ՀՖIIԺծ7Շlծ সত্য। তোমার নাম শান্তিমণি পাপিষ্পাঠা । এই বলিয়া সত্যানন্দ, শিষ্যের কােল কুচকুচে দেড় হাত লক্ষবা দাড়ি বাম হাতে জড়াইয়া ধরিয়া এক টান দিলেন। জাল দাড়ি খসিয়া পড়িল । সত্যানন্দ বলিলেন, “ছি মা ! আমার সঙ্গে প্রতারণা---আর যদি আমাকেই ঠকাবে ত এ বয়সে দেড় হাত দাড়ি কেন ? আর, দাড়ি খাট করিলেও কন্ঠের সাবর-ও চোখের চাহনি কি লকাতে পাের ? যদি এমন নিবোধই হাইতাম, তবে কি এত বড় কাজে হাত দিতাম ?” শান্তি পোড়ারমখী তখন দাই চোেখ ঢাকা দিয়া কিছফক্ষণ অধোবদনে বসিল। পরীক্ষণেই হােত নামাইয়া বড়োর মাখের উপর বিলোল কটাক্ষ নিক্ষেপ করিয়া বলিল, “প্ৰভু, দোেষই বা কি করিয়াছি। সত্ৰী-বাহতে কি কখন বল থাকে না ?” সত্য । গোেভ পদে যেমন জল । শান্তি। সন্তানদিগের বাহবিল আপনি কখন পরীক্ষা করিয়া থাকেন ? সত্য। থাকি । এই বলিয়া সত্যানন্দ, এক ইস্পাতের ধনক, আর লোহার কতকটা তার আনিয়া দিলেন, বলিলেন যে, “এই ইস্পাতের ধনকে এই লোহার তারের গণ দিতে হয়। গণের পরিমাণ দাই হােত। গণ দিতে দিতে ধনক উঠিয়া পড়ে, যে গণ দেয়, তাকে ছাড়িয়া ফেলিয়া দেয়। যে গণ দিতে পারে, সেই প্রকৃত বলবান ।” শান্তি ধনক ও তার উত্তমরাপে পরীক্ষা করিয়া বলিল, “সকল সন্তােন কি এই পরীক্ষায় উত্তীণ হইয়াছে ?” সত্য। না, ইহা দবারা তাহাদিগের বল বঝিয়াছি মাত্র। শান্তি। কেহ কি এই পরীক্ষায় উত্তীণ হয় নাই ? সত্য। চারি। জন মাত্র। শান্তি । জিজ্ঞাসা করিব কি, কে কে ? সত্য। নিষেধ কিছ নাই। একজন আমি । শান্তি। আর ? সত্য | জীবানন্দ । ভবানন্দ | জ্ঞানানন্দ । শান্তি ধনক লইল, তার লইল, অবহেলে তাহাতে গণ দিয়া সত্যানন্দের চরণতলে ফেলিয়া क्री । সত্যানন্দ বিসিন্মত, ভীত এবং স্তম্পিভত হইয়া রহিলেন । কিয়ৎক্ষণ পাবে বলিলেন, “এ কি ; দেবী না মানবী ?” শান্তি করজোড়ে বলিল, “আমি সামান্য মানবী। কিন্তু আমি ব্রহ্মচারিণী।” সত্য। তাই বা কিসে? তুমি কি বাল্যবিধবা ? না, বাল্যবিধবারও এত বলা হয় না; কেন না, তাহারা একাহারী। শান্তি । আমি সধবা । সত্য। তোমার স্বামী নিরদিষ্ট 2 শান্তি । উদ্দিন্ডটি। তাঁহার উদ্দেশেই আসিয়াছি। সহসা মেঘভাঙ্গা রৌদ্রের ন্যায় সমতি সত্যানন্দের চিত্তকে প্রভাসিত করিল। তিনি বলিলেন, ‘মনে পড়িয়ছে, জীবানন্দের স্ত্রীর নাম শান্তি । তুমি কি জীবানন্দের ব্রাহ্মণী ?” এবার জটাভারে নবীনানন্দ মািখ ঢাকিল। যেন কতকগলা হাতীর শািড়, রাজীবরাজির উপর পড়িল । সত্যানন্দ বলিতে লাগিলেন, “কেন এ পাপাচার করিতে আসিলে ?” শান্তি সহসা জটাভার পক্ষেষ্ঠ বিক্ষিপত করিয়া উন্নত মদখে বলিল, “পাপাচরণ কি প্ৰভু? পত্নী স্বামীর অনসরণ করে, সে কি পাপাচরণ ? সন্তানধৰ্ম্মশাস্ত্র যদি একে পাপাচরণ বলে, তবে সন্তানধৰ্ম্ম অধৰ্ম্ম । আমি তাঁহার সহধৰ্ম্মিমণী, তিনি ধৰ্ম্মাচরণে প্রবত্ত, আমি তাঁহার সঙ্গে ধামাচরণ করিতে আসিয়াছি।” শান্তির তেজস্বিনী বাণী শনিয়া, উন্নত গ্রীবা, সফীত বক্ষ, কম্পিপত অধর এবং উত্তজবল অথচ অশ্রাপ্ৰলত চক্ষ দেখিয়া সত্যানন্দ প্রীত হইলেন। বলিলেন, “তুমি সাধবী। কিন্তু দেখ মা-পত্নী কেবল গহে ধৰ্ম্মেই সহধৰ্ম্মিমণী—বীরধমে রমণী কি ?” फ्र ea তুমি G C S) 8しf
