পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৬৯

খাটের নিকটে এক খানা চৌকি আনিয়া বলিল, মেম সাহেব, আপনি ইহাতে বসুন। হায়২! যে মাতাল ও দুষ্ট যুবপুরুষের বিষয় আমি ফুলমণির নিকটে শুনিয়াছিলাম, সেই মধুকে এখন মৃতপ্রায় দেখিতে পাইলাম। সেই দিবস প্রত্যূষে তাহার ভয়ানক উলাউঠা রোগ হইয়াছিল, আমি তাহাকে দেখিবা মাত্র জানিতে পারিলাম, তাহার বাঁচিবার কোন ভরসা নাই। পরে আমি বুড়িকে জিজ্ঞাসিলাম, তোমরা উহারে কি ঔষধ দিয়াছ? সে উত্তর করিল, মেম সাহেব, অনেক প্রকার ঔষধ দিয়াছি, যে যাহা বলিয়াছিল তাহা সকলই দিয়াছি। আমি বলিলাম, এ বড় অনুচিত কর্ম্ম করিয়াছ, কারণ এক ঔষধ অন্য ঔষধের গুণ নষ্ট করে, তাহা কি তুমি জান না?

 কবিরাজ বুড়ির নিকটে চারি টাকা লইয়া মধুকে এক পান ঔষধ দিয়া দাবাতে তামাক্ খাইতেছিল, সে আমার কথা শুনিয়া ভিতরে আসিয়া বলিতে লাগিল, মেম সাহেব, আপনি যথার্থ কহিলেন। আমি ইহাদিগকে পূর্ব্বেই বলিয়াছিলাম, তিন চারি প্রকার ঔষধ একেবারে খাওয়াইও না, কিন্তু ইহারা আমার কথা মানিল না। মেম সাহেব, বাঙ্গালি স্ত্রীলোকদিগের