পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বণ্ডিকম রচনাবলী পশপতি চিত্ত হারাইলেন ; তাঁহার মস্তক ঘারিতে লাগিল। তিনি বাঙনিৎপত্তি না করিয়া প্রতিমাসমীপে সাম্পটাঙগ প্ৰণিপাত করিলেন। পরে গাত্ৰোথান করিয়া মনোরমাকে বক্ষে ধারণ করিতে গেলেন। মনোরমা পৰ্ব্বব্যাবৎ সরিয়া দাঁড়াইল। কহিল, “এখন নয়—আরও কথা আছে।” প। মনোরমা—ব্রাক্ষসী ! এতদিন কেন আমাকে এ অন্ধকারে রাখিয়াছিলে ? ম। কেন! তুমি কি আমার কথায় বিশদ্বাস করিতে ? প। মনোরমা, তোমার কথায় কবে আমি অবিশবাস করিয়াছি ? আর যদিই। আমার অপ্রত্যয় জন্মিত, তবে আমি জানান্দন শৰ্ম্মমাকে জিজ্ঞাসা করিতে পারিতাম । ম। জনাদােন কি তাহা প্রকাশ করিতেন ? তিনি শিষ্যের নিকট সত্যে বন্ধ আছেন। প। তবে তোমার কাছে প্রকাশ করিলেন কেন ? ম। তিনি আমার নিকট প্রকাশ করেন নাই। একদিন গোপনে ব্রাহ্মণীর নিকট প্রকাশ করিতেছিলেন। আমি দৈবাৎ গোপনে শনিয়াছিলাম। আরও আমি বিধবা বলিয়া পরিচিত। তুমি আমার কথায় প্রত্যয় করিলে লোকে প্রত্যয় করিবে কেন ? তুমি লোকের কাছে নিন্দনীয় না হইয়া কি প্রকারে আমাকে গ্রহণ করিতে ? প। আমি সকল লোককে একত্র করিয়া তাঁহাদিগকে বঝাইয়া বলিতাম। DBSS DBBS DBDBD DBDSLDDDBB BBBD DD ম। আমি গ্রহশানিত করাইতাম । ভাল, যাহা হইবার তাহা হইয়া গিয়াছে। এক্ষণে যদি আমি রত্ন পাইয়াছি, তবে আর তাহা গলা হইতে নামাইব না। তুমি আর আমার ঘর ছাড়িয়া যাইতে পারবে না। মনোরমা কহিল, “এ ঘর ছাড়িতে হইবে। পাশপতি ! আমি যাহা বলিতে আসিয়াছিলাম, তাহা বলি শািন। এ ঘর ছাড়া। তোমার রাজ্যলাভের দরাশা ছাড়। প্রভুর অহিত চেষটা ছাড় । এ দেশ ছাড়িয়া চল, আমরা কাশীধামে যাত্ৰা করি। সেইখানে আমি তোমার চরণসেবা করিয়া জন্ম সাৰ্থক করিব। যে দিন আমাদিগের আয়ঃশেষ হইবে, একত্রে পরমধামে যাত্ৰা করিব। যদি ইহা সস্বীকার কর— আমার ভক্তি অচলা থাকিবে । নহিলে--” প। নাহিলে কি ? মনোরমা তখন উন্নতমাখে, সবাৎপলোচনে, দেবীপ্রতিমার সম্মখে দাঁড়াইয়া, যক্ত করে গদগদকন্ঠে কহিল, “নহিলে, দেবীসমক্ষে শপথ করিতেছি, তোমায় আমায় এই সাক্ষাৎ, এ জন্মে ज्याद्ध आभा९ श्6द ना।" পাশপাতিও দেবীর সমক্ষে বদ্ধাঞ্জলি হইয়া দাঁড়াইলেন । বালিলেন, “মনোরমা—আমিও শপথ করিতেছি, আমার জীবন থাকিতে তুমি আমার বাড়ী ছাড়িয়া যাইতে পারিবে না। মনোরমা, আমি যে পথে পদাপািণ করিয়াছি, সে পথ হইতে ফিরিবার উপায থাকিলে আমি ফিরিতাম—তোমাকে লইয়া সৰ্ব্বত্যাগী হইয়া কাশীযাত্ৰা করিতাম। কিন্তু অনেক দর গিয়াছি, আর ফিরিবাব উপায় নাই—যে গ্রন্থি বধিয়াছি, তাহা আর খলিতে পারি না-সোতে ভেলা ভাসাইয়া আর ফিরাইতে পারি না। যাহা ঘটিয়াছে তাহা ঘটিয়াছে। তাই বলিয়া কি আমার পরামস,খে আমি বঞ্চিত হইব ? তুমি আমার সত্ৰী, আমার কপালে যাই থাকুক, আমি তোমাকে গহিণী করিব। তুমি ক্ষণেক অপেক্ষা কর-আমি শীঘ্ৰ আসিতেছি।” এই বলিয়া পশতুপতি মন্দির হইতে নিস্কান্ত হইয়া গেলেন। মনোরমার চিত্তে সংশয় জন্মিল। সে চিন্তিতান্তঃকরণে কিয়ৎক্ষণ মন্দিরমধ্যে দাঁড়াইয়া রহিল। আর একবার পশপতির নিকট বিদায় না লাইফ” যাইতে পারিল না। অলপকাল পরেই পাশপতি ফিরিয়া আসিলেন। বললেন, “প্রাণাধিকে! আজি আর তুমি আমাকে ত্যাগ করিয়া যাইতে পরিবে না। আমি সকল দেবার রদ্ধ করিয়া আসিয়াছি।” মনোরমা-বিহঙগী পিঞ্জরে বন্ধ হইল । 5ङ्थ °झि6छ्न 8 बबनाङ-यशाऊ वा বেলা প্ৰহারেকের সময় নগরবাসীরা বিসিমতলোচনে দেখিল, কোন অপরিচিতজাতীয় সপতদশ আশবারোহী পরিষ রাজপথ অতিবাহিত করিয়া রাজভবনাভিমখে যাইতেছে। তাহাদিগের R 8 SR