ক'রে ছেড়েন। ওদিকে আধার টানও আছে বৌঠানের ওপর।” <ভুবন বলিল, “কি করে বল! মুস্থিলেই পড়ে গেছে। অতবড় জমিদার হাতে আসূতে-আসূতে ফসকে গেল, এাক কম জাফ শোবের কথা তার মত মাছুবের কাছে । টাকার জপ্তে ও নিজের বাপের গলায় ছুর দিতে পারে, ভাইয়ের স্ত্রী ত চুলোয় যাকৃ। এখনও আশায় আশায় আছে যে জমিদাসা গেলেণ্ড, নগদ ছয় লাখ তার হাতে আসতে পারে, যদি বৌঠান দয়৷ ক'রে ছেলের জন্ম ন দিয়ে, মেয়ের জন্ম দেন ।” বিঞ্জনবাল কৌতুহলে চোখ বড় বড় করিয়া জিজ্ঞাপ৷ করিল, "কেন গে], cমস্থৈ হ'লে সে টাকা পাবে না ?” ভুবন বলিল, “লী, সে এক মস্ত ইতিহাস, গান না ? টাকাটা ছিল বড় মামার জ্যাঠামশায়ের । বুড়ো জমিদারীর ভার ছোট ভাইয়ের ওপর দিয়ে পাটের না কিসের ব্যবসা, করত। একেবারে টাকায় লাল হ'য়ে গিয়েছিল । কিন্তু বুড়োর ছেলে ছিল না, থাকুধার মধ্যে এক মেন্থে । cगई ८६ दिन्यूयागिनों यागि, या ५थनe वैब्रि अऊ शङ করেন। মেন্ধের খুব ঘটা ক’রে বিয়ে দিয়েছিল বুড়ো, গহনাই দিয়েছিল মেয়েকে পঞ্চাশ হাজার টাকার ; নগদে আর জিনিষ-পত্রে আরো পঞ্চাশ হাজার। কিন্তু ৰামাইটা ছিল পাম্বী