পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদর শীর জমিদার বংশ । ଏ୪୫୩ ফলিল না, নীলকণ্ঠ বাবু আরও বলিলেন আজ এক্ষেত্রে তাহার সহিত, প্ৰজা মুনিব সম্বন্ধ ; অন্য সম্পর্ক ভুলিয়া উপস্থিত কাৰ্য্য করিতে পোদ্দার মহাশয়কে বলুন ও অন্যথায় আত্ম-সম্মান রক্ষা হইবে না। পোদার মহাশয় জামাতার এবস্থপ্রকার ব্যবহারে অর্থ দণ্ড অনিবাৰ্য্য, বুঝিয়া লোক দ্বারা দোকান হইতে ৫০০২ টাকা আনিয়া জামাতাকে জরিমানা যৌতুক দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিতে করিতে দোকানে যাইলেন । শ্বশুরের প্রতি এরূপ ব্যবহার ও সুশাসনের কথা অল্প সময় মধ্যে, মহাজনাদিগের শ্রুতিগোচর হইল। এই কঠোর শাসন দেখিয়া ভয়ে সকলের আত্মা কঁপিয়া উঠিল । পোদ্দার মহাশয় লজ্জা, অভিমানে ও টাকার শোকে সেদিনে মান আহার করিলেন না, তিনি কত কি চিন্তা করিতে লাগিলেন; বলা বাহুল্য এইরূপ ভাবনায় দিন কাটিয়া গেল, সন্ধ্যার অব্যবহিত পরে নীলকণ্ঠ বাবু জনৈক লোক পঠাইয়া অতি গোপনে শ্বশুর মহাশয়কে কাছারীতে আসিতে আদেশ করিলেন । প্রেরিত লোকে আদেশ জ্ঞাপন করা মাত্ৰ পোদ্দার মহাশয় যেন স্পন্দনহীন হইয়া দাড়াইয়া রহিলেন। প্রেরিত লোকে বলিল, “নুতন আর কোন চিন্তার কারণ নাই। আপনি অতি গোপনে সত্বর আসুন, কোন বিশেষ প্রয়োজন আছে।” পোদার মহাশয় আর চিন্তা করিতে সময় পাইলেন না। ঐ অবস্থাতে নিতান্ত ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রেরিত লোক সঙ্গে জামাতার নিকট উপস্থিত হইলেন। নীলকণ্ঠ বাবুর শ্বশুর মহাশয়কে যথাযোগ্য আসন দিয়া অভ্যর্থনা করিলেন । কিছুক্ষণ কথোপকথনের পর নীলকণ্ঠ বাবু শ্বশুর মহাশয়কে বলিলেন “আপনি আমার ব্যবহারে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়াছেন, আমি কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে এই কাৰ্য্য করিয়াছি! আপনি কৃপা করিয়া অপরাধ মার্জনা করিবেন।” এই বলিয়া পোদ্দার মহাশয়কে সেই &e eא *}\ö b†क ग्नि বলিলেন, আপনি এই টাকা লইয়া অতি গোপনে দোকানে চলিয়া যান। এই বিষয় যেন,