পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪


[ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড কোঃ য়া-ধানে কে বা দাইশির প্রথম আগমন কয়েকজন আশ্রমবাসী ভিক্ষুর সঙ্গে দেখা হ'ল। সিক্ত ও ক্লান্ত দেহে ধীরে ধীরে আমরা আশ্রমে প্রবেশ করলাম ও নির্দিষ্ট পান্থনিবাসে আশ্রয় নিলাম। তখন কোইয়ার মন্দিরে-মন্দিরে আরতির ঘণ্ট বাজছে। আশ্রমবাসী ভিক্ষুদের সমবেত হ’বার সময় হয়েছে। শাক্যমুনি ও কোইয় আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা কো-বে-দাইশির পূত স্মৃতিতে আশ্রমবাসী ভিক্ষুদের মুখ উদ্ভাসিত হ’য়ে উঠেছে-মন আনন্দে উছল হ’য়ে উঠেছে। তাদের আনন্দধ্বনির স্পর্শে আমাদেরও শান্তি যেন অনেকটা লঘু হ’য়ে এল। 尝 杀 米 来 কো-বো দাইশির কার্যকলাপ ভাল ক'রে বুঝতে গেলে জাপানে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠার গোড়ার খবর কিছু জানা দরকার, কারণ এই থেকেই জাপানে এক নূতন জাতীয় জীবনের গঠন আরম্ভ হয়-ও এক নূতন যুগের স্বচনা হয়। এই গঠনের মূলে হচ্ছেন এক রাজকুমার নাম শো-তোকু ( Sho-toku ) । তিনি নিজে কোনোদিন রাজপদ না পেলেও প্রায় ত্রিশবৎসর ধ'রে (৫৯৩-৬২২খুঃ অঃ) অপ্রাপ্তবয়স্ক সামাঞ্জীর প্রতিনিধি হ’য়ে শাসনকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করেছিলেন । শো-তোকু যখন জন্মগ্রহণ করেন (৫৭৩ খৃঃ অঃ) তখন জাপানে ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্রয়দলের ভিতর গণ্ডগোল চলছে। তাদের ভিতর যে দল মাথ উচু ক’রে উঠতে পারতে তার ক্ষমতাতেই রাজ্য পরিচালিত হ’ত । সম্রাটের ক্ষমত একপ্রকার ছিল না । শো-তোকু যখন রাজপ্রতিনিধিরূপে প্রতিষ্ঠিত হ’লেন তখন তার বয়স মাত্র বিশ বৎসর। স্থিরবুদ্ধির ব’লে তিনি নানা দলের হাত থেকে নিজেকে মুক্ত ক’রে শাসন-সংস্কারে মন দিলেন। প্রথমেই তার চোপে পড়ল জাতীয় একতার অভাব। এই একত, স্থাপন করতে হ'লে জাতের মনকে আগে তৈরী করা ও একটা সাধারণ আদর্শ সামনে দিয়ে সেই মনকে পল্লবিত করে তোলা দরকার। বৌদ্ধধৰ্ম্মই এ কাজে সবচেয়ে বড় সহায় হ’বে শো-তোকু সেটা বুঝতে পারলেন। জাপানে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারের চেষ্টা অনেকদিন থেকেই Ezifizzi i cos : si: faţăi Etfētsi (Sbiba Tachito) নামে একজন চীনা ভিক্ষু কেরিয়া হ’য়ে জাপানে আসেন। কোরিয়ার সঙ্গে জাপানের অনেকদিন থেকেই আদান প্রধান চলছিল। সেই স্থত্রেই শিব-তাচিতো জাপানে পদার্পণ *::I wisbol of joifesto (Yamato province) বৌদ্ধ মন্দির স্থাপনা করে শকাবুদ্ধের ধৰ্ম্মপ্রচার সুরু করেন । ইয়ামাতো জাপানীদের আদি বাসভূমিও তখন জনবহুল। তাচিতোর বহু চেষ্টায়ও বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিশেষ প্রসার হয়ন । জাপানীরা এই বিদেশী ধৰ্ম্মগ্রহণে তখন বিশেষ ঔৎসুক্য