পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ংশ পরিচয় । প্রসারিত করিলে, হাত খানা ধরিয়া সন্ন্যাসী স্থির ভাবে সব দেখিলেন । তৎপরে তিনি বলিলেন, “বাবা ! তুমি বড়ই ভাগ্যবান, তোমার হাতে যে সব চিহ্ন দেখিলাম তাহা মহাপুরুষদিগেরই থাকে, তুমিও চেষ্টা করিলে কালে বিশেষ উন্নতি করিতে পরিবে তাহাতে কোন সন্দেহ নাই । তবে সত্বর তোমার একটী কাজ করিতে হইবে, তোমার দীক্ষা : হওয়া আবশ্যক, গুরু বিনা কোন কাজ সিদ্ধ হয় না । এ বিষয়ে আমি, অধিক আর কি বলিব, বোধ হয় তোমার জন্যই আমার এই দুৰ্গমস্থানে আগমন হইয়াছে। অতএব আগামী কল্যই তুমি আমার নিকট দীক্ষিত হইবে। এজন্য তোমার বিশেষ কিছু যোগাড় করিতে হইবে, না, যাহা কিছু আবশ্যক তাহা আমিই করিয়া লইব, তুমি আজকার দিন নিরামিষ এক বেলা আহার করিবে ; এ সম্বন্ধে তোমার পিতার নিকট কিছু প্ৰকাশ করিও না।” উদ্ধব সন্ন্যাসীর কথা শুনিয়া ভক্তিভাবে প্ৰণাম পূর্বক নানারূপ চিন্তা করিতে করিতে দোকানে ফিরিয়া যাইলেন । উদ্ধব ভাবিতে লাগিলেন “আমি এই অল্প বয়সে দীক্ষিত হইয় গুরুদেবের উপদেশ প্ৰতিপালন করিতে পারিব কি ? দীক্ষা হইলে তো এ ভাবে, যখন তখন খাওয়া চলিবে না, বাবাকে না বলিয়া কাজ করিতে হইব্দে সেই বা কেমন কথা ।” এইরূপ চিন্তায় দিন অতিবাহিত হইল । সন্ন্যাসীর আদেশ অনুসারে নিজে নিরামিষ। পাক করিয়া অপরাহে আহার করিলেন । পিতা হাট হইতে আসিয়া রান্নার উদ্যোগ করিলে, উদ্ধবচন্দ্ৰ বলিলেন “বাবা ! আমার ক্ষুধা নাই, আমি আজ রাত্ৰিতে খাইব না । আপনার নিজের জন্য যাহা হয় কিছু পাক করুন।” তৎপরে তাঁহাই হইল । রাত্ৰিতে নিদ্রিতাবস্থায় উদ্ধব এইরূপ স্বপ্ন দেখিলেন-একটা জ্যোতিৰ্ম্ময় পদার্থ যেন তঁাহার শরীরে প্রবেশ করিতে আসিয়াছে, উদ্ধক যেন আর এখন সামান্য দোকানদার নহেন, যেন কত বড় একজন