পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

چي مb

  • - శా ۔_- ಡ# so দেখি --- न बन রাখিবেন কস্তাই একদিন পুরুষ ও নারীর জননী হইবে।

পিতামাত মনে করিবেন না যে, শিশু কেবল তাহদের জন্ত জন্মিয়াছে । সে বিশ্বপতির—দেশের, সমাজের, জাতির । তাহার উপর পৃথিবীর অনেক বিষয়ই নির্ভর করে। (মানসী ও মৰ্ম্মবাণী, বৈশাখ ১৩৩৪) মাহমুম্বাখাতুন ছিদিক ওমর খৈয়ামের জন্মভূমি খোরাসান-নিশাপুর পারস্তের ইতিহাসে খোরাসান ও তাহার রাজধানী নিশাপুর পারস্তের মধ্যযুগে ও পরেও দর্শন, সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্পকলা, বাণিজা,রাষ্ট্রনৈতিক ব্যাপারের জন্য সবিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। খোরাসান পারস্তের উত্তর-দক্ষিণ কোশে অবস্থিত । থোরাসানের উত্তর দিকে রাজধানী নিশাপুর। নিশাপুর পারস্তের মধ্যে অতি প্রাচীন সহর । ইহার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিশ্ববিপাশত । অসংখ্য কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, জ্যোতির্বিদ, চিকিৎসক ও বৈজ্ঞানিকের প্রতিভালোকে খোরাসান ও তাহার রাজধানী নিশাপুর আলোকিত হইয়াছিল । পারস্যের প্রথম ও দ্বিতীয় কবি পয়গম্বর যথাক্রমে ফার্দৌসী ও অানওরী, ফেদৌসী-সাহিতাগুরু কবি আসাদী, স্বীকবি ফরিদউদ্দিন আত্তর, কবি নিজামই আগিরী, কবি-সাহিত্যিক নিজামী আকুঞ্জি, কবি রাফি ই নিশাপুরী, জ্যোতির্বিদ হকিম-ইমওসিলি, কবি-জ্যোতর্বিদ ওমর খৈয়ম, দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কারক বৈজ্ঞানিক হাবান, সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক হাসান ঈশাক, দার্শনিক আবু ইমাম গাজ্জালি, চিকিৎসক মুহম্মদ দধিম, খাজাইমাম প্রভৃতি অসংখ্য মনীষী জন্মগ্রহণ করিয়া খোরাসান ও তাহার রাজধানী নিশাপুরকে চিরগৌরবান্বিত করিয়া “প্রতিভার সুতিকাগার” বাকোর সার্থকতা সম্পাদন করিয়া গিয়াছেন । নানাবিষয়িনী বিদ্যামুণীলনের কেন্দ্রস্থান রূপে যেমন নিশাপুর প্রসিদ্ধ ছিল, তেমনি শিল্প-বাণিজ্য-ক্ষেত্রে স্বপ্রসিদ্ধ ছিল। তুলা, পশম অপৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হইত। পশম-নিৰ্ম্মিত নয়নমনবিমোহন হুক্ষ্য বস্ত্র জগতের নানা দেশবাসীর মনোরঞ্জন করিতে সমর্থ হইয়াছিল। রাষ্ট্রনৈতিক জগতেও নিশাপুর যথেষ্ট প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিল। আরবীয় গণিতজ্যোতিষতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ সেলজুক বংশীয় রাজধানী নিশাপুরে আসিয়া উপনীত হওয়ায় নিশাপুর বিদ্যাপীঠরূপে পরিগণিত झु । ( বঁাশরী, আষাঢ় ১৩৪৪ ) শ্ৰীমুরেশচন্দ্র নন্দী পুরুষসিংহমূ রাজা মরিলেন। কিন্তু মরিবার পূর্বে রাজকুমারের হাতে সাতটি মহলের সাতটি চাবিকাঠি দিয়া গেলেন। আদেশ রহিল এই যে, ছয়টি মহল খুলিয়া যাহা কিছু দেখিবে, যাহা কিছু পাইবে, সকলই তোমার। কিন্তু সপ্তম মহলের প্রাস্তুদেশে যে ছোট কুঠরীট আছে তাহা কদাপি খুলিও না। রাজকুমার কাহারও নিষেধ না শুনিয়া একদিন সপ্তম কুঠরীর প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ AASAASAASAASAASAASAAASJJAAASA SSASAS SS SAAAASAASAASSAAAAAASAAAA [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড AMMAAeeSAAAA কুলুপে চাবি পরাইলেন। বহুদিনের পুরাতন দ্বার সশব্দে খুলিয়। গেল । রাজকুমার তন্ময় হইলেন । এ কি স্বল্পমাত্র ? কখনো না ! এই ত সেই । সেই কে ? চিরদিন যাহাকে চাহিয়াছি । কেমন করিয়া পাওয়া যায় ? খুজিয়া বাহির করিব। স্বর্গে, মৰ্ত্তে, পাতালে যেখানে যে-অবস্থাতেই থাকুক, উহাকে চাই-ই চাই । রাজকুমার বাহির হইলেন। রাজকুমার কষ্ঠীর সন্ধানে বাহির হইলেন। রাজকুমার মতই অগ্রসর হইতে লাগিলেন, তাহার সঞ্চিত গতির বেগে সমস্ত বাধা-বিপত্তি ততই ভাঙ্গিয়া ভাঙ্গিয়া পড়িতে লাগিল । তারপরে পাতাল ভেদ করিয়া মায়াপুরীর সন্ধান, কক্ষের পর কক্ষ অতিক্ৰম করিয়া পালঙ্কের উপর সেই স্বযুপ্ত কস্তার দর্শনলাভ । কিন্তু কন্যাকে একেবারে আয়ত্ত করিতে হইলে রাক্ষদের কবল হইতে তাহাকে উদ্ধার করিতে হয় । বাংলার যৌবন আজ ঐ সপ্তম কুঠরীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়াছে। সে আজ সমস্ত কণার মধ্যে শুধু এই কথাটাই ভুলিয়াছে যে, জীবনের অপর সকল কামনার স্থায় রমণীও সাধনীর বস্তু। বয়স হইলেই তাহাকে অনায়াসে ভিক্ষা পার্ক্সবার জন্মগত অভ্যাস রছিয়াছে বলিয়াই তাহাকে নুতন করিয়া চাহিবার যে বিপুল সাধনা তাহার সত্যমূৰ্ত্তি বাংলার যৌবনের চিত্ততলে যথার্থ রূপ-পরিগ্রহ করিতে পারে নাই। তাই প্রচুর অশ্রুপাতকেই ব্যথার শ্রেষ্ঠ পরিচয় এবং পুরুষ ও নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষাকেই মধুফু-জন্মের পরম গতি স্থির করিয়া অবিরত যে-চিত্র অঙ্কিত করিয়া চলিয়াছে, তাহা আনভাস্তের তিলকধারণের স্তায় তাহার নিজের কপালকেও বিড়ম্বিত করিয়া তোলে, অপরের চক্ষের সম্মুখেও কোনও স্বপ্নের স্বষ্টি করিতে পারে না। নিবীৰ্য্য, অস্থিতলক্ষা, সঙ্কল্পবিহীনের জীবনে যদি কামালাভ না ঘটে তাহার একমাত্র পরিণতি দাড়ায় “ভবিতব্য"-কে স্বীকার করিয়া লওয়ায় অথবা যক্ষ্মা, আত্মঘাত প্রভৃতির সাহায্যে মৃত্যুর মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করায় । মাঝে মাঝে মণি ভাগ্য দৈবাৎ প্রসন্ন হন, কিম্বা নায়িক কোনরূপে নায়কের ভাগে আপনি ফলিয়া উঠেন তবেষ্ট যা শেষরক্ষা ঘটে। নতুবা বিধিপ্রহসিত বিরহের নিরাভরণ দেহকে যথাসাধ্য অলঙ্কার দ্বারা মনোজ্ঞ করিয়া তুলিবার জন্য তাম্বার প্রতিটি অঙ্গ প্রচুর পরিমাণে দীর্ঘ-নিশ্বাস, অশ্রুবারি, যৌন-আকুতি, মৰ্ম্মব্যথা প্রভৃতি দ্বারা খচিত করিতে হয় । পুরুষ ও নারীর মিলনাকাঙ্ক যে চিরন্তন, ইহা ধ্রুবসত। এই মিলন-প্রয়াসের বিচিত্র ব্যথার ইতিহাসই জগতের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য । কিন্তু সে কোন ব্যথা ? কস্তার পটলিখা দেখিয়া মুগ্ধ রাজকুমার যদি সেই ঘরেরই আঙিনায় বসিয়া বসিয়া স্বপ্নের পর স্বল্পমালা গাশিয়া চলিতেন অথবা উদ্বুদ্রাস্তের স্থায় পটখানি বুকে চাপিয়া যথায় তথায় ভ্রমণ করিতে করিতে জীবনের অবশিষ্ট কয়টা দিন কাটাইয়া দিতেন, তবে যে-ব্যথা প্রকাশ পাইত তাহা আধুনিক বাংলা সাহিত্যের খোরাক জোগাইতে পরিলেও রাজকুমারের ভাগে কষ্ঠালাভ ঘটাইতে পারিত না । কস্যার চিত্রদর্শন অবধি তাহাকে পাইবার অদম্য বাসনাকে হৃদয়ে ধারণ করিয়া বিশ্বভুবনে তাহাকে খুজিতে খুজিতে আশা ও নৈরাষ্ঠের যে অবিরত স্বস্ব ; সোনালি, রূপালি, সবুজে, সুনীলে আশ্চর্যা, মনোহর, নির্বাক মায়ারাজ্যে কন্যাকে পাইয়াও না-পাওয়ার যে দুঃখ ; এবং শেষরাক্ষসের প্রাগপার্থীটিকে বধ করা পর্য্যন্ত বহুতর সংগ্রামের মধ্যে আনন্দ-সংশয়ের তীব্রদোলার যে ব্যথা ; এক কথায় রাজকুমারের কণ্ঠালাভ-সাধনার অন্তরে যে বিপুল বেদন নিহিত আছে তাহণই ব্যথার যথার্থ পরিচয় ।