বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧b م۔....---..:گ ......۰۰،۰ অস্ত সময়েও গুটি উৎপন্ন হইতে পারে, কিন্তু অধিক গরম বা অধিক শীতের সময়ের ফসল প্রায়ই ভাল হয় না। যখন ৪ বা ৮ বার ফসল উৎপাদনের চেষ্টা করা হয়, তখন কোন বারের ফসলই ভাল হয় না । খারাপ ফসল আট বার পাওয়া অপেক্ষ দুই বারের ভাল ফসল স্পৃহনীয় হওয়া উচিত। মাছির আক্রমণের জন্ত বৎসরে আটটা ফসল পাওয়৷ ছুক্ষর ; ব্যবসায়ীরা একটা ফসল লইয়। পরবত্তী ফসল বাদ দেয় এবং সেই সময়ের মধ্যে দূরবর্তী কোন স্থান হইতে বীজ সংগ্ৰহ করিয়া পুনরায় কোষ উৎপন্ন করে ; এইরূপে বৎসরে ৩৪ টির বেশি ফসল পাওর যায় না । গুটি তৈয়ার হইয় গেলে চন্দ্ৰকী হইতে তৃতীয় দিষসে সংগৃহীত হয় এবং সত্বর বিক্রয়ের সস্তাবনা থাকিলে বিক্রয় করিয়া ফেলা হয়, নতুবা তসর কীট সম্বন্ধে বলিবার সময় কোষস্থ কীট মারিয়া ফেলিবার যে উপায় বর্ণিত হইয়াছে সেইরূপ উপায়ে গরম বাম্পের ভাপ দিয়া কাঁটগুলিকে কোষমধ্যে মারিয়া ফেলা হয়। কিংবা গরম ফুটন্ত জলের ইড়ির মুখে ঝুড়িতে করিয়া কোষ রাখিয়া উপরে কম্বল ঢাকা দিয়াও মারা হয়। অতি গ্রীষ্মের সময় ২/৩ দিনের প্রচণ্ড স্বয্যতাপও তাতাদের মৃত্যুর পক্ষে गएशळे झग्न । তুত গাছের গুটির সূতা বাহির করা । বর্ষাকাল ব্যতীত অপর সকল কালে সুতা বাহির করিবার পূর্বে গুটিগুলিতে আর একবার বাম্পের ভাপ দিয়া লওঃ আবস্তক । এই প্রক্রিয়ার পর কোষগুলিকে রৌদ্রে না দিয়া ঘরের মধ্যে মাচনের উপর ছড়াইয়া শুকাইতে দিতে হয়, এবং যত শীঘ্র সস্তত্ব ( ৩৪ দিনের বেশি বিলম্ব না হয় ) সেগুলি হইতে স্থত ছাড়াইয়া লইতে হইবে। বর্ষাকালে বাতাসে প্রচুর জলবাষ্প থাকে, তাহাতেই কাজ হয়। কিন্তু বর্ষাকালের গুটি হইতে স্থত। শীঘ্ৰ খুলিতে চাহে না ; তাহাতে ছেড়া আঁশ জোড় দিয়া রেশমের সুত চিকণ ও সৰ্ব্বত্র সমস্থল হয় না। বাষ্পম্বেদ প্রাপ্ত কোষগুলিকে গরম জলের টবে ফেলিয়া নাড়িতে হয় এবং রেশম খুলিতে থাকে ও তাহ লাটাইয়ে জড়াইয়া তুলিতে হয়। একটা গুটি শেষ হইলেই অঙ্ক আর একটা পূর্বের্বর খেইয়েয় সঙ্গে জড়াইয়৷ লইয়৷ ক্ৰমাগত জড়ান চলে। দক্ষলোক ভাল রেশম করিবার জন্ত একদিনে ৪ কাচন এবং চলনসই খtংর রেশম করিতে হইলে ১• কাহন গুটিয় স্থত খুলিয়া লইতে পারে। রেশমের অtশ । রেশমের আঁশের মত এত লম্ব, এত দৃঢ়, এত সর, এত কোমল, এত মন্থণ, এত সুন্দর আর কোন আঁশ নহে। তুলার লম্বী আঁশ ১৮• ইঞ্চি, পাটের লম্বী আঁশ ১২১৩ ফুট, কিন্তু তসরগুটির আঁশ অবিচ্ছেদে ৮•• গজ এবং গরদগুটির আশ ৯• • গজ পর্যন্ত হইতে দেখা যায়। রেশম সমপরিমাণ সকল আঁশ অপেক্ষা লঘু। ইহা এত সূক্ষ্ম বে তসরকোষের বেল তিনটা স্থত এবং গরদকোষের বেল ৪৷৫ টা স্থত একত্র না করিলে গুটান সুবিধা হয় না ( রদিও রেশম এত শক্ত বে একটা জড়াইলেও ছিড়িয় ঘাইথার কোন জাশঙ্কা থাকে না ) । স্বাগতম রেশমী মসলিন বা হাওয়ার চাদর ওৈয়ারি করিতেই ৪৫ থেই সুত৷ একত্র ব্যবহৃত হয়। রোম সাম্রাজ্যের পূর্ণপ্র গবের সময় ‘কোয়ান ভেষ্ট’ নামক অঙ্গাবরণী (?) এক খেই রেশমে বয়ন হইত। এক ধেই রেশমের আঁশের মধ্যে দুই থেই সুতা স্বাভাবিকভাবে জড়িত থাকে, গুটি বাধিবার সময় দুই থেই সুত কীটের মুখ হইতে নিৰ্গত হইয়া এক প্রকার আঠাল রসের দ্বারা জড়িত হইয় এক হইয়া যায়। সেই রসোগার দুইটা ঝিল্প অনেক সময় কীট শরীর হইতে লইয়া সিরকায় ভিজাইয়৷ ছিপে বড়সি প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ । বধিতে ব্যবহৃত হয় , উহার মত হালকা, শক্ত, নমনীয় পদার্থ দ্বিতীয় নাই । .” সকল কোষের আঁশ সমান মূল্যের নহে। কাহারে এক সেরের মূল্য ১• টাকা কাহারে বা ৩০ টাকাও হইতে পারে, দেশী খংর বা ঘংরু রেশমের মূল্য সেরপ্রতি ১.১২ টাকা মাত্র। যুরোপীয় কারখানাজাত রেশম ১৬১৭ টাকা পর্যন্ত হয়। ফরাশী জাপানী, ইটালীয় রেশম ৩• টাকা সের বিক্রয় হয় । এই মূল্য তারতম্যের কারণ কোম্বের অবস্থার উপরও যেমন নির্ভর করে, প্রস্তুতপ্রণালীর উপরও তেমনি । দেশী কারখানায় দিনে ৯ ছটাক রেশম তৈয়ারি হয়, য়ুরোপীয় কারখানায় মোটে ৩৫ ছটাক । অতএব দেখা যাইতেছে যুরোপীয়ের উৎকর্যের প্রতি এবং দেশীয়ের পরিমাণের প্রতি লক্ষ্য রাখে। আর কয়েকটি কারণ আছে- (১) য়ুরোপীয় কারখানায় সকল স্বত্র সমানসংখ্যক ( ৪৫ টার বেশী নহে) তাঁশে তৈয়ারি হয় ; দেশী কারখানায় সংখ্যার স্থিরত থাকে না, হাতের কাছে যতগুলা থেষ্ট আসে ধরিয়া পাকান হয়, কখন কখন ২০ টা পৰ্য্যন্ত এৰুত্র লওয়৷ হয়। (২) যেখানে থেই ছিড়িয়া যায় যুরোপীয় কারখানায় গ্রন্থি দিয়া সংযোগ করা হয়, (দেশীয়গণ বোধ হয় পাক দিয়া জোড় দিয়া থাকে)। কিন্তু ভারতে ১২ টাকা মুল্যের রেশমের কাটতি অধিক ; ২•।৩০ টাকার রেশম বিক্রয় হওয়া দুষ্কর । অতএব আমাদের প্রচলিত প্রথা পরিবর্তনের বর্তমানে কোন অবিখ্যকতা নাই। বাংলা হইতে প্রতি বৎসর বেনারস, লাহোর, অমৃতসর, কারাচি, নাগপুর, বোম্বাই প্রভৃতি স্থানে কোটি টাকার রেশম রপ্তানি হয় । এযং ৫ - লক্ষ টাকা মুল্যের ভাল দরের রেশম য়ুরোপ আমেরিকায় চালান হয় । ভারতের য়ুরোপীয় কারখানার সযত্নপ্রস্থত রেশমও বিদেশী রেশমের সমকক্ষ নহে কেন, প্রশ্ন হইতে পারে। ইহার একমাত্র কীরণ দেশী কেমের অপকৃষ্টত । তন্মধ্যে যাংলার কোষ সৰ্ব্বাপেক্ষ অপকৃষ্ট । বাংল কোষের আঁশ ২• •।২৫ • গুজ, কিও বম্বিক্স মরির আঁশ ৮• • গজ লম্বী । অতএব দেখা যাইতেছে একটা বম্বিক্স মরি চাপ্লিট বাংলা গুটির সমান । চরিট বাংলা গুটির স্বতীয় চারযার জোড় থাকিবে, কিন্তু বশ্বিক্স মরির প্রতিটায় ৪টা করিয়া গ্রন্থি অল্প হইবে । মহীশূর, মাগ্রাজের কোষ যtংলার গুটি অপেক্ষ এই বিষয়ে কিঞ্চিং ভাল, তাহীর আঁশ ৩• • গজ श्नः । বম্বিক্স মরি কোষের চাষ প্রবর্তন । কাশ্মীর ও আসামে ইহার চাষ আরম্ভ হইয়াছে। বাংলায় ইহার পরীক্ষা করিয়াও সন্তোষজনক ফল পাওয়া গিয়াছে। কিন্তু ইহার চাষের প্রধান অন্তরায় বাজরক্ষ, ইহার অতি শৈত্য নহিলে এবং একটু গরম বাতাস লাগিলে বাচে না। খুব যত্ন করিলে ভারতের সর্বত্র শীতকালে ইহায় চাষ চলিতে পারে। কিন্তু বীজের রক্ষার জন্য কাশ্মীর ডালহৌসী প্রভৃতি কয়েকটি স্থান (যেখানে গ্রীষ্মকালেও খুব শীত, অথচ বায়ু মণ্ডল শুষ্ক থাকে) উপযোগী। ইহাদিগকে Pebrine (বাংলা নাম কাট) ব্যাধি হইতে মুক্ত রাখিবার জন্য মধ্যে মধ্যে অণুবীক্ষণ সাহায্যে পরীক্ষা কয়৷ আবখ্যক হয়। যদি কাশ্মীরের সহিত ভারতের সকল প্রদেশের রেল সংযোগ হইয়৷ বায়, তাহা হইলে কাশ্মীর ভাওরে হইয়া সকলকে বীজ দিয়া সাহায্য করিতে পারে ; এবং অন্যত্র ইহার একটা ফসল পাইলেও যথেষ্ট লাভ, একসের রেশম ৩০ টাকা । রেশম কীটের র্যাধি । ইহার চাষের প্রধান অস্তুরায় কীট সকলের ম্যাধিপ্রবণতা। একটজেট