পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V་ནི་ཚ༥ بر\}"بيب.. وهو ما يلي ২৯২ -জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ [ २१* छां★, »म थ७ গযন্মেণ্ট প্রবণ্ডত করিয়াছে, একথা ত আমলাতন্ত্রেরও উক্তি বা দাবী নহে। উক্ত আইন অনুসারে দায়িত্বপূর্ণ গবন্মেণ্ট ক্রমোন্নতিসূত্রে অল্প অল্প করিয়া স্থাপিত কম্বিবার চেষ্ট হইবে, ইহাই বলা হুইয়াছে। রহিম সাহেবের ইহা একটা মস্ত অভিযোগ, যে, পটুয়াখালিতে হিন্দুর সত্যাগ্ৰহ করিয়া হুকুম অমান্ত করায় আদালতে বিচার করিয়া তাহদের শাস্তি হইতেছে ; অথচ পোনাবালিয়ায় মুসলমানরা হুকুম অমান্ত করায় তাহাদের উপর গুলি বর্ধিত হইয়াছে। কিন্তু তিনি ইচ্ছাপূৰ্ব্বক ভুলিয়া যাইতেছেন, পটুয়াখালিতে নিরস্ত্র দুটি চারিটি হিন্দু নিজেদের ধৰ্ম্মাধিকার স্থাপন জন্য নিরুপদ্রব ভাবে হুকুম অমান্ত করিতেছে, কাহাকেও মারিতে যাইতেছে না। পক্ষাস্তরে পোনাবালিয়ায় বহুসংখ্যক সশস্ত্র মুসলমান বাহুবলে ও অস্ত্রবলে হিন্দুদের ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় অধিকার হইতে তাহাদিগকে বঞ্চিত করিতে প্রবৃত্ত হয়, এবং ম্যাজিষ্ট্রেট, তাহাদিগকে জনতাভঙ্গ করিতে বলায় তাহার, আদেশ পালন করা দূরে থাকৃ, তাহাকে ও অন্ত সরকারী লোকদিগকে আক্রমণ করিতে উদ্যত হয়। এই দুই প্রকার আদশগঙ্ঘনে যে আকাশ-পাতাল প্রভেদ, তাহা বুঝা খুব সোজা। রহিম সাহেব বুঝিবেন না বলিয়৷ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইলে উপায় কি ? পোনাবালিয়ায় ৩৭ রাউণ্ড গুলি নিক্ষেপের প্রতিবাদ আমরা করিয়াছিলাম, অন্ত অনেক অমুসলমান সম্পাদকও করিয়াছিলেন ; কিন্তু সশস্ত্র মুসলমান জনতার আচরণের সমর্থন করিতে পারি নাই। মসজিদের সম্মুখে গীতবাদ্য সম্বন্ধেও রহিম সাহেব অনেক আংশিক সত্য আংশিক মিথ্যা কথা বলিয়াছেন। তিনি স্বীকার করিয়াছেন, যে, হিন্দুর নামাজের সময় মসজিদের সাম্নে গীতবাদ্য বন্ধ করিতে প্রস্তুত ছিল। তাহা হইলে আপোষে মিটমাট হইল না কেন ? কারণ কি এই নহে, যে, তিনিও অন্য মুসলমান নেতারা ও তাহাদের অম্লচরেরা এই জেদ ধরিয়াছিলেন, যে, সব মসজিদের সাম্নে সকল সময়েই গীতবাদ্য বন্ধ করিতে হইবে ? তিনি সাধারণভাবে বলিয়াছেন বটে, যে, দেশের সব সম্প্রদায়ের লোকদের সরকারী রাস্ত ব্যবহার করিবার অধিকার আছে যতক্ষণ পৰ্য্যস্ত তাহার অল্পের সমান অধিকারে বাধা না দেয়, অপরের বিরক্তিকর বা অনিষ্টকর কাজ না করে, অপরের উপর উৎপাত না করে । কিন্তু. মুসলমানরা যে কত মন্দির ও মূৰ্ত্তি অপবিত্র করিয়াছে, শবদাহে যাধা দিয়াছে, সংকীৰ্ত্তনদল আক্রমণ করিয়াছে, লোকদের নিজের গৃহাভ্যস্তরে পূজাপাঠে ভজন গানে স্বাধ৷ দিয়াছে, তাহার কোন উল্লেখ তিনি করেন নাই । তাহার বক্তৃতার সব-চেয়ে জঘন্ত, লজ্জাকর ও ঘূণ্য ংশ গেইট, যেখানে তিনি নারীদের উপর মুসলমান নরপশুদের কৃত অত্যাচারসমূহকে সেক্স্বয়েল ইরেগুলারিটি বা স্ত্রীপুরুষসম্বন্ধীয় অনিয়ম বলিয়া উড়াইয়া দিতে চেষ্ট} করিয়াছেন। যে-সব অমুসলমান কাগজ নারীনির্ধ্যাতনের বিরুদ্ধে খুব বেশী লেখালেখি করেন, তাহার অত্যাচারী ও অত্যাচরিতাদের জাতিধৰ্ম্মনিৰ্ব্বিশেষে এই পাপ ও পৈশাচিকতার নিনা করেন ; কিন্তু রহিম সাহেব মুসলমান নারীদের উপর মুসলমানের অত্যাচার সম্বন্ধে৪ কোন কড়। কথা বলিতে সাহস করেন নাই ; অথচ এরূপ অত্যাচারের সংখ্যা কম নহে। রহিম সাহেব বলিয়াছেন, ব্যভিচার বলাংকারাদি গর্হিত কাজের শাস্তির ব্যবস্থা হসলামীয় শাস্ত্ৰে ধেমন কঠোর এমন আর কোন শাস্ত্রেই নহে ॥ তাহা সত্য কিনা, জানি না ; , কারণ আমরা ইসলামীয় শাস্ত্র পাড় নাই। কিন্তু বঙ্গায় মুসলমানদের ব্যবহারে ত এরূপ ব্যবস্থার কোন পরিচয় পাই না। কি শাস্তির ব্যবস্থা আছে, জানিতে চাই । তাহ হইলে প্রয়োজন-স্থলে তাহার দাবী হইবে । মুসলমানরা বহুস্থলে হিন্দু নারীর উপর অত্যাচারী মুসলমানের আদালতে পক্ষসমৰ্থন জন্য চাদ তুলিয়াছেন, কিন্তু মুসলমান দ্বার। অত্যাচরিত। মুসলমান নারীদেরও পক্ষাযলম্বন করিমু১ মোকদ্বষা চালাইবার জন্ত চাদ তুলিয়াছেন বা সমিতি গঠন করিয়াছেন বলিয়া শুনি নাই, পড়ি নাই। অত্যচরিতা হিন্মুনারীর পক্ষ তাহার কেহ অবলম্বন করিবেন, এরূপ দুরাশা আমাদের নাই। মুসলমানদের দ্বার জন্তাচারের প্রত্যেকটি সংবাদ যে সত্য, ইহা আমর। বলি না . কিন্তু এরূপ বস্তর সংবাদ যে সত্য তাহাতে সন্দেহ নাই, তাহা পুনঃ পুনঃ আদালতে প্রমাণিত হইয়া গিস্কাছে ১ এরূপ অত্যাচার যে মুসলমানরাই বেণী করে, অত্য।"