পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্দমানের পালবংশ V-V), নিৰ্ম্মিত। হিট্টাগ্রামে নূতনবাঁধ নামক আর একটি বাঁধ তিনি খনন করাইয়া দেন এবং তাহার নবপ্রতিষ্ঠাপিত লাট রাধাকান্তপুর নামক গ্রামসমূহে তিনটী সুবৃহৎ বাধা খনন করাইয়া দেন এবং ঐ স্থানে দামোদর নদের তীরে বিশ্বনাথ নামক শিব প্ৰতিষ্ঠাপিত করান । মোগল সম্রাটগণের দৌৰ্ব্বল্যবশতঃ বাঙ্গালার শেষ আমলের নবাবগণের যথেচ্ছাচারিতা এবং বৰ্দ্ধমান রাজবংশের সর্বগ্রাসী ক্ষুধা ও ইংরাজ শাসনের প্রথম আমলের ভূমি-সম্বন্ধীয় আইন-সমুদয় উগ্রীক্ষত্ৰিয়জাতির অধঃপতনের মূলীভূত কারণ। কীৰ্ত্তিচাদের পিতা আলমৰ্চাদ ও জগৎশেঠ প্ৰভৃতির চক্রান্তে নবাব সরফরাজ নিহত হইলে পর নূতন নবাব আলিবর্দি খা প্ৰত্যুপকারস্বরূপ আলমৰ্চাদের পুত্র কীৰ্ত্তিচাদকে আপন দেওয়ান করিয়া লয়েন । সেই সময়ে কীৰ্ত্তিচাদ তাহার পিতার আমলের কতকগুলি কাগজপত্রের দ্বারা জগৎশেঠ ও তৎকালীন বৰ্দ্ধমানের রাজা হিটার পালবংশীয়গণের নিকট হইতে ও রামচাদ রায় প্রভৃতি বহু উগ্ৰক্ষত্ৰিয় জায়গীরদারগণের নিকট হইতে বহু টাকা বকেয়া বাকী দেখাইয়া দিয়া চাকলা, বৰ্দ্ধমান ও অন্যান্য বহু জমিদারী হস্তগত করিয়া লয়েন। রাধাকান্ত পালের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা পঞ্চানন পালের নামে আনীত ৫১০০০২ হাজার টাকার দাবীতে সন ১২০৪ সালে জেলা বৰ্দ্ধমানেব দেওয়ানী আদালতের ১৭৯৭ সালের ১৪৩ নং মকৰ্দমার ফয়সাল দৃষ্টে অবগত হওয়া যায় যে, হিট্টার পালবংশীয়গণের বঁকুড়া ও উড়িষ্যার জমিদারীসমূহ হস্তগত করিবার জন্য কি গভীর ষড়যন্ত্র করা হইয়াছিল। ঐ মকদ্দমায় পঞ্চানন পাল মহাশয় জয়লাভ করেন। সন ১২০৪ সালের ৫১০০ ০২ একান্ন হাজার টাকা বৰ্ত্তমান কালের তুলনায় কত টাকা তাহাও বিবেচ্য। অপর একটি মকৰ্দমা ফয়সালা আদালতে দেওয়ানী জেলা বীরভূম বৈঠক শ্ৰীমৌলবী গোলাম আসগর খ্যা বাহাদুর ইং ১৮৫৪ সাল ২২শে আগষ্ট মোতাবেক