পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] কষ্টিপাথর-পৃথিবীর জন্ম-কথা ©&☾ অত্যন্ত বৃহৎ বলিয়া সুর্যের তাপ বিশেষ হ্রাস হইতে পারে নাই বটে, কিন্তু অত্যন্ত ক্ষুদ্র হওয়ার চন্দ্র জমিয়া একেবারে কঠিন অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছে। এমন কি, উহার সমুদ্রও উমিয়া বরফ হইয়া গিয়াছে। ঐ বরফরাশির উপর সোঁয়-কিরণ প্রতিফলিত হয় বলিয়াই আমরা চন্দ্রকে দেখিতে পাই । চন্ত্রের কলঙ্ক —অনালোকিত পৰ্ব্বত-গহ্বর বা ছায়াময় প্রদেশ মাত্র বুঝিতে হইবে। এমন কি, চন্ত্রের বায়ুমণ্ডলেও বাষ্পরাশির চিহ্নমাত্র দেখা যায় না। কিন্তু বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি (Jupiter) এখনও এত উত্তপ্ত রহিয়াছে যে, উহার বায়ুমণ্ডলে জল ও বায়ুর মূল উপাদান দৃষ্ট হইয়া থাকে। আমাদের এই পৃথিবী চন্দ্র ও বৃহস্পতির মধ্যবৰ্ত্তী অবস্থায় উপনীত হইয়াছে। ইহার অগুস্তরভাগ এখনও অতান্ত উষ্ণ গ্যাস অবস্থায় আছে ; কিন্তু উপরিভাগ বা ভূপঞ্জর cেrust) নীরেট ও ঠাও। হইয়া গিয়াছে। জার ইহার বায়ুমণ্ডল ও জলরাশি (hydro-sphore) এই কঠিন আবরণের (litho-aphere) উপরে অবস্থান করিতেছে এবং এই কঠিন ভূপঞ্জরের নীচেই তরল পদার্থ অবস্থিত —বহুকাল যাবৎ এই মতটি প্রচলিত ছিল ; কেহ ইহার আপত্তি করেন নাই। কিন্তু আজকাল অনেক পণ্ডিত উক্ত মতবাদে সঙ্গিহীন হইয়া অন্ত মত প্রচার করিয়াছেন। (২) উষ্কাপিণ্ড-প্রকল্প : এই মতাবলম্বী পণ্ডিতগণ মনে করেন যে, সৌরজগতের সর্বত্র উল্কাপিও-কণা বিরাজমান। উহাদের পরস্পরের মধ্যে ঘাতপ্রতিঘাতের মাত্রী এত প্রচও যে আঘাতজনিত উত্তাপের প্রভাবে উহার গ্যাসে পরিণত হইয় থাকে। এইসকল উল্কাপিণ্ড ক্রমশ: একত্র হইয়। বতই অীকারে বড় হইতে থাকে, ততই উহাদের অপর উল্কাপিওকে আকর্ষণ করিবার শক্তি বৰ্দ্ধিত হয় । এইরূপ আকর্ষণের ফলে, ঐ পিও ক্রমাগত বড় হইয় পড়ে ও ঘাতপ্রতিঘাতের ফলস্বরূপ উত্তপ্ত হইয় উঠে। এইরূপে স্বৰ্য্য, পৃথিবী প্রভৃতি গ্ৰহগণের উৎপত্তি হইয়াছে। দীর্ঘকাল ধরিয়া তাপবিকিরণ করার ফলে, ক্ষুদ্রতর পৃথিবী অধুনা এই কঠিন অবস্থায় পেীড়িতে বাধা হঠয়াছে। ইহার উপরিভাগ অপেক্ষাকৃত শীতল হইলেও অভ্যস্তরভাগ এখনও অত্যন্ত্ব উষ্ণ । (৩) গ্রহ প্রকল্প :-এই প্রকল্প অনুসারে পৃথিবী প্রথমে শীতল ছিল, কিন্তু ক্রমশঃ ঈষদুষ্ণ হইয়াছে । এই মতাবলম্বী পণ্ডিতগণ মনে করেন যে, এই সৌরজগৎ নীহারিকা হইতে উৎপন্ন হইয়াছে। নীহারিকাপিণ্ডের মধ্যে গাঢ়তর স্থানের (knots) চতুষ্পার্শ্বে নীহারিককণাগুলি পুঞ্জীভূত হইয়াই গ্রহাদির স্বষ্টি করিয়াছে। স্তরে স্তরে নীহারিক স্থাপিত হওয়ায় আমাদের এই পৃথিবী ক্রমশঃ এতাদৃশ বৃহদাকার ধারণ করিতে পারিয়াছে। কিন্তু পৃথিবীর অত্যপ্তরে উত্তাপ আসিল কোখ হইতে ?— এই প্রশ্নের উত্তরে পণ্ডিতের বলেন যে, জাভাগুরাণ আকুঞ্চনের ফলে তাপ উৎপন্ন হইয়াছে। অার এই তাপ পৃথিবীর কেন্দ্রম্বল হইতে ক্রমশ: পরিধির দিকে বিবৃত । এইসকল পণ্ডিতেরা আরও বলেন যে, পৃথিবী যখন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাইতেছিল, তখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন দগধের ফলে কেন্দ্রদেশের উত্তাপ ভূপৃষ্ঠে আনীত হইয়াছিল। -1 বদি স্বীকার করা বায় যে, পৃথিবীর অভ্যগুরুভাগ অত্যন্ত উত্তপ্ত এবং উহা শীতল ভূপঞ্জর দ্বারা পরিবেষ্টিত, তাই হইলে ইহাও স্বীকার করিতে হয় যে, অভ্যন্তরভাগ হইতে ঐ উত্তাপ ধীরে ধীরে ভূপঞ্জরে সংক্ৰমিত হইতেছে এবং তথা হইতে উছা শুন্তে বিকীর্ণ হইতেছে। কাজেকাজেই সমস্ত পৃথিবীও ধীরে ধীরে ক্রমশ: আকারে ছোট হইয় পড়িতেছে। আর পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ আৰুঋaেফলে যত ছোট হইতেছে, অপেক্ষাকৃত শীতল বহির্ভাগ কিন্তু শুত আকুঞ্চিত হইতে পারিতেছে না । সুতরাং অধিকতর আকুঞ্চিত অভাগুরুভাগের উপরে থাকিতে গিয়া বৃহত্তর বছিভূপঞ্জর তুৰ ভূইয়। উচুনীচু হইতেছে। এই আকুঞ্চলই ভূগল্পরের উত্থানপতন ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের প্রেধান কারণ । আকুঞ্চন-প্রকল্প স্বীকার করিলে ভূ-পৃষ্ঠ যে ধীরে ধীরে বসিয়া যাইতেছে, এ-কথাও অংশু স্বীকার করিতে হয় । কিন্তু সকলেই জানেন যে, বৃষ্টির ফলে স্থলভাগের ধৌত মাটি নদীপথে, পরিশেষে সমুদ্রতলে আসিয়া নিয়ত সঞ্চিত হয়। তাহার ফলে সমুদ্রতল কগুপ ৰ কাষ্পীয়ান হ্রদের তলদেশের স্তায় ক্রমশঃ উচ্চ হইল্প উঠে। আর এই ধোয়াট মাটির অভাবে স্বলভাগের উপরি পৃষ্ঠ ক্ৰমাগত নীচু হইয়া যায়। সুতরাং স্বলভাগের ভার অপেক্ষাকৃত কম ও সমুদ্রতলের ভার পুর্বাপেক্ষ অধিক হইয় পড়ে। কাজেকাজেই ভূপৃষ্ঠের সাম্যভাব রক্ষার জঙ্গ সমুদ্রতল হইতে তীরন্থ স্থলভাগের দিকে একটা পার্শ্ব-চাপ (lateral thrust) প্রযুক্ত হয় । তাহার ফলে স্বলতাগের উপরে স্থানে স্থানে উপত্যকার স্বষ্টি ঘটে ; কোথাও কোথাও বা ভূপৃষ্ঠ তুবড়ই উঠে ও পৰ্ব্বতশ্রেণীর আবির্ভাৰ হয়। অধিকন্তু যে স্থানট বসিয়া যায়, তাহার চাপের ফলে পৃথিবীর অঙ্গ্যুস্তরন্থ উত্তপ্ত তরল প্রস্তররাশির মধ্যেও একটা প্রবাহ উৎপন্ন হয় এবং দুরবর্তী উৰ্দ্ধগামী স্থানের দিকে ও উহার তলদেশে আসির উপস্থিত হয় । এইজগুই সচরাচর উচ্চ পৰ্ব্বতের নিম্নদেশে আগ্নেয় প্রস্তুরন্তর (batholitic mass) দেখিতে পাওয়া বায় । এই প্রকল্প অনুসারে পর্বতের উৎপত্তি, আগ্নেয়গিরির অ্যুদগম, ভূমিকম্প প্রভৃতি নৈসর্গিক ঘটনার ব্যাখ্যা সহজবোধ্য হইলেও ইহার কয়েকটি দোষ দেখা যায় ; যথা ( ১ ) এই প্রবাহের বেগ বতই অল্প পরিসরের মধ্যে আবদ্ধ হউক ন কেন, উহা বৰ্ত্তমান পৰ্ব্বতশ্রেণীর উন্নয়নের (elevation) পক্ষে যথেষ্ট বলিয়া কখনই বিবেচিত হইতে পারে না। (২ ) এসির এবং ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে পুর্ব-পশ্চিমাভিমুখী পৰ্ব্বতশ্রেণী দৃষ্ট হইয় থাকে। অঞ্চত্রও বে পর্বতমালা না আছে, এমন নহে। এই আকুঞ্চন-প্রকল্পের সাহায্যে প্রশান্ত-মহাসাগরের অদুৰ্ববৰ্ত্তী পর্বতমালার উৎপত্তি সম্ভবপর হইলেও বহুদুৰ্বত্তী হিন্দুকুশ, ককেশল প্রভৃতি পৰ্ব্বতশ্রেণী: উস্তব সম্ভবপর বলিয়া মনে হয় না। (৩) এমন-কি. প্রশান্ত-মহাসাগরের তীরন্থ পৰ্ব্বতশ্রেণীরও আকার দেখিলে মনে হয় উছ৷ জলভাগের চাপের ফল নহে। এসিয়া ও অস্কাঙ্ক মহাদেশের ধনুকাকার পর্বতমালাকে দেখিলে মনে হয় যে, উহার ভূপঞ্জরের উণ্ট অর্থাৎ সমুদ্রাভিমুখী চাপের কল, স্থলাভিমুখী গতির ফল নছে । ফলতঃ এইসকল পর্বতমালার চক্রাকার (loop) ভাবকে সমুদ্র হইতে স্থলাভিমুখী ভূপঞ্জরের পাশ্বচাপের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা অত্যন্ত ध्रुझेई ॥ ( a ) এই মত অমুসারে কোন একস্থানে পৰ্ব্বতশ্রেণীর উৎপত্তি এবং কিছুকাল পরে উহার পরিহারেরও বাখ্যা করা অসম্ভব । ( ) পৃথিবীর তরুণ অবস্থায় যেমন ঘন ঘন আগ্নেয়গিরির ज,Jर्णय श्रेष्ठ, ७षन याब cमब्रन श्ब्र ना । रेशन का३१७ श्रादूकनপ্রকল্পের সাহায্যে ব্যাখ্য' করা যায় না | 驾 (৬) ফিরুপে দীর্ঘকাল পরে ভুগঞ্জর চালিত হইতে পারে, তাহাও 4ं भङि॥ लीश्ोग्धा गम्]ं शतङ्गलिष बब्र' नि न। (৭) রৌদ্র, বৃষ্টি ও ঝড়ের প্রভাবে অনেক উচ্চ পৰ্ব্বতও ক্ষয়প্রাপ্ত ছইয়া সমতলপ্রায় হইয়া পড়ে। ভারতের প্রাচীন আরাবল্পী, বিস্তু] ८छूछि भटि७णि ५३ कषांद्र मात्रा थज्ञान कब्रिtठts ! aइं★दल tछ অথচ ঢালু সমস্তলকে এায়-সমতল (pene-plain) বলে। ইহান্ধের উৎপত্তিও আকুঞ্চল-প্রকল্প দ্বারা ব্যাখ্যাত হইতে পারে ন! ।