বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] 登 ছে অলকে তার। পশুপাল সব গৃহে ফিরে গেল পথে উড়াইয়া ধূলি, জানাইল আগমন ধরায় সন্ধ্যার । গোধূলির মান আরো ধীরে নিভে গেল। বিমল গগনে শোভে চন্দ্রকর হাসি । নলিনীর উদ্যানেতে ফুল রাশি রাশি হাসিয়া ফুটিয়া আছে, সমীর নীরবে চোরের মতন ধীরে চুরি করে যায় মধুর সুবাস তার। সেই সন্ধ্যাবেল নলিনীর পিতা বসি গৃহেতে আপন, চাহিয়া প্রদীপ পানে। অগ্নিশিখা যেন মূদ্র সমীরের ভরে উঠিছে কঁপিয়া, কখনো প্রাচীরে ছায়া কখনো মিলায় । বৃদ্ধ চেয়ে আত্মহারা, সহসা বিস্তৃত আনন্দ উল্লাসে গায় মুখের সঙ্গীত । কত অতীতের কথা, সেই বৃদ্ধ বুকে হল প্রভাসিত । যেন তার বাল্যকাল এসেছে সন্মুখে, এমনি মুখের দিনে মুখের শৈশবে কাটে জননীর অঙ্কে কি মুথ তখন ? নলিনী বসিয়া আছে জনকের পাশে, বিস্মিত চাহিয়া আছে সহসা শুনিয়া সেই জনকের কণ্ঠে আবেগ উল্লাস ভরা মরহীন গান। গান সাঙ্গ হল । নীরবে বসিয়া দোহে সহসা শুনিল দূরে পদশা করি। সন্মুখে খুলিয়া গেল গৃহের হুয়ার। বৃদ্ধ জানে আসিয়াছে শৈশবের প্রিয় বন্ধু স্বমস্ত তাহার। নলিনী জানিল তার সাথে আগমন প্রেম দেবতার। “প্রিয় ৰন্ধু এস এস”, কহে বীরবল, “তোমার বিহনে শূন্ত আসন তোমার, এস কহি পূৰ্ব্ব কথা।” নলিনী তখন সাদরে আনিয়া দিল মিষ্টান্ন যতনে। মুমুক্ত বিষাদে কহে “মুখী বীরবল, কখনো তোমার মন দুঃখ ছায়া এসে করেন মলিন, তুমি শুধু কৌতুকেতে হালি খেলা লয়ে, হরবে কাটাও দিন । জান নাকি আমাদের,র্মিল আকাশে পড়েছে মেঘের ছায়া ? কে জানে তেমন হবে না মোদের ভাগ্য অন্ধকারময় ? গুন নাই সিন্ধু তটে রাজার তরণী ASAeMASAeSASAeSAASAASAA २ॐ१ • 鱼 SSAMAMMeeeeeMMMAMSAMMMMeAMMMeMMASASAeMAeeeS আসিয়াছে ? কেন যে এসেছে এই গ্রামে জানেনাক কেহ । এই আজ্ঞা প্রচারিল কল্য ধৰ্ম্ম মন্দিরেতে গ্রামবাসী জনে যাইতে হইবে । গ্রামবাসী মনে হয় কত যে সন্দেহ, জাগে কত শত ভয় ।” কহে নলিনীর পিতা “কিছু নয় ভাই, মিত্র ভাবে আসিয়াছে রাজার তরণী ; বুঝি রাজ্যে শস্ত নাই, ফলেনি মুফল, সে হেতু এসেছে তারা।” “গ্রামবাসী জন বলে না তা”, কহে পুঃন ব্যাকুলিত হয়ে মুমন্ত বালক সম । অজানা বিষাদে পরিপূর্ণ হিয়া তার, “জান না কি ভাই, কত গ্রামে কত শত সরল বিশ্বাসী গ্রামবাসী জনে রাজা দিল নিৰ্ব্বাসন, এ গ্রামের বহু লোক চলে গেছে ভয়ে নিবিড় গহন বনে। সভয়ে কম্পিত হৃদি, কত লোক ভাই আছে অপেক্ষায়, কি জানি কি ঘটিবেক অদৃষ্ট তাদের বিনা মেঘে বুঝি কাল হবে বজ্ৰাঘাত। বুঝি অস্ত্ররাশি সব লইবে ছিনিয়া কে জানিছে রাজ আজ্ঞা ।”

  • নিরাপদ মোরা” হাসিয়া কহিল সেই কৌতুকী কৃষক। “নাহি অস্ত্র, নাহি যন্ত্র, মোরা অস্ত্রহীন, নাহি আমাদের তবে কোনই বিপদ । কেন বন্ধু ভাবিতেছ বিষাদ ভাবনা ? আজি নিশাকালে কোন বিষাদ তিমির আসিতে দিব না এই গৃহের দুয়ারে। জান না কি সারাদিন কত পরিশ্রমে নুতন করিয়া পুনঃ রচেছি যতনে শয্যাগার বর্ষতরে, এস দুই জনে . আমাদের সস্তানের আনন্দের তরে রহিব আননে।” সন্মুখের বাতায়নে বিমল নলিনী দোহে ; নলিনী শুনিল পিতার হরফ বার্তা, সরমে চঞ্চল ইইল আরক্ত তার কপোলযুগল। কৃষকের শেষ কথা হয়নি বিলীন, হেন কালে খুলি দ্বার করিল প্রবেশ বৃদ্ধ গ্রাম্য পুরোহিত প্রধান সবার।

[ ক্রমশ ] শ্ৰীসরোজকুমারী দেৰী।