পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t সংখ্যা । নাই, তখন কমিশন হইতে কোন স্বফলের আশা আমরা করি না, কুফলের আশঙ্কাই করি। এখন যেরূপ ব্যবস্থা অনুসারে ভারতবর্ষ শাসিত হইতেছে, তাহ প্রবর্তিত করিবার সময়ে ও তাহার পূৰ্ব্বে উক্ত হইয়াছিল, যে ভারতবর্ধকে আস্তে আস্তে যতটুকু যতটুকু করিয়া যখন যখন রেস্পক্ষির গবন্মেন্টের (দায়ী গবন্মেন্টের—কাহার কাছে দায়ী তাহা স্পষ্ট করিয়া বল। হয় নাই ) অভিমুখে অগ্রসর হইতে দেওয়া হইবে, তাহার পরিমাণ ও সময় নিৰ্দ্ধারণের অধিকার বিলাতী পালেমেণ্টের অর্থাৎ ইংরেজ জাতির থাকিবে । আমাদের ভাগানিয়ন্ত হইবার বিদেশীদের এই অধিকার এবং তাহার ন্যায়তা আমরা কোন কালেই স্বীকার করি নাই। কিন্তু স্বীকার না করিলেও তাছাদের দাবী অগ্রহ করিয়া স্বয়ং স্বাধীনতার দিকে কাৰ্য্যতঃ অগ্রসর হইবার ক্ষমতাও আমাদের নাই। স্বতরাং কমিশনের সব সভ্য ইংরেঙ্গ হইলেও আমরা নাচার, অধিকাংশ হইলেও নাচার । আমাদের কেবল মত প্রকাশের কিছু স্বাধীনতা আছে । সেই জন্য আবার বলিতেছি, আমাদের দেশের কাজ কি প্রণালী অনুসারে কাহাদের দ্বারা নিৰ্ব্বাহিত হইবে, তাহা স্থির করিবার স্বাভাবিক ও ন্যায্য অধিকার একমাত্র আমাদেরই আছে। গত ইউরোপীয় মহাযুদ্ধের সময় ইংরেজ ও তাহাদের মিত্ৰজাতির উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করিয়াছিল, ষে, পৃথিবীর জাতি সমূহের নিজনিজ মত ও অভিপ্রায় অনুসারে স্বস্বদেশীয় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা *fatg «fortz ( self-determination) ziftfÈS করা:ঐ মহাযুদ্ধের একটি প্রধান উদ্দেশু। যুদ্ধে জয়লাভ করিবার পর,তাহদের দ্বারা ঘোবিত ঐ উদ্বেগু ও অন্যান্য উদ্দেশ্যের কথা জেতারা আর বলে না ; তাহার যুদ্ধের ফলে যত জাতি, ভূখণ্ড ও অন্যান্য সম্পত্তির মালিক হইয়াছে, তাহাই হজম করিতে ব্যস্ত। ইংরেজরা বিপদের সময় ভারতীয়দিগকে কৌশলপূর্ণ দ্ব্যর্থ এ্যর্থপূর্ণ ভাষায়ও যে একটু আশা দিয়াছিল, সম্পদের সময় তাহ চাপা দিতে বিন্দুমাত্রও বিলম্ব হয় নাই, হইবে না। ভারতবর্ষে যদি বেশী চীৎকার হয়, তাহা হইলে অনির্দিষ্টসংখ্যক লোক বিন-বিচারে বন্দীকৃত নিশ্চয়ই হইবে। موالاحساس انه فة বিবিধ প্রসঙ্গ—ষ্ট্যাটু্যটর কমিশন ৭৬৫ একটা কথা উঠিয়াছিল, যে, কমিশনের সভ্যদের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হওয়া দরকার, স্বতরাং ভারতীয় কাহাকেও এবং ভারতবর্ষের সহিত সম্পর্কযুক্ত কোন ইংরেজকে উহার সভ্য করা উচিত নয়। ব্যবস্থা হইবে ভারতীয়দের ও তাঁহাদের দেশের সম্বন্ধে, কিন্তু সেবিষয়ে তাহারী কিছু বলিতে করিতে পাইবে না, ইহা চূড়ান্ত নিরপেক্ষতার আদর্শ, তাহাতে আর সন্দেহ কি ? কিন্তু বিলাতী ইংরেজরা নিরপেক্ষ, ইহা ততোধিক মিথ্যা ও হাস্যকর কথা। সম্পূর্ণ ন্যায়বান ইংরেজ কেহ নাই, এরূপ কথা বলিতে পারি না ; কেননা তাহা মিথ্যা হইবার সস্তাবনা । কিন্তু সাধারণতঃ ও জাতিহিসাবে ইহা সত্য, যে, ভারতবর্ষকে রাষ্ট্রনৈতিক ও শিল্পবাণিজ্যিক অধীনতায় ফেলিয়া রাখা ইংরেজদের সাংসারিক স্বার্থের অমুকুল ; স্বতরাং ইংরেজরা ভারতবর্ধকে আত্মশাসনের অধিকার না দিবার কারণ আবিষ্কার বা ওজর স্থষ্টি করিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করিবেই। তাহারা নিরপেক্ষ নহে, হইতে পারে না। এমন যদি কোন সভ্য জাতি থাকে, যাহারা ভারতবর্ষের রাষ্ট্রনৈতিক অধীনতাজীত শিল্পবাণিজ্যিক অক্ষমতার দরুন ভারতবর্ষে নিজেদের মাল রপ্তানী করিয়া প্রভূত লাভবান হয় না, এবং যাহদিগ কে ইংরেজ জাতি সাক্ষাৎ বা পরোক্ষভাবে লোভ ব{ ভয়ের বশবত্ত করিতে পরিবে না, তাহা হইলে তাহীদের মধ্য হইতে জ্ঞানবান্‌ষ্ঠায়পরায়ণ লোক আমরা নিৰ্ব্বাচিত করিলে নিরপেক্ষ লোক পাওয়া যাইতে পারে। আর একটা কথা উঠিয়াছে, যে, যে সব প্রদেশে এক জন করিয়া ডেপুটী গবর্ণর নিযুক্ত হইবেন । তিনি আইন ও শান্তিশৃঙ্খলা ( law and order ) রক্ষার কর্তা হইবেন, প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার নিকট তিনি জবাবদিহি হইবেন না, তাহার কোন কাজের আলোচনা প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার হইতে পরিবে না, প্রাদেশিক গবর্ণরের অধীন ন হইয়া তিনি সাক্ষাৎভাবে ভারতগবন্মেন্টের অধীন হইবেন। ইহার সোজা মানে এই, যে, প্রাদেশিক লোকেরা যত ইচ্ছা বলুন লিখুন, তাছাদের প্রতিনিধিরা কেন্সিলনামক বিতর্কসভায় যত ইচ্ছা বাগযুদ্ধ করুন, কিন্তু সকলকে শাসাইয়া আটকাইয়া ঠেঙাইয়া ছুরস্ত করিবার একজন লোক থাকিবে যে একেবারে