পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগুস্ত রদ্যার শিল্প-পরিচয় . শ্ৰী নীহাররঞ্জন রায়, এম-এ কবি ও শিল্পীর দেশ নাই, জাতি নাই, ধৰ্ম্ম নাই, কাল নাই ; সমস্ত দেশ ও জাতি, কাল ও ধর্শ্বের অতীত এক অভিনব জগতে বাস করিয়া তাহারা সকল দেশের, সকল জাতির, সকল ধৰ্ম্মের ও সকল কালের মানব জাতির জন্য অনন্ত স্বধার ভাণ্ডার পূর্ণ করিয়া অফুরন্ত রসের স্বষ্টি করেন। যাঙ্গলা দেশের কবির স্বরটি শুনিবামাত্র এক মুহূর্তেই সুইটুসারল্যাণ্ডের পথচলা পথিকের প্রাণটি সমবেদনা, সহানুভূতি ও একাত্মবোধে ঝঙ্কত হইয়া উঠে, অন্তরের একটি কোণ হঠাৎ বেদনায় পীড়িত হয় ; রেণেসাস যুগের ইটালীর তরুণ চিত্রকর রাফেলের "মাতৃমূর্তিটি দেখিবামাত্র বাঙলা দেশের মায়ের চিত্ত আপন সন্তানটিকে কোলে লইয়া চুম্বন করিবার আকুল আকাজক্ষয় পীড়িত হইয় উঠে ; নবম শতাব্দীর দক্ষিণ ভারতের নটরাজের নৃত্যরূপ দেখিয়া বিংশ শতাব্দীর ফরাসী ভাস্কর রদ্যার অন্তরে বিচিত্র ভাবোম্মাদনায় নৃত্য সঞ্চারিত হয় । এই করিয়াই অতীত ভারতের কালিদাস, ইংলণ্ডের শেক্সপায়ার, জাৰ্ম্মাণীর গায়টে, ইটালীর দান্তে দুস্তর কাল-সমুদ্র পার হইয়া আমাদের নিতান্ত আপনার জন হইয়া দাড়াইয়াছেন । ইহারই জোরে বাঙলা ও ভারতবর্ষ রবীন্দ্রনাথকে যতখানি দাবী করে, ঠিক ততথানি দাবীই আজ ইটালী করিতেছে, জাৰ্ম্মাণী করিতেছে, করিতেছে আমেরিকা, করিতেছে জাপান । এই নিয়মেই আজ শিল্পী অগুস্ত রদ্যাও পৃথিবীর সৰ্ব্বত্র পূজিত ও সমাদৃত হইবার দাবী করিতেছেন ; ভাস্কর রর্দ্যার শিল্পীপ্রাণের মধ্যে ভারতবর্ষের শিল্প-ধার পরমাতিথ্যে ও সৌহার্ধ্যে পাশ্চাত্য শিল্পধারার সঙ্গে সখীত্ব-বন্ধনে বাধা পড়িয়াছিল। রদ্যা শিল্প-সৌন্দর্ঘ্যের আত্মাটিকে অনেক সাধনায়, অনেক আরাধনায় খুজিয়৷ পাইয়াছিলেন ; কাজেই ষে জাম্বাস পাশ্চাত্য শিল্প-ধারার جسے وا8N সঙ্গে তাহার পরিচয়-সাধন করাইয়া দিয়াছিল, সেই আয়াসই ভারতবর্ষের শিল্প-ধারার মধ্যে। তাহার অস্তুদৃষ্টি উন্মোচন করিয়া দিতে সাহায্য করিয়াছিল। যুরোপ-ইতিহাসের মধ্যযুগের অবসানে সমগ্র পাশ্চাত্য জগতে প্রাচীন গ্রীস ও রোমের জ্ঞান-বিজ্ঞান শিল্পকলার পুনরুদ্ধারের জন্য এক বিরাট আন্দোলনের স্বষ্টি হইয়াছিল —ইহার কেন্দ্রস্থল ছিল ইটালী ও পরে হল্যাগু। এই বিরাট আন্দোলন সমগ্র পাশ্চাত্য জগতকে নূতন করিয়া গড়িয়াছে ; যুরোপের এই নবোম্বোধন পাশ্চাত্য শিল্পকলাকেও নূতন রূপ দিয়াছে এবং তাহার মধ্যে বিচিত্র প্রাণরসের সঞ্চার করিয়াছে। এই নবরূপ ও প্রাণরসের শ্ৰষ্ট ছিলেন জিয়োটো, বটিচেলি, এঞ্জেলো, র্যাফেল, র্যামব্রান্ট, ইত্যাদি শক্তিশালী ভাস্কর ও চিত্রকরেরা । ইহার শুধু পাশ্চাত্য জগৎকে নয়, সমগ্র পৃথিবীকে রসে ও সৌম্বর্ষ্যে সমৃদ্ধ করিয়াছেন এবং অনাগড যুগের জন্য অফুরন্ত স্বধ্যভাণ্ড পূর্ণ করিয়া রাখিয়া গিয়াছেন । নবোম্বোধন যুগের এঞ্জোলা-র্যাফেলসঞ্চারিত শিল্পকলার যে-ধারা যুরোপের পুঞ্জীভূত মরুবালিরাশির মাঝখানে পথ হারাইয়। ফেলিয়াছিল, ফরাসী শিল্পী কুদ্যা সেই ধারাকে পুনরুজ্জীবিত করিয়াছেন এবং সেই স্রোতে নবরসধারা বহাইয়া দিয়াছেন । র্তাহার শিল্পভাষার সহিত হয়ত ভারতীয় শিল্পভাষার কোন মিল নাই কিন্তু তিনি ষে অক্ষয় রসভাণ্ডার স্বষ্টি করিয়া রাধিয়া शिञ्चांtश्न उठांश ट्हेरङ यशृउब्रम् *ान कब्रिरण जांभांरक्षग्न জাতিভ্ৰষ্ট হইবার কোনো আশঙ্কা নাই; বরং আমাদের প্রত্যেকের সৌম্বৰ্য্য-ভাণ্ডারটি নবরসধারার সংস্পর্শে সঞ্জীবিত হইবার আশা আছে। মানব জীবনকে হুধায় ও সৌন্দর্ষ্যে অভিষিক্ত করিবার ব্রড ধাহারা গ্রহণ করিয়া८झ्न झर्नेH फैशरमग्न चन्नुज्रभ। ১৮৪৭ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করিয়া এবং তাহার পর