পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্ৰনাথের সেবায়ত-বংশ SS বৎসর বয়সে সকলকে শোকসাগরে ভাসাইয়া অনন্তধামে গমন করে । পিতার মৃত্যুর পর বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা চারি বৎসর মাত্ৰ জীবিত ছিলেন । সংসারে অভিভাবক-হীন অল্পবয়স্ক বালক নাবিক-বিহীন তরণীর মত চলিয়া অল্প দিনের মধ্যে বহু টাকা ঋণ করিয়া ফেলিল । বৈমাত্রেয় ভ্রাতার মৃত্যুতে উত্তমণগণ সুযোগ বঝিয়া যাহা কিছু চিল সমস্ত লষ্টয়া যাওয়ার পরেও প্রায় ৭ হাজার টাকা ঋণ রহিয়া গেল। ভারতচন্দ্রের দাড়াইবার স্থানটুকু পৰ্য্যন্ত রহিল না। ৮০৬ শকাব্দে ময়মনসিংহ জিলার মুক্তাগাছার স্বনাম প্ৰসিদ্ধ রাজা শ্ৰীযুক্ত জগৎ কিশোর –আচাৰ্য্য চৌধুরী মহাশয়ের মাতা স্বৰ্গীয় রাণী বিদ্যাময়ী দেবা ৬/চন্দ্ৰনাগ দর্শনোপলক্ষে ভারতচন্দ্রের পর্ণকুটীরে বাস করেন। ভারতচন্দ্রের সাংসারিক যাবতীয় অবস্থা জ্ঞাত হইয়া তিনি তাহাকে ঋণমুক্ত করিয়াছেন । ভারতচন্দ্র ঋণমুক্ত হইয়া স্বীয় প্রতিভাবলে এখন দশজনের একজন ভাইয়াছেন। পাণ্ডাগিরির আয় ব্যতীত ৪। ৫ হাজার টাকার ভূসম্পত্তি নিজে করিয়াছেন । শৈশবকাল অতিকষ্টে অতিবাচিত হওয়াতে দুঃখীর দুঃখ দূৰ করিতে র্তা তার মত কাহাকেও দেখা যায় না । দীন-দুঃখীকে ও বিপন্ন ব্যক্তিকে অযাচিতভাবে তিনি সাধ্যাতীত সাহায্য করিয়া থাকেন । বিদ্যার্থীকে সাহায্য কর। তাহার জীবনের একটি প্রধান ব্ৰত। পাণ্ড|- বংশে ভারতচন্দ্রের মত বয়োবৃদ্ধ স্বধৰ্ম্মনিরত ন্যায়নিষ্ঠ আচারবান সাত্ত্বিক লোক দ্বিতীয় নাই । ভারতচন্দ্ৰ শৈশবে গুরুমহাশয়ের পাঠশালায় বাঙ্গালা ও সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিয়া হিন্দুদিগের নিত্যনৈমিত্তিক যাবতীয় কাৰ্য্যাদি শিক্ষা করেন । ভারতচন্দ্রের দ্বিতীয় সহোদর না থাকাতে এবং শরৎচন্দ্ৰ নামক কনিষ্ঠ সহোদরের অভাবে ৬/গোপীনাথ পাণ্ডা মহাশয়ের সুযোগ্য পুত্র শরচ্চন্দ্ৰকে