পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায় শশীভূষণ দে বাহাদুর। বৌবাজারের মদনগোপাল লেন নিবাসী স্বনামখ্যাত শ্ৰীযুক্ত শশীভূষণ দে মহাশয়ের নাম বাঙ্গালীর নিকট অপরিচিত নহে। তিনি ৬/মদন গোপাল দে মহাশয়ের তৃতীয় পুত্ৰ। মদনগোপাল বাবু একজন পরম ধাৰ্ম্মিক পুরুষ ছিলেন এবং দানে মুক্তহস্ত ছিলেন। শ্ৰীশ্ৰীবৃন্দাবন ধামে ঠাকুরবাড়ী আজও তাঙ্গার অতুল দান ও ধৰ্ম্মপরায়ণতার পরিচয় প্রদান করিতেছে। এই মদনগোপাল বাবুর ঔরসে ১৮৬৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শশীভূষণ বাবু জন্মগ্রহণ করেন । বৰ্ত্তমানে তঁহাঁর বয়স ৫৮ বৎসর। বিলাস ও ধনৈশ্বৰ্য্যের মধ্যে থাকিয়া মানুষ নিজ অনন্যসাধারণ প্ৰতিভাবলে কতদূর কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে, শশীভূষণ বাবুর কৰ্ম্মময় জীবন তাহার জ্বলন্ত নিদর্শন। তিনি কলিকাতা সেয়ার মার্কেটে ( Share market ) স্বীয় অধ্যবসায়ে অর্থ উপার্জন করেন। তিনি এই অর্থ আপন ভোগবিলাসের জন্য গচ্ছিত রাখেন নাই ; আপদ বিপদগ্ৰস্তকে সাহায্য করিতে তিনি সৰ্ব্বদাই নিজের ভাণ্ডার উন্মুক্ত করিয়া রাখিয়াছেন । মানুষ মরিয়া গেলে তবে তাহার যদি কিছু দান থাকে প্ৰকাশ পায় - কিন্তু শশীবাবুর উদ্দেশ্য বিপরীত। তিনি জীবিত অবস্থায় স্বকৃত ধনের অন্যরূপ আনন্দ উপভোগ ইচ্ছায় ১৯২২ সালের ১৭ই মে তারিখে কলিকাতা কর্পোরেশনের নিকট প্ৰস্তাব করেন যে কলিকাতার মধ্যস্থলে একটি বালক ও একটি বালিকা অবৈতনিক প্ৰাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হউক এবং তিনি তাহার অধিকাংশ ব্যয় বহন করিতে প্ৰস্তুত আছেন। কর্পোরেশনের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হইবার পর সভ্যগণ তঁহার প্রস্তাব গ্ৰহণ করেন। তিনি স্বজাতি শ্ৰীতিবশতঃ প্ৰস্তাব করেন যে দুইটি বিদ্যালয়েই শতকরা অনু্যন ২৫টা আসন সুবৰ্ণ বণিক