পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] সত্তর বৎসর (වව` শাসন-পদ্ধতি চম্পার রাজবংশ হিন্দুরাজবংশ, স্বতরাং তার শাসনপদ্ধতিও ভারতীয় হওয়া বাঞ্ছনীয়। চম্প বা শ্যাম দেশের শাসন-পদ্ধতি দেখলে আমাদের দেশের আগেকার কালের শাসন পদ্ধতির কথা মনে হয়। ঠিক যেন হিন্দু দওনীতি সমুদ্রপারে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। চম্পার রাজসভা ঠিক যেন হিন্দু রাজসভা, সেখানে পুরোহিত, ব্রাহ্মণ, জ্যোতিষী ও পণ্ডিতদের আমরা দেখতে পাই। হিন্দুরাজার। যেমন শাস্ত্র-শাসনে পরিচালিত হতেন, চম্পার রাজারাও সেই-রকম শাস্ত্রবাক্যকেই প্রধান স্থান দিতেন। আর ব্রাহ্মণ ছিলেন তাদের পরামর্শদাতা, অবশ্য সব সময়েই রাজা যে ব্রাহ্মণের পরামর্শ অনুসারে চলতেন उi नः । শাসনের সুবিধার জন্ম চম্পদেশটি তিনটি প্রদেশে বিভক্ত ছিল। আশ্চর্ষ্যের বিষয় এই যে, এইসব প্রদেশগুলির নাম একেবারে ভারতীয় । এটি ভারতীয় সভ্যতার প্রভাব বলতে হবে। প্রদেশগুলির নাম :–(১) অমরা বতী—উত্তর চম্পায়। এ প্রদেশে ইন্দ্রপুর সহর ছিল, সেটি এক সময়ে চম্পার রাজধানী ছিল । ( ২ ) বিজয়—মধ্য চম্পায় । এখানকার প্রধান সহর, ১• • • অব থেকে চম্পার রাজধানী হয়েছিল। (৩) পাণ্ডুরঙ্গ—দক্ষিণ চম্পায় অবস্থিত । প্রত্যেক প্রদেশে একজন শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত ছিলেন। এই তিনটি প্রদেশ তৃতীয় হরিবর্মণের রাজত্বকালে ৩৮ অংশে বিভক্ত ছিল। তৃতীয় হরিবর্শণ ১৯৭৪ অব্দ থেকে ১৯৮০ অব্দ পর্য্যস্ত রাজত্ব করেছিলেন। সেই সময়ে সার চম্পারাজ্যে ৩০,• • • পরিবার ছিল। শিলালিপি থেকে আমরা জমির ছুটে ভাগের নাম পাই-( ১ ) প্রমীর ও ( 2 ) বিজয় । শাসনের জন্তু ষে বিভাগ সেটির নাম প্রমার, ও সামন্তদের যে বিভাগ সেটির নাম বিজয় । চীনা বই থেকে জানা যায় যে, এক-একটি গ্রাম বা সহরের লোকংখ্যা তিন থেকে ৫০০ পরিবার ছিল, অনেক সময় ৭• • পরিবারও থাকৃত । রাজধানীতে আরও বেশী পরিবার বাস করত, যেমন ১০৬৯ খৃঃ অব্দে বিজয়ে ২৫৬০টি পরিবার বাস করত। আর-একটি বিভাগের নাম আমরা পাই, সেটি হচ্ছে—বিষয় । পাল ও গুপ্ত রাজাদের শিললিপিতেও আমরা “বিবয়ের’ উল্লেখ পাই, সেখানে বিষয় *জেল!” অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এইভাবে চম্পায় হিন্দু শাসন-প্রথা প্রচলিত হয়েছিল। সেই শাসন-প্রথ৷ খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতাবী থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত স্থায়ী ছিল । যখন ভারতবর্ষে মুসলমান রাজার প্রবলপ্রতাপে রাজত্ব কবৃছিল, সে-সময়ও চম্পায় হিন্দুরাজ্য প্রতিষ্ঠিত ছিল । যখন ভারতবর্ষে তোগলক বংশের তথা পাঠান সাম্রাজ্যের পতন হ’য়ে আসছিল, সেই সময়ই চম্পায় হিন্দুরাজ্যের বিলোপ হয়। সত্তর বৎসর শ্ৰী বিপিনচন্দ্র পাল সামাজিক চিন্ত্র । ( ১৯ ) শ্ৰীহট্ট সাহাপ্রধান স্থানে। সহরে সাহারাই ধনসম্পদে হিন্দু সমাজের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আমার বাল্যকালে আমরা সাহাদিগকে গুড়ি বলিয়া ভাবিতাম। এইজন্স ویسے (گ89 ( শ্রীহট্ট সহরে ) সহরের ব্রাহ্মণ-ভদ্রলোকের ইহুদিগের সঙ্গে পানাহার করিতেন না । “হস্তিন তাড়িতেনাপি ন গচ্ছেৎ শুণ্ডিকালয়ম” এই প্রাচীন অনুশাসন স্মরণ করিয়া নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ