পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] সম্পাদকের চিঠি bo) বিভাগের লোকেরা দু একটা প্যাটরা খুলাইয়া দেখিয়াছিল । এই সামান্ত ব্যাপারের এত বড় বর্ণনা লেখা সঙ্গত নয় ; কিন্তু আমার চিঠিগুলা প্রবন্ধ নয়, এবং আমার তুচ্ছ অভিজ্ঞতা হইতে অন্তে সাবধান হষ্টতে পরিবেন, ইহাই আমার কৈফিয়ৎ । এবার আমি প্যারিসে দু'রাত্রি ও একদিন ছিলাম। ইহার মধ্যে দুটি মহারাষ্ট্রীয় ছাত্র খবরের কাগজের পক্ষ হইতে আমার সহিত দেখা করিতে আসিয়াছিলেন । গণিতের ছাত্র টেণ্ডুলকর আসিয়াছিলেন, বোম্বাইয়ের ইণ্ডিয়ান ডেলী মেলের পক্ষ হইতে লীগ অব নেশন্স সম্বন্ধে আমার মতামত জানিবার জন্ত । কিন্তু আমি তখনও জেনীভ। যাই নাই ; স্ন তরাং সে-বিষয়ে বিশেব কোন কথা হয় নাই । সাধারণ রকমের কিছু কথাবাৰ্ত্তা হইয়াছিল । দ্বিতীয় যুবকটির নাম ধাবালে। ইনি প্যারিসে আয়ুৰ্ব্বেদ সম্বন্ধে গবেষণা করেন । ইনি বলিলেন, তথাকার বিখ্যাত দৈনিক কাগজ ল্য মাতিন { Le Matin ) তাহাকে ভারতবর্ষের তাৎকালিক রাজনৈতিক অবস্থা সম্বন্ধে আমার মতামত জানিতে পাঠ। ইয়াছেন। আমি তখন এক মাসের উপর দেশছাড়া,দেশী কাগজ হইতে টাট কী খবর জানিয়া কোন একটা মত গঠন ও প্রকাশ করিবার সুযোগ পাই নাই ; সুতরাং এই ছোকরাটির সঙ্গে ও সাধারণ কথাবার্তা হাড়। আর কিছু হইল না । কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে অঁাত্রে কাপেলেস্ নাম্নী একটি ফরাসী মহিলা কিছুদিন শান্তিনিকেতনে ছিলেন। তখন তাহার বিবাহ হয় নাই । পরে হগ ম্যান নামক এক মুসড ভদ্রলোককে বিবাহ করিয়াছেন । তিনি চিত্রশিল্পী । তাহার অ্যাক রবীন্দ্রনাথের একটি তৈলচিত্র বিশ্বভারতীর গ্রন্থাগায়ে আছে । তাহার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎপরিচয় না থাকিলেও সাহিত্যিক প্রয়োজনে তিনি কথন কথন আমাকে চিঠি লিখিতেন। শাস্তিনিকেতনে থাকিবার সময় আমার জ্যেষ্ঠ। কস্তার সহিত র্তাহার পরিচয় হয়। আমি যখন প্রথম বার প্যারিস যাই, তখন তাহার সহিত দেখা কয়িখার ইচ্ছা ছিল ; শুনিয়াছিলাম ঠাই রিও আমার সহিত দেখা করিবার ইচ্ছা ছিল। S X কিন্তু সেবার দেখা হয় নাই। এবার প্যারিসের উপকণ্ঠে বোলোনে তাহার ও র্তাহার স্বামীর বাড়ী গিয়াছিলাম । আমি বিদেশী বলিয়া তাহার। আমার হোটেলে আসিয়া আমাকে লইয়া যান। অনেক মাইল পথ অতিক্রম করিয়া তবে তাহাঁদের বাড়ী পৌছিতে হয়। প্যারিসের সীমায় পৌঁছিয়া একটা চুঙ্গী ঘরের কাছে আমাদের ট্যাক্সি থামিল ? অা ে হাসিয়া আমাকে বলিলেন, “আমরা ফরাসীরা অনেক বিষয়ে খুব অগ্রসর, কিন্তু কোন কোন বিষয়ে মধ্যযুগে আছি । ট্যাক্সি-চালক যে নিজের প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেট্রল লইয়। যাইতেছে না, তাহ চুঙ্গীর কৰ্ম্মচারীকে বুঝাইবার জন্য গাড়ী থামাইয়াছে।” বোন্তোন যাইবার পখ বেশ স্বন্দর । রাস্তায় ধূলা নাই। দুধারে গাছের সারি । কতকট। রাস্তা অরণ্যের পাশ দিয়া গিয়াছে। অাস্ত্রে বলিলেন, “অতীত যুগে এখানে নেকড়ে বাঘ ও ভালুক থাকিত । এখন কোন হিংস্র জন্তু সেখানে থাকে না, কিন্তু বড় বড় গাছ গা ঘেসাধে সি করিয়া থাকায় বনভূমি মুন্দর দেখাইতেছে।” অ ! দ্রে ও তা হার স্বামী উভয়েই ভারতপ্রেমিক ও রবীন্দ্রনাথের খুব ভক্ত । র্তাহীদের বাড়ীটির নাম রাথিয়াছেন “চিত্ৰা” । বাড়ীটি ছোট, সুন্দর, ও কতকটা প্রাচ্য ধরণের আসবাবে সজ্জিত । শান্তিনিকেতনের নিকটস্থ সাওতাল পল্লী হইতে ক্রীত একটি দড়ি-ছাওয়া কাঠের মোড়া সযত্বে রক্ষিত দেখিলাম । অীদ্রের চিত্রাঙ্কণ কক্ষে তাহার নিজের অ কি অনেকগুলি ছবি রহিয়াছে । সঙ্গীতাচার্ধ্য শ্ৰীযুক্ত দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিটি বেশ হইয়াছে মনে হইল । রবীন্দ্রনাথের ছোট একখানি ছবিও মৰ্ম্ম নহে । পেছন দিকে হাতদু'টি রাখিয়া ও সামনে ঝুঁকিয় তিনি যেমন চলেন, সেই ভঙ্গীতে অণকা হইয়াছে । তিনি সচরাচর যেমন ইটেন, ভঙ্গী কিন্তু তাহার অপেক্ষা কছু ত্রুত মনে হয় । জীন্দ্রে ও র্তাহার স্বামী বলিলেন, “আমরা মডার্ণ রিভিউ কাগঞ্জখানির প্রত্যেক সংখ্যায় নিয়মিত পাঠক ।” তাহার স্বামী शणिालन, “द्धेश चांभां८मद्र टेकनिक श्रब्रछठा । येॉरब ७ আর কোন কাগজই প্রায় পড়েন না ; উহার বিজ্ঞাপন পৰ্য্যস্ত পড়েন। প্রবাসী পড়িতে পারেন না বলিঙ্কা উীয়