পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব । SS অতঃপর রাজা বিম্বিসারের আমন্ত্রণে বুদ্ধদেব মগধের অন্তঃপাতী রাজগৃহে গেলেন। রাজা বিম্বিসার যখন দেখিলেন, ‘কাশ্যপ” পৰ্য্যন্ত বুদ্ধদেবের মতবাদ গ্ৰহণ করিয়া তাহার শিষ্য হইয়াছে, তখন তিনিও তাহার শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিলেন। রাজগৃহের সীতাবনে অবস্থানকালে শ্রাবন্তীর সুদত্ত নামে এক বণিক তাহার শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করে। এইভাবে বহু লোককে আপনি ধৰ্ম্মে দীক্ষা দান করিতে করিতে এবং ভিক্ষা করিতে করিতে বুদ্ধ অতঃপর কপিলাবস্তুর রাজপ্রাসাদে ভিক্ষা করিতে আসেন। যশোধরা ইহা দেখিয়া স্বামীর পথাবলম্বিনী হন। শ্ৰাবন্তীর কতকগুলি বণিক ঝড়-তুফানের জন্য বিপথে চালিত হইয়। সিংহলদ্বীপে গিয়া উপস্থিত হন । সিংহল-রাজকন্যা রত্নাবলী তাহদের মুখে গৌতম বুদ্ধের কথা শুনিয়া সেই বণিকদের দ্বারা একখানি চিঠি বুদ্ধদেবকে প্রেরণ করেন। বুদ্ধদেব সেই চিঠি পাইয়া এবং বৌদ্ধধৰ্ম্মগ্রহণের জন্য রত্নাবলীর প্রবল আগ্রহ দেখিয়া আপনার একখানি প্ৰতিকৃতি সেই বণিকদের দ্বারা সিংহলে রত্নাবলীর নিকট পাঠাইয়া দেন এবং তাহার উপর, “উঠ, জাগ, নূতন জীবন আরম্ভ কর',” এই কথা লিখিয়া দেন। বিম্বিসারের পুত্ৰ অজাতশত্রুও বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়া ছিলেন। কপিলাবস্তুর আনন্দ, প্ৰজাপতির পুত্ৰ, দেবদত্ত, উপালি, অনুরুদ্ধ প্ৰভৃতি অনেকেই বুদ্ধের শরণ লইয়াছিল। বুদ্ধদেব যে সময় কপিলাবস্তুতে উপস্থিত হন, তখন রাহুলের বয়স মাত্র ৭ বৎসর। যশোধরা রাহুলকে তখন ডাকিয়া বলিলেন, “ঐ যে লোকটি প্রাসাদের নিকট খাদ্য চাহিতেছে দেখিতেছ, ঐ লোকটি হইল তোমার পিতা”। মাহুল তাহ শুনিয়া পিতার নিকট গেল এবং ‘বাবা” বলিয়া ডাক দিল । পিতার মৃত্যুকালে বুদ্ধ পিতার শয্যার পার্শ্বে আসিয়া বসিয়াছিলেন। প্রথমে প্ৰজাপতি প্ৰথম ভিক্ষুণী হন। বুদ্ধের সঙ্ঘের ৫ শতের অধিক ভিক্ষুণী হইয়াছিল। বুদ্ধ জগৎকে যে শিক্ষা দিয়াছিলেন, তাহার সার মৰ্ম্ম এই :-