পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহত্তর ভারতঞ্জ শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যবদ্বীপ যাবার পূর্বাহ্নে যে অভিনন্দন আপনার আমাকে দিলেন তাতে আমার মনে বল সঞ্চার করবে। আমরা চারিদিকের দাবীর দ্বারা আমাদের প্রাণশক্তি আবিষ্কার করি । যার যা দেবার তা বাইরের নেবার ইচ্ছা থেকে আমরা দিতে সক্ষম হই । দাবীর আকর্ষণ যদি থাকে তবে আপনি সহঞ্জ হ’য়ে যায় দে গুয়ার পথ । বাইরে যেখানে দাবী সত্য হয়, অস্তরে সেখানেই দানের শক্তি উদ্বোধিত হ’য়ে ওঠে। দানের সামগ্রী আমাদের থাকৃলেও আমরা দিতে পারিনে সমাজে যতক্ষণ প্রত্যাশা ন সজীব হ’য়ে ওঠে । আজ একটা আকাঙ্ক্ষা আমাদের মধ্যে জেগেচে, যে-আকাঙ্ক্ষ। ভারতের বাইরেও ভারতকে বড়ো ক’রে সন্ধান করতে চায় । সেই আকাঙ্ক্ষাই বৃহত্তর ভারতের প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে রূপ গ্রহণ করেচে। সেই আকাজক্ষাই আপন প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে অভিনন্দন কবৃচে । এই প্রত্যাশ। আমার চেষ্টাকে সার্থক করুক। বৰ্ব্বর জাতীয় মানুষের প্রধান লক্ষণ এই ষে, তার আত্মবোধ সঙ্কীর্ণ সীমাবদ্ধ । তার চৈতন্তের আলো উপস্থিত কালে ও বর্তমান অবস্থার ঘেরটুকুকেই আলোকিত ক’রে রাখে ব’লে সে আপনাকে তার চেয়ে বড়ো ক্ষেত্রে জানে না । এইজন্যেই জ্ঞানে কৰ্ম্মে সে দুৰ্ব্বল । সংস্কৃত মোকে বলে, "যাদৃশী ভাবনা যন্ত সিদ্ধিৰ্ভবতি তাদৃশী।” অর্থাৎ ভাবনাই হচ্চে সাধনার স্বষ্টিশক্তির মূলে। নিজের সম্বন্ধে, নিজের দেশ সম্বন্ধে বড়ো ক'রে ভাবনা করবার দরকার আছে, নইলে কৰ্ম্মে জোর পৌছয় না, এরং অতিক্ষীণ আশা ও অতি ক্ষুদ্র সিদ্ধি নিয়ে অকৃতাৰ্থ হ’তে হয়। আপনার কাছে আপনার পরিচয়টাকে বড়ো করবার চেষ্টাই সভ্যজাতির ইতিহাসগত চেষ্টা। আপনার পরিচয়কে সঙ্কীর্ণ দেশকালের ভূমিকা থেকে মুক্তিদানই হচ্চে এই 583 লক্ষ্য ।

  • दुश्खङ्ग जांबछ गतििवा कईक अश्लेष्ठ विशांद्र-गरर्षनां ७गणरक्र ।

যখন বান্সক ছিলুম ঘরের কোণের বাতায়নে ব’লে দেশের প্রাকৃতিক রূপকে অতি ছোট পরিধির মধ্যেই দেখেছি । বাইবের দিক থেকে দেশের এমন কোনো মূৰ্ত্তি দেখিনি যার মধ্যে দেশের ব্যাপক আবির্ভাব আছে । বিদেশী বণিকের হাতে-গড়া কলকাতা সহরের মধ্যে ভারতের এমন কোনো পরিচয় পাওয়া ষায় না যা স্থগভীর ও স্থদুর-বিস্তৃত। সেই শিশুকালে কোণের মধ্যে অত্যন্ত বেশি অবরুদ্ধ ছিলাম ব’লেই ভারতবর্ষের বৃহৎ স্বরূপ চোখে দেখবার ইচ্ছা অত্যন্ত প্রবল হয়েছিল । এমন সময়ে আমার আট নয় বছর বয়সে গঙ্গাতীরের এক বাগানে কিছু কালের জন্তে বাস কবৃতে গিয়েছিলাম। গভীর আনন্দ পেলাম । গঙ্গানদী ভারতের একটি বৃহৎ পরিচয়কে বহন করে । ভারতের বহুদেশ বহুকাল ও বহুচিত্তের ঐক্যধারা তার স্রোভের মধ্যে বহমান । এই নদীর মধ্যে ভারতের একটি পরিচয়-বাণী আছে । হিমাদ্রির স্কন্ধ থেকে পূৰ্ব্ব সমুদ্র পর্য্যস্ত লম্বমান এই গঙ্গানদী সে যেন ভারতের যজ্ঞোপবীতের মতে, ভারতের বহুকালক্ৰমাগত জ্ঞান ধৰ্ম্ম তপস্তার স্মৃতিযোগ স্বত্র । তার পর আর কয়েক বৎসর পরেই পিতা আমাকে সঙ্গে ক’রে হিমালয় পৰ্ব্বতে নিয়ে ধান । আমার পিতাকে এই প্রথম নিকটে দেখেচি, আর হিমালয় পৰ্ব্বতকে । উভয়ের মধ্যেই ভাবের মিল ছিল । হিমালয়ে এমন একটি চিরন্তন রূপ, যা সমগ্র ভারতের ; যা একদিকে দুৰ্গম, আর একদিকে সৰ্ব্বজনীন। আমার পিতার মধ্যেও ভারতের সেই বিদ্যা চিন্তায় পূজায় কৰ্ম্মে প্রত্যহ প্রাণময় হয়ে দেখা যাচ্ছিল যা সৰ্ব্বকালীন, ষার মধ্যে প্রাদেশিকতার কার্পণ্যমাত্র নেই। তারপর অল্প বয়সে ভারতবর্ষের ইতিহাস পড়তে স্থঙ্ক করলাম। তখন আলেৰূজাম্বার থেকে আরম্ভ ক’রে ক্লাইভের