পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাকার মুন্সী বংশ সম্রাট আকবরের শাসনকালে যখন পাঠান বংশের শেষ রাজা দাউদ খাকে সিংহাসনচ্যুত করা হইতেছিল, তখন পূৰ্ব্বদিকে বিষ্ণুপুর হইতে চন্দ্ৰদ্বীপ, দক্ষিণে কোচবিহার হইতে হিজলীর উত্তরাংশ দ্বাদশ ভূমিয়ার আক্রমণে অত্যন্ত বিধ্বস্ত হইয়া পড়িয়াছিল। এই ভূমিয়ার পরম্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে সংগ্ৰাম করিতেছিল। দাউদ খায়ের পরাজয়ের পর একাদশ জন ভূমিয়া দ্বাদশ ভূমিয়ার নিকট বশ্যতা স্বীকার করে। এই দ্বাদশ ভূমিয়া আর কেহ নহে, যশোহরের মহারাজা প্রতাপাদিত্য। এই ভূমিয়াদের অধিকাংশ কায়স্থ ছিলেন। ইহঁরা বিজেতা প্রতাপাদিত্যের নিকট হইতে রাজ্য রক্ষা করিতে পারেন না । মহারাজা প্ৰতাপাদিত্যের উদ্দেশ্য ছিল-বঙ্গদেশ হইতে মুসলমানদিগকে দূরীভূত করিয়া একটা স্বাধীন হিন্দু রাজত্ব গড়িয়া তোলা । এই দ্বাদশ ভূমিয়ার মধ্যে পাঁচ জন বঙ্গজ কায়স্থ ছিলেন। চন্দ্ৰদ্বীপের শাসনকৰ্ত্ত ইহঁদের নেতা ছিলেন। চন্দ্ৰদ্বীপের রাজা কন্দৰ্প নারায়ণের রাজত্ব সময়ে মহারাজ প্রতাপাদিত্যের পিতা রাজা বিক্ৰমাদিত্য ও খুল্লতাত রাজা বসন্ত রায় পূর্ববঙ্গ হইতে যশোহরে আসিয়া একটি নূতন সমাজ প্ৰতিষ্ঠা করেন। এই নূতন সমাজের সহিত বাঙ্গালার বঙ্গজ কায়স্থ সমাজের কেন্দ্ৰস্থল বাকল চন্দ্ৰদ্বীপ সমাজের কোন সম্বন্ধ ছিল না। পূর্ববঙ্গ হইতে যশোহরে আসিয়া যে সমস্ত কুলীন কায়স্থের একটি নূতন সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন, তন্মধ্যে ভবানী দাস স্নায় চৌধুৰী সৰ্বশ্রেষ্ঠ। তিনি বিরাট গুহ হইতে চতুৰ্দশ বংশধর। মহারাজ আদিশূরের যজ্ঞে কান্তকুজ হইতে যে পাঁচজন কায়স্থ আসিয়াছিলেন, বিরাট গুহ সেই পাঁচজন কায়ন্থের অন্যতম। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে ভবানী দাস নামে