পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(vවී8 প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৬৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ছিলেন। স্বন্দরীমোহন বোধ হয় তাহার নিকট হইতেই ব্রাহ্মমতে প্রথম দীক্ষালাভ করিয়াছিলেন। স্বন্দরীমোহন সীতানাথের এই ছাত্রসমাজের সভ্য হন। আমাদের ইস্কুলের আরও কতকগুলি বালক ও যুবক ইহঁদের সঙ্গে যোগদান করেন । এইরূপে একটা ছোট ব্রাহ্মসমাজ গড়িয়া উঠে। কিন্তু আমি ইহঁদের সঙ্গে যোগ দেই নাই। সীতানাথ এবং স্বন্দরীমোহন আমাদের ক্লাসে সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট ছাত্র ছিলেন । আমি কোনদিনই পড়াশুনাতে ভাল ছিলাম না। ইস্কুলে ইহারা যখন প্রথম ব। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করিয়া বসিতেন, আমি তখন অনেক দূরে ও নীচে পড়িয়া থাকিস্তাম। স্বতরাং ইহঁদের সঙ্গে কোনপ্রকারের ঘনিষ্ঠ সথ্যের যোগ ছিল না। মতামত লইয়া আমি তখনও মাথা ঘামাইতে আরম্ভ করি নাই। হিন্দু ধৰ্ম্ম সম্বন্ধ কোন প্রবল অবিশ্বাস তখনও জন্মে নাই। সুতরাং ধৰ্ম্মের মতবাদের দিক্ দিয়া সীতানাথ প্রভৃতির ব্রাহ্মসমাজ আমাকে টানিতে পারে নাই । হয়ত পারিভ, সহজ বাল্যবন্ধুত্বের আকর্ষণে। কিন্তু সে বঁ।ধনের তখনও স্বত্রপাত হয় নাই। সীতানাথ, সুন্দরীমোহন আমাকে ও আমার মত পড়ায় অপটু সমপাঠীদিগকে আমলেই আনিতেন না। র্তাহীদের এই শ্রেষ্ঠত্বভিমান তাহাদের ব্রহ্মসমাজের সঙ্গে আমার কোন প্রকারের সংস্রবে আসার ব্যাঘাত জন্মায় । অভিমান অভিমানকে জাগায় ; বিনয়কে জাগাইতে পারে না। পড়াশুনায় তাহাদের সঙ্গে আমি আঁটিয়া আসিতাম না ; সে আকাঙ্ক্ষাও ছিল না, সে চেষ্টাও করি মাই। কিন্তু র্তারা ইহার সঙ্গে যে আবার ধৰ্ম্মের শ্রেষ্ঠত জুড়িষা দিতে আরম্ভ ফরিলেন, ইহা সহ হইল না। সুতরাং যাহার ইহাদের উপাসনা-প্রভৃতিকে উপহাস করিত, আমি তাহাঁদের দলে ভিড়িয়া গেলাম। যেমন একদিকে কতকগুলি নূতন ইংরাজী-নবীশ কেশবচন্দ্রের প্রতি অত্যন্ত অনুরাগী হইয় পড়িয়াছিলেন, সেইরূপ আবার এক শ্রেণীর ইংরাজী-শিক্ষিত বাঙ্গালী কেশবচন্দ্রের বিরোধী এবং বিদ্বেষী হুইয়াও উঠিয়াছিলেন । ইহার শ্রীহট্টের ব্ৰাহ্মসমাজের খুব কুষ্টি কাটিতেন । ইহাদের মুখে রাহ্মসমাজের বিদ্রুপ এবং কুৎসা শুনিয়া আমি বেশ আনন্দ লাভ করিতাম ; এবং ব্রাহ্মসমাজের কথা উঠিলেই এসকল বিদ্রুপ ও কুৎসার আবৃত্তি করিয়া আত্মপ্রসাদ সম্ভোগ করিতাম। ইহার মূল কারণ ছিল আমার সহপাঠী ব্রাহ্ম বালকদিগের ধৰ্ম্মাভিমান। তবে আহারাদির আচারবিচারে যেমন কাৰ্য্যতঃ হিন্দুয়ানীর সমর্থন করিতাম না সেইরূপ ধৰ্ম্মের মতবাদ সম্বন্ধে৪ কোন দিন গোঁড়ামির পক্ষপাতী ছিলাম না। ব্রাহ্মসমাজের কথা বিশেষ তখনও জানি নাই। তবে প্রাচীন হিন্দুয়ানী ও নবীন ব্রাহ্মসমাজের মাঝখানে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ দাড়াইয়া আছেন, এ কথাটা ছাত্রাবস্থায় শ্রীহট্রে থাকিতেই শুনিয়াছিলাম। দেবেন্দ্রনাথের ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে কিছুই জান ছিল না। লোকমুখে কেবল এই মাত্র শুনিয়াছিলাম যে, তিনি আদিম বিশুদ্ধ হিন্দুধর্মের পুনরুস্কারের চেষ্টা করিতেছেন । কেশবচন্দ্র ও তাহার যুবক অকুচরেরা ধে-ভাবে ও ষে-পরিমাণে ইংরাজের অমুকরণে একটা নুতন ধৰ্ম্ম ও সমাজ গড়িয়া তুলিযার চেষ্টা করিতেছেন দেবেন্দ্রনাথ তাহার বিরোধী হইয়াছেন। এইজন্য আমার শ্রদ্ধা এবং সহানুভুতি দেবেন্দ্রনাথের দিকেই আকৃষ্ট হইয়াছিল। শ্রীহট্টের যুবক ব্রাহ্মদিগের সঙ্গে বাদ বিতণ্ডায় আমি গোড়া হিন্দুয়ানীর পক্ষ অবলম্বন না করিয়া মহর্ষির মধ্য পথের উল্লেখ করিয়াই কেশবচন্দ্রের নূতন ব্রহ্মসমাজের প্রতিপক্ষত কল্পিতাম । ইহাত ব্রাহ্মসমাজ সম্বন্ধে আমার তখনকার মনোভাব প্রকাশ পাইত। কেশবচন্দ্রের যুবক অঙ্গুচরদিগের ধৰ্ম্মাভিমানের উত্তাপই ইহারও মূলেও ছিল। Vද්ඝ কহিয়াছি যে, আমার বাল্যশিক্ষায় বাবা চাণক্যনীতি অবলম্বন করিয়া, চলিয়াছিলেন । এইজন্য আমার পঞ্চদশবর্ষ বয়ঃক্রম পৰ্য্যস্ত র্তাহার নিকটে সুস্থ অবস্থায় কথনও কঠোর শাসন ব্যতীত আর কিছু পাই নাই ! এই সময়ে কোনদিন আমার হাতে এক কপর্দক পৰ্য্যস্ত পড়ে নাই । কাগজ কলম বই খাতা যখন যাহা প্রযোজন হইত बांयां ऊांश वांछांद्र श्रङ ख्षांनाहेब्रां भिडन । य६८ब्र ४क জোড়া জুতা বরাদ্দ ছিল । কেবল এই জুতা কিনিবার