বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i > S. প্রবাসী । iAASAASAASAASAASAAeSeAAASAASAASAASAAASهمه مه-حیه و همه چیهیهه ۰یچی -A SASAASAASAASAASAASAAeAAASAASAASAASAASAAASهی কিছু ভিন্ন। এরূপ মতভেদ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু মতভেদ থাকতে কিছু আসিয়া যায় না । তিনি রাজবংশসস্থত ও বিদূষী হইয়া স্বজাতির সেবায় ও উন্নতিকল্পে নিজের ধন, বিদ্যা ও শক্তি সমুদয় উৎসর্গ করিয়াছিলেন, এই জন্ত তাহীর আত্মোৎসর্গ পূজনীয় ও অনুকরণযোগ্য। ময়মনসিংহ জেলার জামালপুরে যাহা ঘটিয়াছে, সকলেই সংবাদপত্রে তাহার বিষয় পড়িয়ছেন । আমাদের হৃদয় এই ঘটনায় সাতিশয় বিষদভারাক্রাস্ত হইয়াছে। হায় ! কবে আমাদের দেশে প্রকৃত জ্ঞানালোক বিকীর্ণ হইবে ? কবে সকলে দেশের ও জাতির মঙ্গল বুঝিবে ? কবে "ধৰ্ম্ম-” বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা দূর হইবে ? যে সকল বদমায়েস এই পৈশাচিক কাণ্ড করিতেছে, তাহদের উত্তেজনার কারণ কি ? কে তাহদের মন্ত্রণাদাত, কে তাহদের উত্তেজক ? এই কাণ্ডের জন্ত সমুদয় মুসলমান সমাজকে দায়ী করা যায় না। তঁহাদের মধ্যে অনেক শিক্ষিত, সাধুচরিত্র, স্বদেশপ্রেমিক লোক আছেন। স্বদেশী আন্দোলন এবং বিদেশীবর্জনকে ইহার কারণ বলা যাইতে পারে না । কারণ সমুদয় বঙ্গে, বিশেষতঃ পূৰ্ব্ববঙ্গে হিন্দু ঠাতি অপেক্ষ মুসলমান তাতির সংখ্যা অনেক বেশী । সুতরাং স্বদেশী আন্দোলনে তাঙ্গাদের অধিক লাভ । যে জামালপুরে অরাজকতা ঘটিয়াছে, সেখানেই হিন্দু তাতির ংখ্যা (১৯০১ সালের সেন্সস অনুসারে) ৩৫৫, এবং মুসলমান তাতির সংখ্যা ১১১০ ৷ বিদেশীবর্জনের জন্ত হিন্দু মুসলমান উভয় শ্রেণীর বিলাতী জিনিষবিক্রেতাদের ক্ষতি হইবার কথা । সুতরাং কেবল মুসলমানদেরই উত্তেজিত হইবার কোন কারণ নাই। কারণ এমন কথা কেহই বলেন নাই, এবং এমন চেষ্টাও কেহ করেন নাই, যে কেবল মুসলমান দোকানদারদের দোকানে বিলাতী জিনিষের বিক্রয়ই বন্ধ হউক ও হিন্দুর দোকানের বিলাতী জিনিষ বিক্ৰী হইতে থাকুক। পূৰ্ব্ববঙ্গে মুসলমান সংখ্যায় অধিক। সুতরাং হিন্দু কর্তৃক তথায় মুসলমানের উৎপীড়ন বিশ্বাসযোগ্য নহে । বিদেশী জিনিষ বিক্ৰী বন্ধ করিবার জন্ত যদি কোথাও দোকানদারদের উপর জুলুম হইয়া থাকে, তাহা অদ্যায় হইয়াছে, এবং তাহ বন্ধ করা উচিত ; কিন্তু জুলুম হইয়া থাকিলে হিন্দু মুসলমান উভয়েরই উপর হইয়াছে। তবে মুসলমানের অধিক উত্তজনাপরায়ণ বলিয় যদি ধরা যায়, তাহা হইলে ইহা কতকটা দাঙ্গা হাঙ্গামাৰু কারণ হইতেও পারে । কিন্তু এরূপ দোকানদার কয়জনই বা আছে, যে তাহদের জন্ত একটা দেশব্যাপী অশান্তিব্ধ আবির্ভাব হইবে ? তা ছাড়া বিদেশীবর্জনের আন্দোলন ত পশ্চিমবঙ্গেও হইতেছে। সেখানে ত হিন্দু মুসলমানের বিবাদ হইতেছে না । তা ছাড়া, ভারতবাসী ইংরাজদের ংবাদপত্রে এই বলিয়া বিদ্রুপ বরাবর করা হইতেছে যে বিদেশীবর্জন পণ্ডশ্রম মাত্র ; ও চেষ্টা ব্যর্থ, নিষ্ফল হইয়াছে । আবার কিন্তু ঐ কাগজগুলাই বলিতেছে যে বিদেশীবৰ্জ্জন আন্দোলনে মুসলমান দোকানদারদের ক্ষতি হওয়ায় তাহারা ক্ষেপিয়াছে। কিন্তু যদি বিদেশীবর্জন চেষ্টা ব্যর্থ হইয়া থাকে, তাহ হইলে ক্ষতি কেমন করিয়া হইল ? সত্যবাদী শ্বেতসম্পাদকগণ বলুন, তাহাদের কোন কথাটা সত্য। পশ্চিমবঙ্গে ও পূর্ববঙ্গে কয়েকটি বিষয়ে প্রভেদ আছে ; আমাদের বিবেচনায় এই প্রভেদ গুলিই দাঙ্গ হাঙ্গামার কারণ। পশ্চিমবঙ্গ অপেক্ষ পূৰ্ব্ববঙ্গে স্বদেশী ও বিদেশবর্জন খুব বেশ জীবন্ত ভাবে চলিতেছে। বঙ্গের দ্বিখণ্ডীকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনও তথায় অধিকতর প্রবল। গবর্ণমেণ্ট ফুলার সাহেবের আমলে নিজের তরফ হইতে অত্যাচার উৎপীড়ন করিয়া পূৰ্ব্ববঙ্গকে জব্দ করিতে পারেন নাই । তাই এখন ভেদনীতি অবলম্বন করিয়া হিন্দু মুসলমানে ঝগড় বাধাইতেছেন। গবর্ণমেণ্টের প্রজ্জ্বলিত আগুনে ঘি ঢালিবার ও বাতাস দিবার জন্ত পূর্ববঙ্গে নবাব সলিমুল্লা প্রভৃতি ধনী মুসলমান আছেন । পশ্চিমবঙ্গে এরূপ ধনী দেশশত্রু মুসলমান কেহ নাই । এই সকল দাঙ্গা হাঙ্গামায় অনেকে আহত এবং দু একজন হতও হইয়াছেন। অনেকের সর্বস্ব লুষ্ঠিত হইয়াছে। এ সকলই দুঃথের বিষয়। কিন্তু এ সকলই বরং সহ হইতে পারে। কিন্তু নারীগণের উপর অত্যাচার সহ হয় না। যে দেশে যাহার দ্বারাই এরূপ অত্যাচার হউক না কেন, শুনিলেও শরীরের রক্ত ফুটিতে থাকে। ইহার প্রতীকার সৰ্ব্বাগ্রে হওয়া উচিত । কিন্তু কলম দিয়া কাগজে আঁচড় কাটিয়া কি ফল ? বাঙ্গালী হিন্দুধৰ্ম্মের বড়াই ও নারীর সতীত্বের বড়াই করে, কিন্তু ধৰ্ম্মের ও নারীর সম্মান রক্ষার্থ