পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

乏しア8 বংশ- পরিচয় তিনি তঁাহার জীবদ্দশায় যথেষ্ট অর্থ উপাজন করিয়াছিলেন । এই বীরেন্দ্রনাথই কেবল গোপালচন্দের পুত্ৰ বলিয়া পরিচয়দানে যথার্থ উপযুক্ত। “যথা পিতা তথা পুত্রঃ”-উভয়েই ধাৰ্ম্মিক, পরদুঃখকাতর, ঈশ্বরপরায়ণ । বীরোন্দ্রের গুণে তিনি মুগ্ধ ছিলেন । তজজন্যই বীরেন্দ্ৰ তাহার অত্যন্ত প্ৰিয়পাত্র ছিলেন । ধীরেন্দের জীবনের মূল মন্ত্র ছিল ‘পরের লাগিয়া আপন ভুলিয়া ধন্য কর নিজ জন্ম ।” মৃতের সৎকার-করণ, আতুর ও দরিদ্রদিগকে বস্ত্ৰ ও তণ্ডুল দান, রোগীর সেবাশুশ্রীষা এই সকল কাৰ্য্যে তিনি অধিক আনন্দ পাইতেন । এই সকল কৰ্ম্মের জন্য তাহার প্রাণ অনুক্ষণ কাদিত। এতাদৃশ গুণরাশি সম্পন্ন উপযুক্ত সন্তানের মৃত্যুর পর গোপালচন্দ্ৰ শোকে কিছুমাত্র বিচলিত হন নাই । পদব্ৰজে যখন গোপালচন্দ্ৰ পুত্রের শব্ব সমভি ব্যাহারে শ্মশানে যাইতেছিলেন, তখন কেহ তাহার নয়নযুগল হইতে অশ্রুপাত হইতে দেখে নাই। পরন্তু গোপালচন্দ্র যখন মৃতপুত্রের চিতায় শুভ মুখাগ্নি করিতে যাইলেন তখন উচ্চৈঃস্বরে ঈশ্বরের গুণগান করিতে লাগিলেন নির্বিকারভাবে মৃতের সৎকারার্থে সকল শুভকায্য হাস্যবিদনে সম্পন্ন করিলেন । শ্মশানের দর্শকবৃন্দ গোপালের এই আচরণ নিস্তব্ধ হইয়া নিম্পন্দভাবে দেখিতে লাগিলেন । গোপালচন্দ্রের কনিষ্ঠা কন্যা শিবসতী দেবীর ২৪ বৎসর বয়ঃক্রম কালে ইহলীলা সাঙ্গ হয়। শিবসতী গোপালচন্দ্রের সর্বকনিষ্টা কন্যা বলিয়া অত্যন্ত প্ৰিয়া ছিলেন । এমন কি শিবসতী বিবাহের পরেও অধিক সময়েই স্বীয়া পিতামাতার নিকট থাকিতেন । কিন্তু শিবসতীর মৃত্যুর পরেও তঁহাকে আমরা একভাবেই দেখিয়াছি—ধীর, শান্ত, উদাস । গোপালচন্দ্রের তামসিক স্পাহা আর নাই। তিনি যে পথের