পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७कभ ब्रा5नादब्ली তার পর বিপদের উপর বিপদ, সম্পমখস্থ পৰ্ব্ববতসান দেশে রাজসিংহের শিবির। তিনি দর হইতে মোগল সেনার প্রত্যাবৰ্ত্তন জানিতে পারিয়া, তোপ সাজাইয়া সম্পমখে প্রেরণ করি লেন । রাজসিংহের কামান ডাকিল। বােক্ষপ্রাকার লঙ্ঘিত করিয়া রাজসিংহের গোলা ছটিল— হস্তী, অশব, পত্তি, সেনাপতি সব চণ্য হইয়া গেল। মোগল সেনা রন্ধ্রুমধ্যে হটিয়া গিয়া, ক্লাের সপ যেমন অগিনভয়ে কুন্ডলী করিয়া বিবরে লকায়, মোগল সেনা রন্ধ্রুবিবরে সেইরাপ লকাইল। শাহানশাহ বাদশাহ, হীরকমণ্ডিত শোবত উষ্ণীষ মস্তক হইতে খালিয়া দরে নিক্ষিপত করিয়া, জানা পাতিয়া, পৰ্ব্ববর্ততের কােকর তুলিয়া আপনার মাথায় দিলেন। দিল্লীর বাদশাহ রাজপত ভুইঞার নিকট সসৈন্যে পিঞ্জরাবদ্ধ মাষিক। একটা মষিকের আহার পাইলেও আপাততঃ তাঁর প্রাণরক্ষা হইতে পারে। তখন ভারতপতি ক্ষদ্রা রাজপতবালাকে উদ্ধারকারিণী মনে করিয়া তাহার পারাবত উড়াইয়া দিলেন। নিৰ্ম্মলকুমারী, উদিপরেী বেগম ও জেব-উন্নিসা বেগমকে উপযক্ত স্থানে রাখিয়া, মহারাণী চঞ্চলকুমারীর নিকট গিয়া প্ৰণাম করিলেন। এবং আদ্যোপােন্ত সমস্ত বিবরণ তাঁহার নিকট নিবেদন করিলেন। সকল কথা সবিশেষ শনিয়া চঞ্চলকুমারী আগে উদিপরীকে ডাকাইলেন। উদিপরেী আসিলে তাঁহাকে পথক আসনে বসিতে দিলেন ; এবং তাঁহাকে সম্মান করিবার জন্য আপনি উঠিয়া দাঁড়াইলেন। উদিপরেী অত্যন্ত বিষন্ন ও বিনীতভাবে চঞ্চলকুমারীর নিকট আসিয়াছিলেন, কিন্তু এক্ষণে চ৭gলকুমারীর সৌজন্য দেখিয়া মনে করিলেন, ক্ষদ্রপ্রাণ হিন্দ ভয়েই এত সৌজন্য করিতেছে । তখন স্লেচ্ছকিন্যা বলিল, “তোমরা মোগলের নিকট মাতৃত্যু বাসনা করিতেছ। কেন ?” চঞ্চলকুমারী ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, “আমরা তাঁহার নিকট মাতৃত্যু কামনা করি নাই। তিনি যদি সে সামগ্রী আমাদিগকে দিতে পারেন, সেই আশায় আসিয়াছেন। তিনি ভুলিয়া গিয়াছেন যে, আমরা হিন্দ: যবনের দান গ্রহণ করি না।” উদিপরেী ঘণার সহিত বলিল, “উদয়পরের ভূইঞারা পরিযানকুমে মসলমানের কাছে এ দান স্বীকার করিয়াছেন। সালতান আলাউদ্দীনের কথা ছাড়িয়া দিই; মোগল বাদশাহ আকন্দ্বর শাহ, এবং তাঁহার পৌত্রের নিকটও রাণা রাজসিংহের পািব্ব পরিষেরা এ দান স্বীকার করিয়াছেন।” চ৭9ল। বেগম সাহেব ! আপনি ভুলিয়া যাইতেছেন, সে আমরা দান বলিয়া স্বীকার করি নাই ; ঋণ বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলাম। আকববর বাদশাহের ঋণ, প্রতাপসিংহ নিজে পরিশোধ করিয়া গিয়াছেন। আপনার শবশরের ঋণ এক্ষণে আমরা পরিশোধে প্রবত্ত হইয়াছি। তাহার প্রথম কিস্তি লইবার জন্য আপনাকে ডাকিয়াছি। আমার তামাকু নিবিয়া গিয়াছে। অনগ্রহপব্বক আমাকে তামাকুটা সাজিয়া দিন । চ৭gলকুমারী প্রথমে বেগমের প্রতি যেরপে সৌজন্য প্রকাশ করিয়াছিলেন, বেগম। যদি তাহার উপযোগী ব্যবহার করিতেন, তাহা হইলে বোধ করি, তাঁহাকে এ অপমানে পড়িতে হইত না। কিন্তু তিনি পরিষেবাক্যে তেজস্বিনী চণ্ডলকুমারীর গবর্ব উদ্দিন্তু করিয়াছেন——কাজেই এখন ফল ভোগ করিতে হইল। তামাকু সাজার কথায়, সেই তামাকু সাজার নিমন্ত্রণপত্ৰখানা মনে পড়িল । উদিপরের সর্বশরীরে স্পেদোদগম হইতে লাগিল। তথাপি অভ্যস্ত গব্বকে হৃদয়ে পািনঃ স্থাপন করিয়া কহিলেন, “বাদশাহের বেগমে তামাকু সাজে। না।” চঞ্চলকুমারী। যখন তুমি বাদশাহের বেগম ছিলে, তখন তামাকু সাজিতে না। এখন তুমি আমার বাঁদনী । তামাকু সাজিবে। আমার হকুম। উদিপরেী কাঁদিয়া ফেলিল-দঃখে নহে; রাগে । বলিল, “তোমার এত বড় সাপদ্ধা যে, আলমগীর বাদশাহের বেগমকে তামাকু সাজিতে বল ?” চঞ্চল। আমার ভরসা আছে, কাল আলমগীর বাদশাহ স্বয়ং এখানে আসিয়া মহারাণার VS 8