পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা | অরুপ রতন ఫిఫి অমন সবুজ অমন কোমল মাটির সাথে মিশে কে পার ভাই চলতে তারে পায়ের তলে পিষে । হাটে যাওয়ার পথটি ত তাই অনেক হ’ল ঘোর— কাজল তলার ও পাশ দিয়ে দিগনগরের মোড় । তার পরেতে হালট গেছে একটু আঁক বাকী গরুর পায়েব খুরে খুরে ছধির মত তাক । সেখান দিয়ে চলতে চাৰ্থী সকল কথা ভোলে বন্ধু ভাইএর র্কাধটি ধীরে ধানের কথা তোলে । সাত পুরুষে ও এমন ফসল দেখিনি কেউ চোখে মেঘ যেন কেউ বিছিয়ে দেছে তাদের গেয়ো চকে। চাষীর মুখে তারিফ শুনে ধান শিশুরা তাই হেলে দুলে লাঞ্জে আকুল নাই লুকোবার ঠাই । আকাশ ছিল স্বনীল যখন ছিল না মেঘ লেখা তখন চাষী শুকৃনে মাঠে দিয়ে লাঙল-রেখা ; আকাশের ওই দেবতা সাথে পেতেই যেন আড়ি ধূম্ৰ পুল। ধুল চোতের ধূলোয় ধানকে দিল ছাড়ি’। তারা যেন সৈন্য তাহার পাতাল-পাথার ফাড়ি’ আনল অর্থই মেঘের বাহার সবুজ স্নেহে কাড়ি’ । আকাশ হ’তে নামূল না মেঘ পাতাল হ’ভে আনি সারা মাঠের বুকের পরে হর্ষে দিল টানি । দেবতা যেন হারার ভয়ে সুনীল আকাশ মেঘে চাষায় সবুজ ক্ষেতের মেঘে বর্ষে থেকে থেকে । ও গে। চাষী, গায়ের চাষী, সেলাম তোমার পায়, বাড়ী তোমার উজানচরে কিম্ব গফর-গায় ; ম্যালেরীয়ায় মর্ছ তুমি রুগ্ন জবুথবু সারাটাদিন মৰ্বছ খেটে পাওনি খেতে তবু ! লক্ষ টাকা দেশকে দিয়ে হয়মি তোমার নাম ; দেশের তরে প্রাণ দেওয়াটাও নয়কে তোমার কাম। : একৃলা যে কোন বনের ধারে নাম-না-জান গায়ে, সারাটা দিন রৌদ্রে পুড়ে সাজাও মেঠে। মায়ে । সব ছুনিয়ার খোরাক জোগাও নিজেই থেকে ভুক, অভাগীয়া! তাও বোঝে না এইটে বড় দুখ । থোদার ছোট যদিও তুমি, অনেক ছোট নয়, স্থষ্টি করার চাইতে পালন তুচ্ছ কেবা কয় । তোমার গেয়ে মাঠটি আমার মক্কা হেন স্থান, স।ধ করে আঞ্জ লুটিয়ে সেথা জুড়াই সকল প্রাণ৷ অরূপ রতন কথা ও মুর—শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বরলিপি—শ্ৰী সাহান দেবী বাহিরের ভুল হানবে যখন অস্তরের ভুল ভাঙ্গবে কি, বিষাদ- বিধে জলে শেষে তোমার প্রসাদ মাঙ্গবে কি ? রৌদ্র দাহ হ’লে সারা নামবে কি ওর বর্ষাধারা । লাজের রাঙ্গ মিট্‌লে হৃদয় প্লেমের রঙ্গে রাজবে কি ?