পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVOS - 1 শিক্ষা-প্রচার-কাৰ্য্যের সাধু উদ্দেশ্য লইয়া মহাত্মা ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয় মেট্রোপলিট্যান কলেজ প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছিলেন,ঠিক সেইরূপ সাধু উদ্দেশ্য-প্ৰণোদিত হইয়াই অশ্বিনীকুমার বরিশালে ব্ৰজমোহন কলেজের প্ৰতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৭৷৷১৮ বৎসরকাল বিনাবেতনে উক্ত কলেজের অধ্যাপকতা করিয়াছিলেন এবং এই কলেজের জন্য নূনকল্পে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন । একাদিক্ৰমে বিশ বৎসরকাল ব্ৰজমোহন কলেজের কাজ বেশ নির্বিবক্সেই চলিল। বড় বড় উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারী পৰ্য্যন্ত একবাক্যে বলিতে লাগিলেন যে, ব্ৰজমোহন কলেজে ছাত্ৰগণের চরিত্র যেরূপ গঠিত হয়, সেরূপ আর বঙ্গদেশের কোথাও হয় না। কিন্তু বঙ্গভঙ্গ হুইবার পর সরকারী কৰ্ম্মচারীদের সে মতিগতির পরিবর্তন হইল। যে কলেজের ছাত্ৰগণ একসময়ে সরকারের নিকট আদর্শস্থানীয় ছিল, আজ তাহারা মস্ত বড় রাজদ্রোহীতে পরিণত হইল। সে ১৯০৫ সালের কথা। স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার তখন পূর্ববঙ্গের ছোট লাট । তিনি স্থির করিলেন, বরিশালে বিদেশী পণ্য-বর্জনের এই ষে তুমুল আন্দোলন হইতেছে, এ সমস্তের উৎস ব্ৰজমোহন কলেজ । তখন কর্তৃপক্ষ কলেজের ছাত্ৰগণকে নানাপ্রকারে নিৰ্য্যাতন করিবার প্রয়াস করিতে লাগিলেন। ব্ৰজমোহন কলেজের ছাত্ৰ শ্ৰীদেবপ্রসাদ ঘোষ প্ৰবেশিকা ও এফ-এ পরীক্ষায় প্ৰথম স্থান অধিকার করিলেও বৃত্তিলাভ করিতে পারিলেন না, শ্ৰীমধুসুদন সরকারও প্রবেশিকা পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াও বৃত্তি পাইলেন না। ব্ৰজমোহন কলেজের ছাত্রদের পক্ষে সরকারী কাৰ্য্যক্ষেত্রে প্রবেশের পথ রুদ্ধ হইল, তাহাদিগকে আর সরকারী চাকুরীতে গ্ৰহণ করা হইল না। শুধু ইহাই নাহ, কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্ৰবশুন্য ( Disaffiliate ) করিবার জন্যও ফুলারী গভর্ণমেণ্ট প্ৰাণপণ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু তখন কলিকাতা