পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীযুত পূৰ্ণচন্দ্র ঘোষ। &V করিলেও ক্লাসে অঙ্কশাস্ত্ৰ শিখাইতেন, ইহাও কম কৃতিত্বের কথা নহে। বঁকিপুরে অবস্থানকালে তিনি “ল”-লেকচার শেষ করেন। পূৰ্ণচন্দ্ৰ ১৯০১ সালে বি-এল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু মার্চ মাস হইতে বি-এল পড়া শেষ পৰ্য্যন্ত তিনি ক্ৰমাগত জারে ভুগিতে থাকেন। ১৯০২ সালে আগষ্ট মাসে তিনি ওকালতী আরম্ভ করেন। তার পর হইতে র্তাহার সংসারে কতকগুলি শোকাবহ ঘটনা ঘটে। ১৯০৫ সালের সেপ্টেম্বর সাসে মধ্যম ভ্ৰাতা ৬/ক্ষিতীশচন্দ্রের গয়াতে কলেরা হয় এবং “সেই কাল ব্যাধির আক্রমণে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। ক্ষিতীশচন্দ্রকে পূৰ্ণচন্দ্ৰ প্ৰাণাপেক্ষা ভালবাসিতেন। ক্ষিতীশচন্দ্র যখন দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র তখন হইতে পূৰ্ণচন্দ্ৰ তাহাকে নিজের নিকট রাখিয়া পড়াশুনা করাইয়াছিলেন। ক্ষিতীশচন্দ্ৰ মৃত্যুর পূর্বে বি-এ পরীক্ষা দিবার জন্য প্ৰস্তুত হইতেছিলেন, কিন্তু করাল কালের আহবানে তাহার আশা আর পূর্ণ হয় নাই। মৃত্যুকালে ক্ষিতীশচন্দ্র একটি নয় মাসের কন্যা রাখিয়া যান। ঐ কন্যাটির বিবাহ মহাসমারোহে পাইকপাড়ার কুমার পরে রাজা মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ সিংহের সহিত হয়। মধ্যবিত্ত গৃহস্থের পক্ষে পাইকপাড়ার ন্যায় বনিয়াদী বংশে কন্যা দান করিতে গেলে যেরূপ খরচপত্র ও গহনা-পত্রের প্রয়োজন পূৰ্ণচন্দ্র ভ্রাতুষ্পপুত্রীর বিবাহে তাহার বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম করেন নাই। ১৯০৬ সালের মার্চ মাসে পূর্ণচন্দ্রের পিতৃবিয়োগ হয়। একে অকালে ভ্ৰাতৃবিয়োগ, তদুপরি পিতৃবিয়োগ- এই সমস্ত নানা শোক-দুঃখে পূৰ্ণচন্দ্ৰ ১৯০৫ সালের সেপ্টেম্বর হইতে ১৯০৬ সালের মার্চ পৰ্য্যন্ত কাজকৰ্ম্মে বিশেষ মনোযোগ দিতে পারেন নাই । পিতৃবিয়োগের পর সংসারের গুরুভার আপনার স্কন্ধে ন্যস্ত হওয়ায় পূৰ্ণচন্দ্ৰ পুনরায় ওকালতী ব্যবসায়ে মনোযোগ প্ৰদান করেন । কিন্তু ১৯০৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বসন্ত রোগে তাহার প্রথমা পত্নী স্বৰ্গারোহণ করেন, ইহাতে পূৰ্ণচন্দ্ৰ হৃদয়ে যে