পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—স্তার আব্দার রহিমের বক্ততা ఇసెరి চরিতাদের যেশী অংশ যে হিন্দুমারী, এবং এই উপায়ে ষে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়, ইহাতেও কোন সন্দেহ নাই। অমুসলমান নারীরক্ষাসমিতি অত্যাচরিত মুসলমান নারীর পক্ষ অবলম্বন ও সাহায্য করিয়াছেন, তাহার দৃষ্টান্ত আছে। কুষ্টিয়ার মধু শেখ অত্যাচরিতা হিন্দুমারীর সাহায্য করিয়াছিলেন বলিয়া অমুসলমান কাগজে র্তাহার প্রশংসা বাহির হইয়াছিল । অধিকাংশ ভারতীয়-বিশেষতঃ বঙ্গায়—মুসলমান যে মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত ভারতীয় হিন্দুদের বংশধর, এই কথাটা প্রমাণ করিবার চেষ্টা করায় রহিম সাহেব বড় চটিয়াছেন। তাহারা অনেকে নিজ নিজ প্রকৃত পূৰ্ব্বপুরুষদিগকে বিশ্বত হইয়া আপনাদিগকে আরব মোগল পাঠান তুর্কের বংশধর বলিয়া পরিচয় দেওয়ায় ঐতিহাসিক ও নৃতাত্বিক সত্যের উদঘাটন অপ্রীতিকর হইতে পারে। কিন্তু ইহাতে অমুসলমানদের কোন বদ মতলব নাই ; কারণ তাহারা আরব তুর্ক পাঠান মোগলদিগকে ভারতীয় হিন্দু অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ মনে করে না। "শুদ্ধ"র জন্যও মুসলমানদিগকে হিন্দুর বংশধর প্রমাণ করিবার কোন প্রয়োজন নাই। কারণ, শক হুন গ্রীকৃ ভারতীয় অনাৰ্য্য আদিম জাতি প্রভৃতির বিস্তর লোক স্মরণাতীত কাল হইতে হিন্দুসমাজভূক্ত হইয়া আসিতেছে। রহিম সাহেব বলিয়াছেন, যে, সংখ্যাবহুল হিন্দুরা তাহাদের ক্ষমতার কিরূপ ব্যবহার করিবে, সে-বিষয়ে মুসলমানদের উদ্বেগ আছে। ভারতরর্ষের অধিকাংশ প্রদেশে হিন্দুর সংখ্য বেশী, মুসলমানের সংখ্যা কম। কিন্তু যে-কয়েকটি প্রদেশে মুসলমানের সংখ্যা বেশী, তথায় মুসলমানের হিন্দুর উপর যেরূপ যত অত্যাচার করিয়াছে, তাহার সমতুল্য তত অত্যাচারের দৃষ্টান্ত হিপূবহুল প্রদেশ সকল হইতে রহিম সাহেব বাহির করিতে পারেন কি ? মালাবার, পাবন, কোহাট, লড়কান, প্রভৃতির মত হিন্মুঅত্যাচার-ক্ষেত্রের দৃষ্টান্ত দিতে পারেন কি ? কল্পিত বাজে উদ্বেগের উল্লেখ নেতৃস্থানীয় কোন লোকের করা উচিত নয়। বড়োদাতে রাজা হিন্দু ; মুসলমানরা তথায় সংখ্যায় কম। অথচ সেখানেও শিবাজী উৎসবে মুসলমানের উপজষ করিয়াছে। সরকারী রিপোর্টে প্রকাশিত গণিত অস্ক উদ্ধৃত করিয়৷ যে-কথা মিথ্যা বলিয়া প্রমাণ করা যায়, ভূতপূৰ্ব্ব হাইকোর্ট জজ ও শাসন-পরিষদের ভূতপূৰ্ব্ব সভ্যের তেমন মিথ্যা কথা বলাটা নিবুদ্ধিত । রহিম সাহেব নিজ *wo how of tatton :-"they are steadily declining in wealth, education and political influence ।” কোন সম্প্রদায়ের ধন কিরূপ বাড়িতেছে কামতেছে, তাহার কোন হিসাব নাই। রাজনৈতিক প্রভাবের হ্রাসবৃদ্ধির ৪ হিসাব নাই । কিন্তু শিক্ষার বিস্তার ও উন্নতি যে মুসলমানদের মধ্যে হইতেছে, তাহার হিসাব আছে ও তাহ দেখাইতেছি । রহিম সাহেব বাংলা দেশে বক্তৃতা করিয়াছিলেন। স্থতরাং বাংলার কথাই বলি । ১৯২৫-২৬ সালের বঙ্গীয় শিক্ষা-রিপোটো দৃষ্ট হইবে, যে, ১৯২৪-২৫ সালে কলেজ-সমূহে মুসলমান ছাত্র ২৮৫৩ ছিল ; ১৯২৫-২৬ সালে তাহা বাড়িয়া ৩১৭৮ হয়। সকল রকমের শিক্ষালয়ে মুসলমান ছাত্রছাত্রী ১৯২৪-২৫ সালে ১৭১৮৪৯৩ ছিল ; তাহ বাড়িয়ু পর বৎসর ১০৫২৩৬৬ হয়। মধ্য ও উচ্চ বিদ্যালয় সকলে মুসলমান ছাত্রছাত্রী ১৯২৪-২৫ সালে যথাক্রমে শতকরা ১৪৬ ও ১৭২ ছিল ; তাহ বাড়িয়া ১৯২৫-২৬ সালে শতকরা ১৫০ ও ১৭৬ হইয়াছিল । প্রাথমিক বিদ্যালয় সকলে হিন্দু ও মুসলমান ছাত্রের সখ্য। এইরূপ ছিল — বৎসর । হিন্দু। মুসলমান । ఫి:Bశాఖ & ¢፭ ዓoxይ¢ &b \\లిఫెఫి 3 ఫిసె{tఆ ఇS) Ø:: ግ »ቖ- ৬৯৬২৬৫ স্ত্রীশিক্ষার হিসাব লইলে দেখা যায়, ১৯২৫-২৬ সালে হিন্দু ছাত্রী ছিল ১৩৯৬১১, মুসলমান ছাত্রী ছিল ১৯১২৮৩। মুসলমান ছাত্রীর সংখ্যায় এক বৎসরে শতকরা es বাড়িয়াছে ; হিন্দু ছাত্রীর সংখ্যায় তত বাড়িতে পারে নাই, কেবলমাত্র শতকরা ৩৫ বাড়িয়াছে। মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার অবস্থা ভাল নয় সত্য, কিন্তু. তাহার অবনতি হইতেছে না, উন্নতিই হইতেছে । রহিম সাহেবের বক্তৃতার আরও অনেক সমালোচনা इहेtङ •itब्र, यिख प्याग्न छांभ्रंशो नटे नौ कब्रिघ्नl cभश कथ1 একটা বলি । তিনি শেষের দিকে বলিয়াছেন –