পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] চণ্ডীমণ্ডপ Qの。 চণ্ডীমণ্ডপের সম্মুখে আঙ্গিনায় সাষ্ট্রাঙ্গে প্ৰণিপাত করিয়া দাড়াইল এক বৃদ্ধ । “কে, সাধুচরণ ?” নিজের অপরাধের গুরুত্ব সে জানিত । কঁাপিতে কাপিতে কহিল, "আঙ্গে, বাবা ঠাকুর।” "ওরে বেট। হারামজাদ !”—শশাঙ্ক ঘোষাল হাকিলেন । "খড়ম পেট ক’রে তাড়াও ব্যাটাকে গা থেকে ! ধৰ্ম্ম নষ্ট করুলি”—ম্ভায়রত্ন মহাশয় নন্ত লইলেন। সাধুচরণ কঁাপিতে লাগিল । দেওয়ানজী ডাকিলেন, “রাঘব কোথায় হে ? কি করা যাবে এর এস দেখি শুনি ।” স্বৰ্গীয় মোহন-ঠাকুরের সন্তান রাঘব ঠাকুর। বছর ত্রিশেক বয়স। মাথায় বাবরী, বলিষ্ঠ সুপুষ্ট দেহ। কপালে সিম্মুরের ত্রিপুগু ; হাতে মোট বাশের লাঠি । গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ! বয়সে সকলের ছোট বলিয়া সকলের পশ্চাতে এক কোণে বসিয়া কলিকায় তামাক থাইতেছিলেন । সম্মুখে আসিয়া কহিলেন, “বিচার আপনার করুন, খুড়ে মশাই । আপনাদের যা মত হবে আমার ও—* “ত কি হয় ? দেওয়ানজী কহিলেন, মোহনঠাকুরের ছেলে তুমি বাবাজী ! বয়সে যাই হও মোহনপুরে তোমার কথাই আগে ।” রাঘব ঠাকুরের গম্ভীর তীব্র কণ্ঠে ধ্বনিত হইল, “সাধুচরণ " রাঘব ঠাকুরের দিকে ভয়ে সাধুচরণ চাহিতে পারিল না। চণ্ডীমণ্ডপের পৈঠায় মাথা রাখিয়া আৰ্ত্তনাদ করিয়া . কহিয়া উঠিল, "আর করব না, বাবাঠাকুর । এবারকার মত—” "cयकँ शांग्रांभबांनी ! प्रवांद्रकांद्र भङ ! cभांश्नপুরের জেলে তুই বেটা তোর পাঙ্গীতে মূগী রোধে খেল সাহেব ! মোহনপুরের মুখে কালী দিলি বুড়োকালে, शब्रांभजांना !” गाभूझब्र१ ब्रांघर *ांकूरब्रव्र गङ्म९ नउ cनरज नैफ़िांशेब्र ক্টাপিতে লাগিল মাত্র। স্বায়রত্ব মহাশয় নন্তদানী রাখিয়া খড়ম তুলিয়৷ লইলেন । সাধুচরণ জাৰ্ত্তনাদ করিয়া উঠিল, “প্রাচিত্তির করব, বাবাঠাকুর !” “প্রাচিত্তির । পয়সা পাবি কোথা রে ? কে কে ছিলি সে-পাঙ্গীতে ?” কঁাপিতে কঁাপিতে আরও পাঁচজন নত মস্তকে কম্পমান গলায় সাধুচরণের পশ্চাতে আসিয়া দাড়াইল। জগু, মানকে, বৈকুণ্ঠ, বিপিন আর খামাদাস ! “মুগা আর পেয়াজের গন্ধ বড় ভালো রে হতভাগার ! আবার তুলসীর মালা রেখেছিস্!” জগু, মাণিক, বিপিন প্রভৃতি সমস্বরে কহিল, "আর হবে না, বাবাঠাকুর ।” “আর যদি কখনও হয় তো, দেখছিস্ লাঠি, পাঞ্জর ভেঙ্গে দেব। গত বচ্ছর সনাতনের কথা মনে আছে তো ? য। সব ! এবার কালীপূজোর দিন পাচ মণ মাছ জোগাতে হবে তোদের ছ’ জনকে, দাম পাবিনি।” ছয়টি প্রাণী সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম করিয়া কৃতজ্ঞতা জানাইল । “তোদের পাড়াশুদ্ধ ছেলে-মেয়েকে এখানে পঠাবি সেদিন, ছুবেল প্রসাদ পাবে। যা বেটার । আজ রাতভোর কীৰ্ত্তন ক’রে কাল সকালে স্নান ক’রে আস্বি, একটু শান্তি দিয়ে দেব।” রাঘব ঠাকুর লাঠি কোলের উপর রাখিয়া আসন লইলেন । বৃন্দাবন বিশ্বাস আসিয়া দাড়াইল। অপরাধ গুরুতর। কায়স্থ পরিচয়ে পানীয় জল দিয়া সে এক সদ ব্রাহ্মণের ধৰ্ম্ম নষ্ট করিয়াছে, অভিযোগ। এইরূপ “পেরনাম হই”— বৃন্দাবন যুক্তকরে প্রণাম করিল। “কি রে, বেন্দা ? বামুন-কায়েতকে জল খাওয়াতে সাধ হয় তো কষ্টি নিলেই পারিস। এসব দুর্থতি কেন রে বেল্পিক !” রাঘব ঠাকুরের কথা শুনিয়া নত শিরে दूमारन मैंाफ़ॉड़ेब्रा ब्रह्लि, छवांय मिल नां । “বেটা ! অধাৰ্ম্মিক চণ্ডাল !” স্থায়রত্ন মহাশয় চীৎকার করিয়া খড়ম ছুড়িলেন। বঁ হাতে ললাটের রক্ত ধারা চাপিম্বা বৃন্ধাবন বসিয়া পড়িল। পর মুহূৰ্ত্তেই উঠিয়া খড়মখানিতে মাখা ঠেঙ্কাইয়া সসভ্রমে লেখানিকে চণ্ডীমণ্ডপের রোয়াৰে তুলিৰ দিল ।