পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీ:N প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড

  • মোটের উপর কথাটা হচ্ছে এই যে, কোন একটা কল্যাণীয়েধু— বিশেষ বাক্যকে সত্য বলে না-জগতের নানা পদার্থের

সত্যে মিথ্যাম্ব মিলাইয়৷ মানুষ জীবন বহন করে সেট। কেবল তাহার দুৰ্ব্বলতার জন্য। সেটা যে তাহার পক্ষে কৰ্ত্তব্য এমন কথা কেহই বলে না। কেবল একটা বিচার করিবার অাছে তাহা এই— বাহিরে মিথ্যার মত দেখিতে এমন অমিথ্যা অনেক আছে যেমন পরিহাস, কিম্বা কল্পনার স্বেচ্ছাকৃত লীলা, কিথা উন্মত্তকে বিপদ বা অন্যায় হইতে বাচাইবার জন্য কৌশল। অর্থাৎ যে মিথ্যা অন্যায় করিষার জন্ত সত্য গোপন তাহ। যোলো আনা মিথ্যা। কিন্তু ভাল করিবার জন্য মিথ্যার বিপদ আছে। কারণ কোল্ট যথার্থই ভাল অনেক সময়েই আমরা নিজের সুবিধার দ্বারা তাহার বিচার করি এবং উপস্থিত মত যাহা ভাল, পরিণামে তাহা মন্দ হইতে পারে। কিন্তু মিথ্যার চেয়েও মন্স আছে যেমন নরহত্য সেখানে অস্তুরের মধ্যে আপনিই বুঝিতে পারা যায় যে, অন্যায় বা নিষ্ঠুর হত্য বঁাচাইযার জন্য মিথ্যা বলা যায়। ষত্বত সত্যকেও যেখানে আমরা বিসর্জন দিব সেখানে বড় একটা সত্যের খাতিরেই তাহা করিতে হইবে। কোন সত্যটা সেই পরিণামেই বড় তাহ সত্যপ্রিয় সত্যপরায়ণ ব্যক্তি আপনই বুঝিতে পারে—কিন্তু যে মানুষ সহজেই প্রত্যহই তুচ্ছ কারণে সভ্যকে নষ্ট করিতে অভ্যস্ত তাহার পক্ষে এ কথাটা বোঝ। অসম্ভব। তোমার প্রশ্নটি নিতান্ত সহজ নহে। কথাটা পরিষ্কার করিতে হইলে সুদীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন করে। ইতি। ২০শে কাৰ্ত্তিক ১৩২৫ শুভাকাঙ্ক্ষী ঐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কল্যাণীয়েৰু তুমি যে প্রশ্ন করেছ সে-সম্বন্ধে মুখে মুখে আলোচনা না হ’লে কথা পরিষ্কার হবে না। অতএব সে পূৰ্য্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বড় চিঠি লেখবার মত সময় পাইনে । সঙ্গে আমাদের নানা সম্বন্ধ আছে সেই সম্বন্ধটি সম্পূর্ণ সত্য হ'লেই আমাদের জীবন সভ্য হয়—সেই সকল সম্বন্ধে আমরা যদি প্রবঞ্চক কপট কৃপণ ভীরু বা স্বার্থপর হই তাহ’লেই সমস্ত জীবন দিয়ে আমরা মিথ্যা। কিন্তু বিবটি বড়। সংক্ষেপে সব কথা বলা চলবে না। ইতি। २५ कार्डिंद s७२¢ শুভাকাজী শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কল্যাণীয়েযু— অধ্যাপক ফুশে প্রভৃতি অতিথিদের নিয়ে কয়েকদিন অত্যন্ত ব্যস্ত ছিলুম। আজ তারা চলে গেছেন, এখন কতকটা ছুটী পেয়েছি। তুমি নিজের সঙ্গে যে সংগ্রামের কথা লিখেছ সেই ংগ্রামের মধ্য দিয়েইত চলতে হবে। কবেই বা নিষ্কৃতি পাব ? অামাদের দেহের প্রাণ রক্ষণ ৪ ত নিরস্তর সংগ্রাম। আমাদের চরিত্রও একটা মানসিক প্রাণক্রিয়া—আমাদের মধ্যে যেটা মন তারই সঙ্গে লড়াই করতে কবৃতে আমাদের মধ্যে যেটা ভাল সে বলিষ্ঠ হ’য়ে উঠে। এই লড়াই একেবারেই যদি না থাকৃত তাহ’লে আমাদের চরিত্র নিজীব হয়ে পড়ত। হাৰ্বতে হাৰ্বতেও আমরা ঞ্জিৎব। এসম্বন্ধে বাহির থেকে কোনো পরামর্শ দেওয়া শক্ত। তবু একটা কথা এই বলা যায়—চরিত্রকে সত্য ও সবল করার একমাত্র উপায় কৰ্ম্ম। প্রত্যেক মানুষকে অল্পাঙ্ক কর্থের মধ্যে এমন একটি কৰ্ম্ম করতে হবে যেটি সম্পূর্ণ নিঃস্বাৰ্থ কল্যাণ-কৰ্ম্ম। এই কর্শেই ধীরে ধীরে বন্ধন কয় করে নইলে কেবল মনে মনে বিতর্ক ক’রে আমরা বল পাইনে। ইতি—১ জানুয়ারী ১৯২• শুভাকাজী ঐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর