পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৯২ প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ २१ नं छांनं, *ञ थ७ গভীর বিশ্বাস আছে যে, সত্য র্তাহার ভিতর দিয়া প্রকাশ श्रुझे, जप्ङाद्र यांश्न न इहेब्रां ऊँग्नि छै*ांग्र नाई-७भन মাহবই ঋষি হন । এই বিশ্বাস কম মাহুষের মধ্যেই দেখা যায় এবং এই বিশ্বাসসিদ্ধ হইতে হইলে কৰ্ম্মের ক্ষেত্রে কঠিন ত্যাগ স্বীকার করিতে হয় । খাটি শিল্প খাটি বিজ্ঞান এই ত্যাগ এই আত্মোৎসর্গের উপর গড়িয় ওঠে। প্রসিদ্ধ গুণী লুল্লী ( Lulli) যখন পাচকের স্থায়ী কাজ ছাড়িয়া বেহালা হাতে করিয়া অনিশ্চয়তার বুকে ঝাপ দেন, কত বিপদ কত দুঃখ তাকে ঘুিরিয়াছিল, কিন্তু তাহার মধ্যেই সঙ্গীতজ্ঞের আদর্শ অঁাকৃড়াইয়া ধরিয়া সহস্ৰ ত্যাগের দ্বারা তিনি তাহার গুণী নাম সার্থক করিয়াছেন, তার কৰ্ম্মক্ষেত্রকে গৌরবান্বিত করিয়াছেন। কিন্তু সঙ্গীত-পরিষদের যে মামুলী ছাত্র, মামুলী গৎ বাজাই, তাহার কর্তব্য শেষ হইল ভাবে, কোথায় তার ত্যাগের অবকাশ ? তাহার আদর্শের প্রতি নিষ্ঠ ত দেখি না শুধু দেখি বেশ আরামে তার সৌধীন অবস্থাটি উপভোগ করিয়াই সে খুলী | হাতের কাজ একদিকে প্রত্যেক মাহুষের একটি কর্তব্য, অন্যদিকে সেটি বহুলোকের জীবনে আশীৰ্ব্বাদের মত হইয়া আছে। এই দিকু দিয়া বিচার করিলে মস্তিষ্কের কাজ অল্পসংখ্যক লোকের অধিকার ও কল্যাণের আধার। কাহার উহাতে অধিকার আছে কাহার নাই তাহার বিচার হুইবে ত্যাগের দ্বারা। শিল্পী বা পণ্ডিত তাহার আদর্শজীবনের জন্য তাহার অবকাশ ও তাহার স্থখস্বাচ্ছদ্য কতটা উৎসর্গ করিয়াছে ? যে মানুষ হাতের কাজ করিয়া আপনার ও স্বজনবর্গের জীবিকানিৰ্ব্বাহ করে এবং সেই সঙ্গে তার ক্ষুদ্র বিশ্রামক্ষণ, তার নিক্সার সময়টুকুও চিন্ত৷ ও স্বষ্টিকৰ্ম্মে নিয়োজিত করে সেই সত্য মানসিক ক্ষেত্রে কৰ্ম্ম করিবার অধিকারটি প্রমাণ করিয়াছে। কিন্তু যে মাছুষের সহজ নৈতিক দায়ীত্ব এড়াইয়া, শিল্প বিজ্ঞানপ্রীতির অছিলা করিয়া সমাজতরুর পরগাছা হইয়া বঁচিতে চায়, সে শুধু মেকী শিল্প ও কুটাে বিজ্ঞানেরই স্বষ্টি করিৰে । খাটি শিল্প ও বিজ্ঞানের উৎস সুখ সুবিধা নয় আত্মদান । - “কিন্তু তাহা হইলেখির বিজ্ঞানের দশা কি হইবে?" এই প্রশ্ন কত বার শুনিয়াছি ! এমন লোকের প্রশ্ন করেন যাদের না আছে শিল্প-বিজ্ঞানের বালাই, না আছে উহাদের সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণ। প্রশ্ন শুনিয়া মনে হয় যেন বিশ্বমানবহিত ছাড়া তাহাদের অন্ত চিন্তাই নাই— যেন তাহাদের মনগড়া শিল্প ও বিজ্ঞানের উন্নতি ছাড়া মানব-সভ্যতার আর উন্নতি নাই । শিল্প ও বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে না এমন স্ববুদ্ধি মানুষের অভাব নাই, আবার এমন মজার লোকও অাছে যে সেট। স্বীকার করানই জীবনের কর্তব্য বলিয়া মনে করে ! এমন মতভেদ হয় কেন ? ঐ ত চাষী চাষ করিতেছে, মজুর খাটিতেছে, কৈ তাহীদের কাজের আবশ্যকতাটা অস্বীকার ত কেউ কবে না । আবার তাহার প্রয়োজনীয়তাট। প্রমাণ করিতেও কেউ ক্ষেপে না । কাজ হইয়া যায়—কাজটা দরকারী এবং সকলেরই তাহাতে উপকার এট। আমরা বুঝি, ইহার আবখ্যকতায় আমরা সন্দিহান হই না, সেটা প্রমাণ করিতে ব্যস্ত হওয়া ত দূরের কথা! শিল্প ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রের কৰ্ম্মীদেরও ঠিক এক অবস্থা, তবু তাদের কাজের প্রয়োজনীয়তাট। প্রমাণ করিতে এত লোক এত গলদঘৰ্ম্ম হয় কেন ? আসল কথাট। এই :-খটি কৰ্ম্মী শিল্পবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও কোন বিশেষ অধিকারের দাবী করে না ; তাহার। স্বষ্টি করিয়া যায়, সেই স্বষ্টিতে সকলের কল্যাণ হয় সেই যথেষ্ট ; তাহার জন্য কোন দাবীদাওয়া অথবা তার দলিল ও প্রমাণের দরকার আছে তাহ ভাবে না । কিন্তু তথাকথিত অনেক পণ্ডিত ও শিল্পী যাহারা জানে যে, সমাজের যত জিনিব গ্রাস তাহার করে তার তুলনায় তাহাদের স্বষ্টি একেবারেই নগণ্য। তারাই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রমাণ করিতে ব্যস্ত যে, তাহাদের কাজ ছাড়া বিশ্বমানবের কল্যাণ আর নাই ! এই জায়গায় পুরুতের দলের সঙ্গে ওদের একটা মিগ দেখা যায়। খাটি শিল্প খাটি বিজ্ঞান মামুষের অঙ্ক কৰ্ম্মপ্রচেষ্টার মতন চিরকাল আছে, চিরকাল থাকিবে ; তাহাদের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করা বা অপ্রমাণ করা দুই নিরর্থক। বিজ্ঞান ও শিল্প বে আজ সমাজে মিথ্যার মুখোপ পরিয়া