পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vobro -পরিচয় করিয়াছিলেন। যাহাতে হিট্টগ্রামে কখনও জলকষ্ট না হয়। সে জন্য তিনি হিট্টগ্রামে বহু বাধ বা জলাশয় খনন করাইয়া দিয়াছিলেন। উক্ত বাধসমূহের মধ্যে তদীয় পত্নীর স্মরণার্থ খনিত কমলাবাধ এবং রঙ্গচ্যারিয়ার বা রাংচিরের বাধ, বা পড়ের বাধ, হোরালের বাঁধ এবং জিন্দরালের বাঁধ এই ছয়টি বাঁধই বিশেষ প্ৰসিদ্ধ। এইগুলি ছাড়া তিনি গ্রামস্থ প্রজাবর্গের স্মানপানাৰ্থ বড়সায়র, মাঝের সােয়র এবং সুখসায়র নামক তিনটী সুবৃহৎ জলাশয় খনন করান । তিনি পালবংশের কুলদেবী অষ্টভূজা মহিষমৰ্দিনী পাষাণপ্ৰতিমা শ্ৰীশ্ৰীত্ৰৈলোক্যতারিণী দেবীর স্থাপন জন্য বহু অর্থব্যয়ে কয়রাপুর গ্রামে এক বিশাল মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইযা দেন। অদ্যাপি প্ৰতি বৎসর চৈত্রমাসের বাসন্তী নবমীতে এবং আষাঢ় মাসের শুক্ল নবমীতে এবং আশ্বিন মাসের শুক্লা ষষ্ঠী হইতে দশমী পৰ্য্যন্ত উক্ত দেবী স্থানে মহামেলা হইয়া থাকে এবং বহু দূরদূরান্তর হইতে মায়ের বহু ভক্ত প্রতিমা দর্শন ও মেলায় যোগদান করিতে থাকেন। পূর্বোক্ত তিনটী নবমী তিথিতে মায়ের সম্মুখে যে ছাগবলি হইয়া থাকে তাহাতে উগ্ৰক্ষত্ৰিয়জাতির একটি স্মরণাতীত কালের সম্বন্ধ পরিদৃষ্ট হয়। উগ্ৰক্ষত্ৰিয়জাতির মধ্যে বৰ্দ্ধমান অঞ্চলে একটি প্ৰবাদ আছে যে, “কেশে, পালে বৰ্দ্ধমান দেবীর স্থানে তার প্রমাণ” ; তাহার অর্থ এই যে, উক্ত ত্ৰৈলোক্যতারিণী দেবীর সম্মুখে একই সময়ে যুগপৎ চারিটীি ছাগবলি হইয়া থাকে। মায়ের প্রথম দক্ষিণে হিট্টার পালবংশ কর্তৃক প্রেরিত ছাগ স্থাপন করা হয় ও প্ৰথম বামে হিটার পালবংশের অপর একটি শাখা বেলারীর পালবংশীয়গণের অন্য একটী ছাগ স্থাপনা করা হয় এবং বৰ্দ্ধমান পরগণার কেশবংশীয়গণপ্ৰদত্ত অপর দুইটী ছাগ ঐ দুইটী ছাগের দুইটী পাৰ্থ আবরণ করিয়া থাকে। আটজন লোকে উক্ত ছাগ চারিটীিকে একত্ৰ তুলিয়া ধরে এবং চারিজন ঘাতকে ঠিক এক সময়েই উক্ত চারিটীি ছাগকে হনন করে ।