বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»१० র্তাহার পরিচয় হয় । কিন্তু সে ক্ষেত্রে কোন কাজ হয় নাই। পরে মহারাজার তৎকালীন খাসমন্ত্রী রাও সন্সারচন্দ্র সেন বাহাদুরের সাহায্যে তিনি মহারাজা মাধো সিংহের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তাঙ্গার প্রতিকৃতি অঙ্কিত করেন। ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে প্রয়াগে বামাপদ বাবুর পিতার পরলোক প্রাপ্তি হয়। বামাপদ বাবু আরও কিছুকাল এলাহাবাদে থাকিয় এবং পশ্চিমাঞ্চলের আরও কয়েক স্থান ঘুরিয়া কলিকাতায় গিয়া বাস করেন । কলিকাতার স্বগীয় বিদ্যাসাগর মহাশয়, মাননীয় জজ সার রমেশচন্দ্র মিত্র, মিরর সম্পাদক মাননীয় নরেন্দ্রনাথ সেন মহাশয়, রায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাহাদুর, স্বৰ্গীয় মিঃ মনোমোহন ঘোষ এবং মহারাজা সার যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর প্রমুখ অনেক কৃতবিদ্য বাঙ্গালীর,—দ্বারবঙ্গের স্বর্গীয় মহারাজা লক্ষ্মীশ্বর সিংহ বাহাদুর, মুর্শিদাবাদ নসীপুরের মাননীয় রাজা রণজিৎ সিংহ বাহাদুর প্রমুখ রাজা ও ভূম্যধিকারীর এবং এডভোকেট জেনারেল মাননীয় উডরফ, কলিকাতার কপোরেসনের সভাপতি লী সাহেব, সাহাবাদের ডিষ্ট্রীকৃ ও সেসন জজ গুডেয়ার ডে সাহেব, হাইকোর্টের রেজিষ্টার মিঃ বেলচেম্বাস প্রমুখ কয়েক জন যুরোপীয়ের প্রতিকৃতি অঙ্কিত করেন । কয়েকবৎসর পরে রাজা রবিবৰ্ম্মার অঙ্কিত চিত্রাদি দেখিয়া তাহার পূৰ্ব্ব কল্পনা অর্থাৎ পৌরাণিক চিত্র প্রকাশের ইচ্ছা নবীভূত হইয়া উঠে। ১৮৯০ অব্দে তিনি তাহার চিত্রিত “অৰ্জুন ও উৰ্ব্বশী” এবং “উত্তরার নিকট অভিমনুরি বিদায়” নামক দুষ্টখানি চিত্র ছাপাইবার জন্য যুরোপে পাঠান। কলিকাতার জনৈক উদার হৃদয় এবং ধৰ্ম্মপ্রাণ ব্যক্তি এবিষয়ে তাহাকে অর্থ সাহায্য করিয়াছিলেন। প্রবাসীতে ঐ দুইখানি ছবিই প্রকাশিত হইয়াছিল। অবশ্য এই দুখানি পৌরাণিক চিত্র হইতে বামপদ বাবুর চিত্রাঙ্কণ প্রতিভার বিচার করিলে ভ্রমে পতিত হইতে হইবে। এসম্বন্ধে তিনি নিজেই বলিয়াছেন “ ছবিগুলির ছাপা যদিও মন্দ হয় নাই তথাচ মূল ছবির ন্তায় তত ভাল হয় নাই এবং ছাপান ছবিতে কএকটা দোষ স্পষ্টই দৃষ্ট হয় কিন্তু তাহার কোন উপায় নাই—অনেক চেষ্টা করিয়াও সংশোধন করাইতে পারি নাই; এদিকে সংশোধন করাইবার জন্ত কিছু বেশী খরচ করিতে হইয়াছিল”। তাহার পৌরাণিক চিত্রের স্তায় প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ । বঙ্গীয় গার্হস্থ জীবনের কয়েকট আদর্শ দৃশু, হাস্তোদীপক দৃপ্ত এবং উৎকৃষ্ট বাংলা উপন্যাস ও কাব্যনাটকাদি হইতে কতকগুলি দৃপ্ত অঙ্কিত করিবার ইচ্ছা আছে। উপযুক্ত অর্থসাহায্য এবং উৎসাহ পাইলে উক্ত বাসনা তিনি কার্য্যে পরিণত করিতে পারেন। ১৮৭৯ অব্দের যে মুকুমার শিল্প প্রদর্শনীতে তিনি সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট তৈলচিত্রের জন্ত স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, ১৯০২ অব্দের পুনরায় সেই প্রদর্শনীতে তিনি বর্তমান সম্রাটের প্রতিকৃতি, “কৃষ্ণনগরের উপকণ্ঠে জলওীতে সুৰ্য্যাস্ত” এবং মুর্শিদাবাদের নিকটবৰ্ত্তী স্থানে “আসন্নঝড়’ এর দৃপ্ত প্রেরণ করেন। প্রদর্শনীতে রক্ষিত বহু চিত্রকরের অসংখ্য চিত্রের মধ্যে বামাপদ বাবুর চিত্রই সকলের চিত্ত সমধিক আকর্ষণ করিতে সমর্থ হয় । এবং দশকবৃন্দের ভূরি ভূরি প্রশংসাবাদ ও প্রদর্শনীসভাদত্ত স্বর্ণ পদক তাহার পরিশ্রম সার্থক করে । Daily News." এতদুপলক্ষে লেখেন

  • * Mr. B. P. Banerjee, the artist who carried
  • “The Indian

in the Fine Art Exhibition, Calcutta, and who has painted the 1sortraits of some Rulers of India, had a The centre piece of the stall contained an exceptionally away the gold medal of the leading . Chicss and beautiful collcction of oil paintings ou view. fine portrait in oils of the King-Emperor in full Court robes, worn at the opening of Parliament, a likeness which is strikingly correct. This was copied from a cabinet photo and does the artist every credit. There were two other pictures exhibited by the same gentleman, which are deserving of special mention. They are Sunset at Jalanghee near Krishnagar, and “Approaching Storm”—a scene depicted near Murshida-' bad.” ঐজ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। PEASANT GIRLS. By JULES BRE'ron. How beautiful and powerful, and yet how simple and true to common life, are these two peasant girls by Jules Breton ! One luas stopped, enchanted, on her way out to work in the sunrise, to listen to the song of the soaring lark; and the other, having finished her day's gleaning, is returning, with swinging step, to

  • The lndian Daily News, 13th March 1992.