পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুদ্রিত পুরাতন পুস্তক ঐ অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় কেবল নূতন বস্তু ও নূতন বিষয়ের প্রতিই যে মানুষ আকৃষ্ট হয় তাহা নহে। পুরাতনের প্রতিও স্বভাবতঃ মানুষের আকর্ষণ আছে। আমরা পুরাতন আত্মীয় স্বজনের সম্মিলনে আনন্দ লাভ করি। বহুদিন পরলোকগত পিতৃ পিতামহের ব্যবহৃত কোন বস্তু বা তঁহাদের হস্তাক্ষর দর্শনে পুলকিত হইয়া থাকি। প্রাচীনতার প্রতি মামুষের এই যে স্বাভাবিক আকর্ষণ ও কৌতুহল ইহাই পুরাতত্ব জ্ঞানের মূল । সম্প্রতি আমার পুস্তকালয়ের আলমারী পরিষ্কার করিবার সময় কয়েকখানি পুরাতন পুস্তক দেখিতে পাইয়া আনন্দ লাভ করিলাম। পুস্তকগুলির কোনখানি ॥৩ বৎসর কোন খানি ৪-৪৫ বৎসর যাবৎ আমার অধিকারে রহিয়াছে। আমার বহু পুরাতন গ্রন্থ নষ্ট হুইয়াছে। কতকগুলি পোকায় কাটিয়াছে। কতকগুলি কেহ কেহ ন৷ বলিয়া লইয়াছেন এবং দুঃখের বিষয় কেহ কেহ পুস্তক পড়িতে লইয়া আর ফেরত দেন নাই। হিন্দিতে একটি প্রবাদ-বাক্য প্রচলিত আছে, তাহার অর্থ এই ধে, যে ব্যক্তি অন্তকে পুস্তক পড়িতে দেন তিনি নিৰ্ব্বোধ। এবং যিনি অঙ্কের নিকট পুস্তক হাওলাত লইয়া ফেরত দেন, তিনি অধিকতর নিৰ্ব্বোধ। যাহা হউক, আমি কৰ্ম্মসুত্রে নানাস্থানে নীত হইয়াছি, নানা প্রকার লোকের সংস্রবে আসিয়াছি, তথাপি এখনও বে কতকগুলি পুরাতন গ্রন্থ ছিন্ন-ভিন্ন অবস্থাতেও আমার নিকট রহিয়াছে ইহাই আশ্চৰ্য্য। এই গ্রন্থগুলির মধ্যে কয়েকখানির কিঞ্চিৎ পরিচয় প্রদান এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য। ১ । মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের একখানি গ্রন্থ । পুস্তকধানি ১০৩ বৎসরের পূৰ্ব্বে মুত্রিত হইয়াছিল। অক্ষর দেখিম মনে হয় লিসার টাইপ নহুে—কাঠের টাইপ, ॐाइब्र चांशांश्रण माहे, फूभिकांद्र किन्नभश्न भांछ भांtछ्। दिछांश्रृंन १ा? कब्रिग्न अंtइब्र नीम छांनियांग्र $*ांइ नॉरें । রাঞ্জার গ্রন্থাবলীর সঙ্গে মিলাইয়া দেখিলাম, একখানি *পথ্য প্রদান” নামে অথ্যাত। বিজ্ঞাপনের শেষাংশে *১২৩০ সাল ১৫ই পৌত্ব” লেখা আছে। গ্রন্থাবলীতে ইহার যে ইংরেজী বাংলা আখ্যাপত্ৰ ( Title page) সংলগ্ন আছে তাহাতে ষাংলায় “শকাব৷ ১৭৪৫ ও ইংরেজীতে ১৮২৩” লিখিত আছে, সুতরাং গণনায় ১২৩০ সাল মিল হইতেছে। গ্ৰন্থখানির বহুস্থানে হস্তাক্ষরে সংশোধন করা আছে। শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রণীত রাজার জীবন চরিতে বাংলায় রাজার নাম স্বাক্ষরের যে প্রতিলিপি আছে, এবং মিস্ মেরী কাপেণ্টারের “The Last Days in England of the Raja Ram Mohun Roy." গ্রন্থের তৃতীয় সংস্করণের ১৩৪ পৃষ্ঠার পর রাজার জ্যেষ্ঠ পুত্র রাধাপ্রসাদ রায়কে লিখিত রাজার যে একখানি বাঙলা পত্রের প্রতিলিপি ( লিথো) প্রকাশিত হইয়াছে, তাহার সহিত মিলাইয়া দেখিলে আমাদের নিকট রক্ষিত গ্রন্থের সংশোধনগুলি যে রাজার নিজ হস্তাক্ষর তাহ বেশ বুঝিতে পারা যায়। এই গ্রন্থখানির শেষাংশে ১২ পৃষ্ঠা ব্যাপী একটি শুদ্ধিপত্র আছে। সে সময়ে ছাপাখানার উন্নতি হয় নাই। যহুসংখ্যক ছাপার ভুল থাকিলে গ্রন্থ প্রকাশ বিফল হইতে পারে বোধ হয় এইজন্তই রাজা কেবল শুদ্ধিপত্রসংযোজন পর্ধ্যাপ্ত নহে মনে করিয়া হাতে লিথিয়া সংশোধনের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। তর্কস্থলে একথা বলা যাইতে পারে যে, রাজা এই শ্রমসাধ্য কাৰ্য্য অন্তের দ্বারাও করাইতে পারেন, এবং লেখকের হস্তাক্ষর হয়ত রাজার হস্তাক্ষরের অমুরূপ ছিল। ২। এই দ্বিতীয় গ্রন্থখানিও উক্ত মহাত্মার রচিত। একখানির আধ্যাপত্র এইরূপ —

  • পরমাত্মনে নমঃ । প্রশ্নচতুষ্ট এবং তছত্তর