পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা] ঋষি টলষ্টয়ের একখানি চিঠি 8సిరి -- جیمسمتیے۔ ও৩ামী করিতেছে তাহার একটা গুরুতর কারণ এই ষে, শিল্পী জ্ঞানী প্রভৃতি তথাকথিত "সভ্য” দল সকলে মিলিয়া একট। নূতন জাতিভেদের স্বষ্টি করিয়াছে। ধর্থাদ্ধ পুরুতদের মত গৰ্ব্বান্ধ এই দলটি আভিজাত্যের মোহে অধীর । এদের জাতটা মামুল জাতের মতই অশুভ কর, কারণ যে-আদর্শের দোহাই দিয়া এরা জাতিভেদ হষ্টি করে সেই আদর্শই ইহাতে ধূলায় লুটাইতে থাকে। সেইজগুই খাটি ধৰ্ম্ম শিল্প বিজ্ঞানের জায়গায় মেকিতে সমাজ ভরিয়া যাইতেছে। শিল্প ও সাহিত্য এক্ষেত্রে যথেষ্ট অপরাধ করিয়াছে ; যে বস্তু সাধারণ মানুষকে পৌছাইয়া দিবার ব্রত লইয়া শিল্প ও সাহিত্য আবিভূত হয় এবং ষাহা প্রচার করিতে মহ। ব্যস্ত বলিয়া ভাণ করে ঠিক সেই বস্তু হইতে শিল্প ও সাহিত্যই মানুষকে কতটা বঞ্চিত করিয়াছে ভাবিলে লজ্জা হয়। অথচ অন্তত মুখেও যে দায়ীত্বটা স্বীকার করে তাহাতেই প্রমাণ হয় তথাকথিত শিল্প ও সাহিত্য কত অপরাধী ও নৈতিক দায়ীত্ব বোধে কত দুৰ্ব্বল ।

  • শিল্পের জন্তই শিল্প”“বিজ্ঞানের জন্যই বিজ্ঞান” বলিয়া এক দল লোক কত বুলিই কপ চাইল । কিন্তু এখন মানুষ বুঝিয়াছে, তাদের সার্থকতা এইখানে যে শিল্প বিজ্ঞান নিখিলমানবের চিরন্তন উত্তরাধিকার । সকল মানুষেরই উহাতে অধিকার আছে এটি সভ্যতার পাণ্ডাদের স্বীকার করিতেই হয় । কিন্তু জিজ্ঞাসা করি কখন ঐ বস্তুগুলি কি মানবের চিরন্তন সম্পত্তি হইয়া উঠে ? আসল আর বুটোর মধ্যে প্রভোটা ধরা যায় কিরূপে । এসব প্রশ্নের জবাব ত বড় একট। পাণ্ডারা দেন না! বরং তাহার চাল দিয়া বুঝাইতে চান যে, সত্য সুন্দর ও কল্যাণ যে আসলে কি তাহ প্রকাশ করা যায় না; তাছাদের সংজ্ঞা নির্দেশ করা শক্ত ।

কিন্তু এটা মিথ্যা কথা। যুগে যুগে বিশ্বমানব তার অপরিসীম বিবর্তনের ভিতর দিয়া যদি কিছু করিয়া থাকে ত সে এই স্বন্দর ও কল্যাণের ধ্যান ও ধারণা। কিন্তু এই সংজ্ঞাটি সভ্যতার পাওদের পক্ষে সুবিধার হয় না কারণ ইহা প্রমাণ করিয়া দেয় যে স্বদর ও কল্যাণকে স্থানচ্যুত संब्रिश डांश८भग्न छांब्रशाब्र थिझ ७ दिखांम८क थउिछैिऊ করিতে চেষ্টা করা শুধু নিরর্থক নয় অনিষ্টকর। যুগে যুগে মাতুব শিবসুন্দরের রূপটি নিৰ্দ্ধারিত করিতে চেষ্টা করিয়াছে ; ব্রাহ্মণ ও বৌদ্ধ সাধকগণ চীন ইহুদী ও মিশর দেশীয় তত্ত্বজ্ঞানীর দল গ্রীক দর্শন ও খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্র প্রত্যেকেই স্পষ্টভাবে শিষস্বন্দরের ধ্যান ধারণার সাক্ষ্য দিতেছেন । যাহা কিছু মানুষকে মানুষের সঙ্গে এক-প্রাণ হইয়া মিলিতে সাহায্য করে তাহাই শিব-সুন্দরের দান ; যাহা কিছু ভেদের স্বষ্টি করে তাহাই অশিব, তাহাই অসুন্দর। এই আমোষ মন্ত্রটি সকল জীবই জানে, সকলের প্রাণে ইহা গ্রথিত আছে। মিলন যাহার সাহায্যে গড়ে তাহাই সুন্দর তাঁহাই বিশ্বমানবের কল্যাণকর । এই কল্যাণ যদি , শিল্প ও বিজ্ঞানের পাণ্ডাদের মুখ্য উদ্বেগু হয় তাহা হইলে এটি র্তাহাদের ভোলা উচিত নয় ; যে শিল্প ও যে বিজ্ঞানের সাধনায় ঐ কল্যাণ হয় শুধু তাহারই চর্চ। যদি পাওরা করেন তবেই স্বীকার করিব র্তার সন্তাধৰ্ম্মী। কিন্তু তাহ হইলে ভেদমূলক আইন বিজ্ঞান, অর্থ-শোষক অর্থনীতি ও ধন-বিজ্ঞান ও মৃত্যুমূলক যুদ্ধবিজ্ঞান কোথায় দাড়ায় । ইহাঙ্গের যে একমাত্র উদ্দেশু একদল মামুষের উচ্ছেদ করিয়া অভ্যন্ত এক দলকে সাময়িকভাবে বাড়ান। সাধারণের কল্যাণের সঙ্গে ইহাদের ত কোন যোগই দেখি না, তবু কেন এইসব তথাকথিত বিজ্ঞান এতটা প্রাধান্য লাভ করিয়াছে ? আজকাল দেখি শিল্প-ভোগে অশক্ত অথৰ্ব্বদের লালসার অবলম্বন অথবা হৃষ্ট-পুষ্ট নিষ্কৰ্ম্মাদের খেলা হইয়। দাড়াইয়াছে ; তবু এই শিল্প কেন এত লোককে টানিভেছে ? এ শিল্পের দ্বারা কোন কল্যাণ সাধিত হইতেছে ? কতকগুলা বিষয়ে খবরের সংখ্যা বাড়াইয়া গেলেই “জ্ঞান" মিলে না। জানিবার বস্তু এ জগতে অসংখ্য ; অনেকের চেয়ে বেশী জানিলেই জ্ঞানী হওয়া যায় না। কোন জিনিব কতটা মানব-কল্যাণের সহায়ক তাহাজের গুরুত্ব ও ক্রমানুসারে নিজের জ্ঞানের মধ্যে গ্রহণ করা ইহাই একমাত্র পন্থা।